বঙ্কিমচন্দ্রের বয়স যখন আটচল্লিশ বৎসর, তখন তাহার কৃষ্ণ-চরিত্র’ পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়, এবং সেই সময়ে প্রচারে’ তিনি গীতার ব্যাখ্যা লিখিতে প্রবৃত্ত হন। কৃষ্ণ-চরিত্রের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে তিনি লিখিয়াছেন-“আমার দুরাকাঙ্ক্ষা যে, শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যেও কেই কেহ এই গ্রন্থ পাঠ করেন। তাই আমি ইউরােপীয় মতেরও প্রতিবাদে প্রবৃত্ত। যাঁহাদের কাছে বিলাতী সবই ভাল, যাঁহারা ইস্তক বিলাতী পণ্ডিত, লাগায়েৎ বিলাতী কুকুর, সকলেরই সেবা করেন, দেশীগ্রন্থ পড়া দূরে থাক, দেশী ভিখারীকেও ভিক্ষা দেন না, তাহাদের আমি কিছু করিতে পারিব - না। কিন্তু শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই সত্যপ্রিয় এবং দেশবৎসল। তাহাদের জন্য লিখিব।” বলা বাহুল্য, এই শ্রেণীর শিক্ষিত সম্প্রদায়ের জন্যই তিনি ধর্মতত্ত্ব’ লিখিয়াছিলেন এবং গীতার ব্যাখ্যা লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। কিন্তু দেশের দুর্ভাগ্য যে, সে ব্যাখ্যা তিনি আর শেষ করিয়া যাইতে পারেন নাই।
ঝংকার মাহবুব। BUET থেকে ২০০৭ এ পাশ করার পর নিজস্ব ফার্মে কনসালটেন্ট হিসাবে কাজ করে। ২০১২ সালে নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার্স ডিগ্রী শেষ করে বর্তমানে শিকাগো শহরে nielsen এ ওয়েব ডেভেলপার হিসাবে কাজ করছে। খুব অল্প বয়সেই লেখালেখি শুরু করেন ঝংকার মাহবুব।