বাতিকে ধরেছে। নতুন কেন বলব, আগেও ছিল। তবে এতটা ছিল না। ভাস্বতী আবার একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলল—সন্দেহবাতিক রে । সারাক্ষণ নােংরা নােংরা সন্দেহ মাথায় ঘুরছে। তুমি ওই ছেলেটার সঙ্গে কথা বলাে কেন ! ওর দিকে তাকিয়ে হাসলে কেন! অফিস থেকে ফিরতে এত রাত হল কেন! রাহুলকে তাে তােরা দেখেছিস, বুবলুর জন্মদিনে এসেছিল, খুব ক্যারিকেচার করছিল...তনুশ্রীর ভাই...আমার থেকে ছেলেটা কত ছােট, আমার ভায়ের মত...তাকে নিয়ে পর্যন্ত কী ভাষায় যে কথা বলে তুই কল্পনাও করতে পারবি না দাদা।
সুচিত্রা ভট্টাচার্য ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ১০ই জানুয়ারি ভারতের বিহারের ভাগলপুরে মামারবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও তাঁর পিত্রালয় ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে, তবে কলকাতা শহরে তাঁর স্কুল ও কলেজ জীবন কাটে। তিনি কলকাতা শহরের যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে স্নাতক হন।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের সময় তিনি বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। বিভিন্ন স্থানে চাকরি করার পর তিনি সরকারী চাকরিতে যোগদান করেন। লেখিকা হিসেবে সম্পূ্র্ণ রূপে সময় দেওয়ার জন্য তিনি ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৫ সালের ১২ই মে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে তাঁর বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুচিত্রা ভট্টাচার্যের জীবনাবসান হয়।