আমার দৌড় অনেককাল অবধি বাংলা বিহার ওড়িশার সীমা ডিঙোয়নি। উনিশ শশা পঁচাত্তরে প্রথম দিল্লি যাওয়ায় সে কী উত্তেজনা। দিল্লি! আমি তা হলে দিল্লি যাচ্ছি! আঁ! তারপরে অবশ্য নানা কাজে অকাজে ভারতবর্ষের এক প্রান্ত থেকে আর একপ্রান্ত অবধি টানা মারতে হয়েছে। তবু অদেখা রয়ে গেছে কত রাজ্য। আমার তাতে দুঃখ নেই। যাকে ভ্রমণবিলাসী বলে আমি তেমন নই। গেলেও হয় না গেলেও চলে যায়। বরং বাংলার গ্রাম-প্রান্তরে ছােটো ছােটো স্বল্পক্ষণের ট্রিপ আমার ঢের বেশি প্রিয়।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২রা নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে তাঁর জীবনের প্রথম এগারো বছর কাটে। ভারত বিভাজনের সময়, তাঁর পরিবার কলকাতা চলে আসে। এই সময় রেলওয়েতে চাকুরীরত পিতার সঙ্গে তিনি বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে তাঁর জীবন অতিবাহিত করেন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের প্রথম গল্প জলতরঙ্গ শিরোনামে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সাত বছর পরে ঐ একই পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে ঘুণ পোকা নামক তার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। ছোটদের জন্য লেখা তার প্রথম উপন্যাস মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি। বর্তমানে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা ও দেশ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় মানবজমিন উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান।