সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউট বইটি এমন নয় যে অনেকমনীষীদের উক্তি ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিয়ে ভরা। এমনকি এটা অনুপ্রেরণার উক্তিতেওযে ভরপুর তা নয়। অনেকের কাছে এটা সত্য নাও লাগতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে বড়কথা হচ্ছে এটা এমন এক বই যা পাঠ করলে আপনি আপনার দুই পায়ে ভর দিয়েউঠে দাঁড়াবেন এবং একটি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ আরম্ভ করবেন যতক্ষণপর্যন্ত না আপনি সাফল্য অর্জন করছেন। কথাটা জাদুর মতো মনে হলেও এটাপুরোপুরি সত্য। এই বইটি পুরোপুরি বাস্তবতা কেন্দ্রিক। বইটিতে বিশ্বের বড় বড় অসংখ্যলোকজনের সাফল্য যাত্রা সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে; তারা কী ধরনের বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হয়েছে এবং কীভাবে সেগুলোর মোকাবিলা করেছে তাও বলাহয়েছে। এসব ঘটনাবলি থেকে নেপোলিয়ন হিল কিছু সাধারণ সূত্র আবিষ্কার করেনযা যেকোন মানুষই তার জীবনে কাজে লাগাতে পারে। আর কেউ যদি এই সূত্রগুলোতার বাস্তব জীবনে কাজে লাগায় তবে তার জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটবে, যাঅবশ্যই ইতিবাচক। আমার পক্ষ থেকে কিছু সর্তক বাণী : আপনার মধ্যে যদি জীবনে সাফল্যঅর্জনের একটি তীব্র আকাক্সক্ষা না থাকে তবে এই বই ধরার দরকার নেই। আপনিযদি আপনার মধ্যে বিস্ময়কর পরিবর্তন দেখতে না চান তবে এই বই কেনার দরকারনেই। আপনার পক্ষেও যে সাফল্য অর্জন সম্ভব এটা যদি আপনি অন্যদের দেখাতেনা চান তবে এই বই পড়ার দরকার নেই। আপনি যখন এই বইটি পরিপূর্ণভাবে পাঠ শেষ করবেন ও বুঝবেন, তখনদেখবেন আপনি আর আগের ব্যক্তিটি নেই; এমনকি আপনি চাইলেও আর আগেরমতো থাকতে পারবেন না। সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউট বইটি কেবল অনেক চিন্তা-ভাবনার স্তুপ নয়, এটা নেপোলিয়ন হিলের ২০ বছরের গবেষণা ও সাধনার ফল।বইটি পাঠ শেষে আপনি দুইভাগে জীবন যাপন করবেন। প্রথম ভাগ হলো বই পাঠেরআগের জীবন। আর দ্বিতীয় ভাগ হলো বই পাঠের পরের জীবন। আমি আমার এইপরের ভাগের জীবন অতিবাহিত করছি। সাফল্য অর্জনের জন্য ইচ্ছাই যথেষ্ট নয়, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর যেপথ বা যাত্রা সেই অভিযানে হেঁটে চলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যাত্রাপথে যখনআমরা এগিয়ে যাবো তখন অনেক সমস্যারই আমরা সম্মুখীন হবো, অনেকপরিস্থিতিতে পড়ে আমরা ভয় পাবো, আমাদের মনোযোগ সরে যাবে (চলচ্চিত্র, টিভিবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা), আমরা এটা বুঝতে না পেরে আশাহত হবো;যেমনটা আমার হয়েছে।