হাজারো প্রশ্নের জবাব-১, বইটি পাঠকের মাঝে অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা পায়। আর তাই পাঠকের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রকাশিত হলো হাজারো প্রশ্নের জবাব-২। ধ্যানের মাধ্যমে নিজের প্রতিভা বিকাশ করা ,ক্যারিয়ারে সাফল্য, শিক্ষার পথকে সুগম করা্ ইত্যাদি, জীবনের বিভিন্ন স্তরে কীভাবে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হয় তা জানা যায়। এখানে বইটি থেকে সামান্য অংশ তুলে দিচ্ছি : প্রতিকূলতাকে ইতিবাচকভাবে নিন। বুদ্ধি শাণিত হবে। আপনি হয়ে উঠবেন শক্তিমান। ভাবুন মুন্সীগঞ্জের শাহীন মিয়ার কথা। যার মা বিয়ে বাড়িতে মসলা বেঁটে, থালাবাসন ধুয়ে সংসার চালান। বিয়ে বাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার জুটলে খুশি মনে নিয়ে আসেন বাড়িতে তিন সন্তানকে খাওয়াবার আশায়। থাকেন ভাড়া করা একটা ছোট টং ঘরে। ঘরে একটি চৌকি ও একটি টেবিল পাতা। মেঝেতে মা ভাই বোন আর চৌকিতে তিন ভাই বোন জড়াজড়ি করে ঘুমায়। টেবিলটাতে ওরা পালা করে লেখাপড়া করে। ঘরের ভাড়া দিতে হয় মাসে ৭০০ টাকা। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও শাহীন লেখাপড়া চালিয়ে গেছে। ক্লাস এইটে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে এসএস সি-তে এখন স্বপ্ন দেখছে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে আরও এগিয়ে যাবার। সংগ্রাম করে প্রতিকূলতাকে জয় করার যে শিক্ষা বইটি থেকে পাওয়া যায়। তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে পারলে জীবনের নেতিবাচক বিষয়গুলো থেকে নিজেকে মুক্ত করা সম্ভব। মহাজাতকের এই বইটি কোনো গল্পের বই নয়; এ থেকে উপকার পেতে হলে অনুসরণ করে এগোতে হবে। বইটির বহুল প্রচার কামনা করছি।