সহানুভূতিই ছিল তার চরিত্রায়ণের মূল সুর। অপাঙক্তেয়, ব্রাত্য ও নানা কারণে সমাজে নিন্দিত মানুষেরাও আশাপূর্ণার স্নেহব্যাকুল করুণা থেকে বঞ্চিত হয়নি; যে শিল্পীজনােচিত উদারতায় তিনি অভিজাত সমাজের সর্বতােসার্থক মানুষের জীবনদর্পণ রচনা করেছেন, সেই একই কুশলী মহিমায় তিনি চিত্রিত করেছেন সমাজের নিচু তলার ব্যর্থ-বিড়ম্বিত মানুষের স্থলনবৃত্তান্ত। এই নির্মোহ কথকতাই তাঁর রচনায় এনে দেয় দার্শনিকতার সুর, নির্লিপ্তির বেদনাঘন ছায়া।