সাফল্য অর্জনের জন্য কেবল পরিকল্পনাই যথেষ্ট নয়। এই বইয়ের অন্যতম দিক হচ্ছে, সাফল্য অর্জনের জন্য একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দেখার সুযোগ দেওয়া এবং তার পক্ষে যথেষ্ট যুক্তি প্রদান। সাফল্য অর্জনের জন্য প্রচলিত সব দিকগুলো বাদ দিয়ে যা অন্য সকলের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় তা হচ্ছে : সুযোগ, পিতা-মাতার পর্যাপ্ত সাহায্য সহযোগিতা ও দূরদর্শিতা, ব্যক্তিগত প্রচ- প্রচেষ্টা প্রভৃতি। সুযোগ বলতে প্রতিটি দেশ, জাতি ও পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী সামাজিক সুযোগের একটি সম্ভাবনা। ধরুন, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের যে সূচনা সুযোগের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, এই সুযোগকে যারা চিনতে পেরেছে বা ধৈর্য ধরে এর সাথে লেগে ছিল তারাই ত্রিশ বছর পরে সফল পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হয়েছে। তখনকার দিনে, অর্থাৎ আশির দশকে এই কাজটি কিন্তু কেউই করতে চাইতো না। আশির দশকে পোশাক শিল্পে বিনিয়োগ করাটাকে অনেকে বোকামি মনে করতো। কিন্তু আজকের চিত্র ভিন্ন। তবে আজকের চিত্র দেখে যদি আপনি মনে করেন তখনকার সময়েও চিত্রটি এমনই ছিল। তবে তা হবে ভুল ধারণা। কারণ আজকে যা সাফল্যের শিখরে, তা একদিন শুরুতে ছিল সেই শিখরের পাদদেশে, যাতে একমাত্র বৃত্তের বাইরে, অনন্য ব্যক্তিরাই আস্থা রেখেছিল।