‘ভূত নেই’ আর ‘ভুত আছে’_এই দুই বিশ্বাসের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ভূতকে বাঁচিয়ে রেখেছে মানুষ। পৃথিবী জুড়ে ভূতকে নিয়ে ঘটে গেছে নানা কাণ্ডকারখানা। লেখা হয়েছে অসংখ্য বই। তৈরি হয়েছে গা-ছমছমে অজস্র সিনেমা। আঁকা হয়েছে নানান বিখ্যাত ছবি। শিশু-কিশোর পাঠকরা যখন পুরোনো ভূতের গল্প পড়তে পড়তে এক্কেবারে ক্লান্ত, তখন আমরা ঠিক করেছিলাম এবার তাদের উপহার দেব নতুন ভূতের গল্প। সেরকমই ২৫টি গা-ছমছমে ভূতের গল্প নিয়ে এই অভিনব সংকলনগ্রন্থের পরিকল্পনা। নতুন ভূতের গল্প লিখে দিতে প্রতিষ্ঠিত লেখকরা প্রায় সবাই আমাদের জন্য কলম ধরেছেন আর সম্পাদনায় স্বয়ং শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। ভূমিকায় তিনি জানিয়েছেন, ভূত আছে কি নেই_এই সনাতন প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে তিনিও লিখেছেন, কত নেই জিনিস নিয়েই তো গল্প লেখা হয়। আমরাও তাঁর সঙ্গে একমত। তাই ভূত নিয়ে সারা পৃথিবী জুড়ে চলতে থাকুক ধুন্ধুমার সব কাণ্ড। আর সেই ফাঁকে আমাদের সঙ্গে আলাপ হয়ে যাক এইসব নতুন ভূতেদের। চলো, আমরা চটপট পড়ে ফেলি এই ২৫টি নতুন ভূতের গল্প।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২রা নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে তাঁর জীবনের প্রথম এগারো বছর কাটে। ভারত বিভাজনের সময়, তাঁর পরিবার কলকাতা চলে আসে। এই সময় রেলওয়েতে চাকুরীরত পিতার সঙ্গে তিনি বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে তাঁর জীবন অতিবাহিত করেন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের প্রথম গল্প জলতরঙ্গ শিরোনামে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সাত বছর পরে ঐ একই পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে ঘুণ পোকা নামক তার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। ছোটদের জন্য লেখা তার প্রথম উপন্যাস মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি। বর্তমানে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা ও দেশ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় মানবজমিন উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান।