সমরখন্দ গ্রন্থটির কাহিনী রুবাইয়াৎ-ই ওমর খৈয়ামের পাণ্ডুলিপি নিয়ে। একেবারে কবির রচনার কাল থেকে শুরু কর একাদশ শতাব্দীর পারস্য এবং ১৯১২ সালে টাইটানিকের সঙ্গে এর হারিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর বর্ণনা রয়েছে এতে। ১০৭২ সালে সমরখন্দের রাস্তায় এক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার পর ওমর খৈয়ামকেম হাজির করা হয়েছিল স্থানীয় এক কাজীর দরবারে,যিনি বুঝতে পেরেছিলেন কবির মেধা এবং দিয়েছিলেন একটা আনকোরা মোটা খাতা, যাতে লেখা হয়েছিল অমর কাব্য পঙ্ক্তিমালা। সে যাত্রা ওমর খৈয়াম বেঁচে দিয়েছিলেন এবং সৃষ্টি হয়েছিল তাঁর রুবাইয়াৎ। তাঁর জীবন সুতোর নক্সা বুনেছিলেন সম্রাটের পরাক্রমশালী উপদেষ্টা নিজাম-উল-মূলক এবং হাসান সাব্বাহ- আত্নঘাতী মৌলবাদের (অ্যাসিসিন এর) প্রবর্তক ,যিনি তার দুর্ভেদ্য পার্বত্য দুর্গে লুকিয়ে রেখেছিলেন ঐ মহামূল্য পাণ্ডুলিপিটি।সেখানেই ওটা ছিল দেড়শ’ বছরের মতো। ঊসবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এডওয়ার্ড ফিৎজোরাল্ডের অনুবাদের কল্যাণে পশ্চিমা বিশ্বের ভাবজগৎ উন্মতাল হয়ে ওঠে ওমর খৈয়াম নিয়ে। জানতে পারেন এবং পারসিক এক রাজকুমারীর সহায়তায় উদ্ধার করেন সেটি। দু’জনে মিলে ওটা নিয়ে যাত্রা করেন নিয়তিতাড়িত জাহাজ টাইটানিকে।