আশাপূর্ণা দেবীর লেখায় নেই কোন মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা অথবা ইতিহাস-ভূগােলের বিস্তীর্ণ ও ব্যাপক অভিজ্ঞতার স্বাদ। তিনি মূলত চার দেওয়ালের চিত্রকর, সংসারের চৌহদ্দির মধ্যেই তিনি চিরকাল খুঁজেছেন মানবজীবনের চিরন্তন সুখ-দুঃখের চাবি। যে-মানুষগুলােকে আমরা প্রতিনিয়ত চিনি কিন্তু জানি না, জানি কিন্তু চিনি না, অসামান্য প্রতিভার যাদুস্পর্শে তিনি দেখিয়েছেন আমাদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি কোথায়, কী রহস্য সর্বদা লুকিয়ে থাকে জীবনের মর্মমূলে। অথচ এমনই আশ্চর্য, তিনি তথাকথিত শিক্ষার সূত্রে তাঁর লেখার উপকরণ সংগ্রহ করার সুযোেগ পাননি, বাইরের জগতে গিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের হৃদয়ে কান পাতার উপায় ছিল না তার।