সীতা-নির্বাসনের পরে রামের শােকাকুল অবস্থার বর্ণনা রামায়ণে নিতান্ত সংক্ষিপ্ত। সীতাকে পরিত্যাগ করিয়া লক্ষ্মণ চতুর্থ দিবসে অযােধ্যায় প্রত্যাবর্তন করিলেন এবং রামের প্রাসাদে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন—তিনি (রাম) দুঃখাবেগে জলধারাবুলােচনে অনবরত রােদন করিতেছেন। শশাকের বর্ণনা রামায়ণে এই পঙক্তিমাত্রে পর্যবসিত। রাম ধীরােদাও-গুণান্বিত নায়ক, প্রাকৃতের ন্যায় শােক্যভিভূত হইয়া মুক্তকণ্ঠে বিলাপ তাদৃশ নায়কের প্রকৃতি-বিরােধী; তাঁহার “জলধারাকুললােচনই অন্তগুঢ় ঘনব্যথ শােকশল্যের দারুণ বেধন-বেদনার নীরব নিদর্শন। তাই পঙক্তিমাত্রে শােক বর্ণনা সমীচীনই মনে হয়। উত্তর চরিতে এই মর্মন্তুদ শশাকের করুণ রসাত্মক অনেকগুলি শ্লোক আছে; তাহাদের দুইটির বঙ্গভাষায় অনুবাদ উদ্ধৃত করিলাম। সহৃদয় পাঠক শােকের তীব্রতা ইহাতে অনুভব করিতে সে কৃত করলাম। সহৃদয় পাঠক শশাকের তীব্রতা ইহাতে ত করিতে পারিবেন, বােধ হয়।