কৈলাস সতীপীঠ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে, শ্রদ্ধেয় অভীক সরকার লিখেছেন, “পতিনিন্দা সহ্য করতে না পেরে আত্মহুতি দিলেন সতী। ক্রোধে, শােকে জ্বলে উঠলেন স্বামী মহেশ্বর। সৃষ্টি বুঝি রসাতলে যায়। শেষ পর্যন্ত বিষ্ণুর চাতুরিতে রক্ষা পেল চরাচর। সুদর্শন চক্র সতীর দেহকে একান্ন টুকরােয় কেটে ছড়িয়ে দিল দশ দিকে। যে সব জায়গায় সেই দেহখণ্ডগুলি পড়ল, সেগুলি হল এক-একটি পীঠ। একান্ন পীঠ-এর মধ্যে উনপঞ্চাশটিই ভারতের বর্তমান ভূখণ্ডে, বাইরে মাত্র দু'টি। এক, তিববতে মানস। দ
সমরেশ মজুমদার (Samaresh Majumder) জন্মগ্রহন করেন বাংলা ১৩৪৮ সনের ২৬শে ফাল্গুন, ১০ই মার্চ ১৯৪২। তাঁর শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের চা বাগানে। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল থেকে। তিনি বাংলায় গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন কোলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে এবং মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মজীবনে তিনি আনন্দবাজার প্রকাশনার সাথে যুক্ত ছিলেন। গ্রুপ থিয়েটারের প্রতি তাঁর প্রচন্ড আসক্তি ছিলো। তাঁর প্রথম গল্প “অন্যমাত্রা” লেখাই হয়েছিলো মঞ্চনাটক হিসাবে, আর সেখান থেকেই তার লেখকজীবনের শুরু। তাঁর লেখা অন্যমাত্রা ছাপা হয়েছিলো দেশ পত্রিকায় ১৯৬৭ সালে। সমরেশ মজুমদারের প্রথম উপন্যাস “দৌড়” ছাপা হয়েছিলো দেশ পত্রিকায় ১৯৭৬ সালে। তিনি শুধু তাঁর লেখনী গল্প বা উপন্যাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী থেকে কিশোর উপন্যাস লেখনীতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস গুলির মধ্যে সাতকাহন, তেরো পার্বণ, স্বপ্নের বাজার, উজান গঙ্গা, ভিক্টোরিয়ার বাগান, আট কুঠুরি নয় দরজা, অনুরাগ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। অনেক অসাধারণ লেখনীর শব্দের এই রূপকার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরষ্কার, ১৯৮৪ সালে সত্য আকাদেমী পুরষ্কার, বঙ্কিম পুরস্কার এবং আইয়াইএমএস পুরস্কার জয় করেছেন। স্ক্রীপ্ট লেখক হিসাবে জয় করেছেন বিএফজেএ, দিশারী এবং চলচিত্র প্রসার সমিতির এওয়ার্ড। সমরেশ কলকাতা, তথা বাংলার সর্বকালের অন্যতম সেরা লেখক হিসাবে পাঠকমন জয় করেছেন।