উনিশ শতকের বাংলা কাব্যসংগীতে সুর ও ভাষা একের পরিবর্তে দুই ব্যক্তির যৌথ সৃষ্টি হয়ে উঠতে থাকে। কাব্য হয় সুরবর্জিত পাঠ্য বা আবৃত্তিযােগ্য কবিতা। আর কাব্যসংগীত হয়ে ওঠে সুরনির্ভর গেয় কবিতা। মধ্যযুগের মতাে কবি ও গায়ক আর এক ব্যক্তিত্বে কেন্দ্রীভূত থাকে না। কাব্য ও কাব্যসংগীত পরস্পরকে প্রভাবিত করে উনিশ শতকে সমান্তরালভাবে এগিয়ে চলে। আজ পর্যন্ত সেই সমান্তরধারা অক্ষুন্ন আছে।