শুয়ে থাকতে থাকতে অনেক সময় সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ি। সারা গায়ে পােশাক, খেয়াল নেই, সমুদ্র-পাখীদের কলরব শুরু না হওয়া পর্যন্ত ঘুম আর ভাঙে না। জানালা দিয়ে চেয়ে দেখি বড় বড় কারখানার দালান, সিরিল্যাণ্ড-এর বন্দরঘাট-ঐখান থেকেই তাে রুটি নিয়ে আসি রােজ। আরাে খানিকক্ষণ শুয়ে থাকতে ভালাে লাগে, আশ্চর্য হয়ে ভাবি এইখানে নর্ডল্যাণ্ড-এ কি করে এলাম! তারপর ঈশ উনুনের ধার থেকে তার লম্বা কৃশ দেহটি মুড়ি দিয়ে বলটিতে একটু আওয়াজ করে হাই তুলে লেজ নেড়ে উঠে দাঁড়াত, আর আমিও লাফিয়ে উঠতাম-তিন চার ঘণ্টা বিশ্রামের পর তাে বটেই। নিবিড় আনন্দে তা ভরা... নিবিড় আনন্দে ভরা তাে সবই।