অথচ প্রতিদিন স্বাতি জানালার গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে থাকে... জামিল রিকশায় বসেই দৃশ্যটা দ্যাখে। তারপর ভাড়া মিটায়, তারপর ক্রমাগত সিঁড়ি টপকে একদম দোতলায়। প্রায় প্রতিদিনই, কোনােদিন তাই কলিংবেল বাজাতে হয় নি। স্বাতিই দরজা খুলে দেয়, দরজার সামনে গা ভর্তি থকথকে ঘাম নিয়ে দাঁড়িয়েও থাকতে হয় না। স্বাতি সন্ধ্যার দক্ষিণে হাওয়া। যত সমস্যাই থাকুক মাথায়, জামিলকে দেখে রােজই একমাপের এক টুকরাে হাসি এবং পারফিউমসহ চমৎকার আহ্বান। তারপর শার্ট, কোট খুলে দেওয়া, অবশ্য জুতাে জামিলই খােলে, জুতােতে কেমন বাধাে বাধাে ঠেকে। তারপর ফ্যানের সুইচটাও স্বাতিরই আঙুলের স্পর্শে জেগে ওঠে