যেহেতু আরম্ভের আরম্ভ থাকে সেই হেতু সুবর্ণলতা-র মা সত্যবতীর জোরালাে ব্যক্তিত্বের উৎসে পৌছােতে গেলে সত্যবতীর বাবা-র সংগ্রামী ব্যক্তিত্বে গিয়ে পৌছােতে, হয়। গ্রাম থেকে বিতাড়িত সত্যবতীর বাবা আবার গ্রামেই ফিরে এসে কবিরাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। মেয়েকে তিনি প্রশ্রয়ই দিয়েছিলেন, তার নিজস্ব ন্যায়-অন্যায় বােধ যাতে জেগে ওঠে। ফলে তিনি নিজেই যখন একটি মেয়েকে আসন্ন বৈধব্য থেকে বাঁচাবার জন্যে তাঁর নিজের ভাইপাে-র স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তারই সতীন করে নিয়ে এলেন তখন ভাইপাে-র সদ্য বিবাহিত প্রথম স্ত্রীর মানসিক কষ্টের কথা একবারও ভাবলেন না। আর তখনই নিজের মেয়ের কাছেই তাঁর অবিবেচনার জন্যে স্পষ্ট কথা শুনতে হয়েছিল। ভাইপাে-র বড় বৌ-এর মনে তাে সত্যিই ‘সতীন কাটার জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছিলেন বাবা!