নাহ্, সুখ-টুখের বালাই নেই ফৈজুদ্দির জীবনে -কথাটি জানান দিতেই যেন ফৈজুদ্দি সরব হয়ে নিজেকে শােনায়, সুখ-টুখ সব চুলােয় গেছে। মানে, হাইজ্যাকারদের চুলােয়। ওদের চুলােতেই এখন রাজ্যের পােলাও-কোর্মার ঢালাও রান্নাবান্না। আর আমাদের মতাে বনেদি ডাকাতের উনুনে খড়ি-কাঠও জ্বলে না। নুন আনতে পান্তা ফুরনাের ব্যবস্থা -এই আমাদের ঘরে। ফৈজুদ্দি তখন অনেক দিন আগের এক ভোঁতা হয়ে যাওয়া ভােজালিতে শান দিতে ব্যস্ত। খানিক আগে বউ এসে শাড়িটাকে গাছকোমর করে শাণিত গলায় শুনিয়ে গেছে, ঐ ভােজালিতে কাজ দিবে কি কোননা, এ্যা? বলি, কোনাে লাভ হবে কি এসব ভােজালি-টোজালিতে শান দিয়ে?