তিনি নমরুদ কর্তৃক নানাভাবে নির্যাতিত হয়েও প্রাণ ধারণ করতে সক্ষম হলেন। আল্লাহর কুদরতে তিনি নমরুদ কর্তৃক জ্বলন্ত অগ্নিতে নিক্ষেপিত হয়েও, কোনভাবে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়ে সেই অগ্নিকুণ্ড থেকে অক্ষতদেহে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হলেন। এতে আল্লাহ সম্বন্ধে তাঁর মননশীলতাজাত ধারণা দৃঢ় থেকে দৃঢ়তরভাবে তার মানসে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীকালে আল্লাহর আদেশ তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়বস্তু কোরবান করার যে ফরমান এলাে, এবং মেষ বা উটের পাল কোরবানী করেও যখন তিনি আল্লাহর মনস্তুষ্টি করতে পারেননি, তখন তার কাছে এ সত্যটিই প্রতিভাত হলাে যে, মেষ বা উট তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়তম বিষয় নয়— তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয়তম হচ্ছেন একমাত্র পুত্র ইসমাইল।