বােবা-বােবা চেহারার বাড়ি। ছােট ছােট ফোকরচোখ জানলা আর চুনখসা খিলানের হাঁ। টুল-পাতা রেস্তোরাঁর সদাব্রত, সাজো-বাসি ধােবাখানা, তারপর, কী আশ্চর্য, তারপর একটা পার্ক। মরা ঘাস, ভাঙা রেলিং, কাঠা দুই জমি, তবু তাে পার্ক। রুদ্ধশ্বাস ইটকাঠের মধ্যে একটুখানি অক্সিজেনের আশ্বাস। আরও খানিক এগিয়ে, দু-তিনটে মােড় ঘুরে, তবে কিনু গােয়ালার গলি। পাশাপাশি চারটে শরীর গলে কি গলে না এমন গলি। এ-রাস্তা মোেটরের মুখ দেখেনি, ট্রাম-বাসের ক্ষীণতম ঘর্ঘরও পার্ক পর্যন্ত এসে মিলিয়ে গেছে; ছ্যাকড়া গাড়িও ঢুকতে চায় না। কখনও সখনও দু-একটা রিকশা ঢােকে, ঢুকেই পালাই-পালাই করে।