তাই মন্দির-সংলগ্ন প্রাঙ্গণে কান্তি মুখুজ্জের অনুনয় ভারি সংকটে ফেলল হেমপ্রভাকে। তিনি ভালাে করেই জানেন তার পুত্রবধূ চিত্রলেখা এ সম্বন্ধকে গ্রাহ্যই করবে না। অথচ কান্তি মুখুজ্জে হেমপ্রভার দ্বিধার সুযােগে এ সম্মতি প্রায় জোর করে আদায় করে নিলেন, বিগ্রহকে সাক্ষী মানলেন। অন্তরাল থেকে রসিক বিধাতা যেন এইভাবে দুটি কিশাের-কিশােরীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দিলেন। পাত্র-পাত্রীর অজ্ঞাতে বা অনবধানে তৃতীয় পক্ষ কর্তৃক দুজনের এই সম্পর্ক নির্ধারণ এবং পরবর্তী জীবনে তারই অনিবার্য টানাপােড়েনের জট তৈরি করার সূত্রটি শরৎচন্দ্রের উপন্যাসগুলির স্মৃতি মনে আনে। প্রতিকূল ভবিষ্যতের সঙ্গে প্রচণ্ড সংগ্রামে কার জয় কার পরাজয়—সে কাহিনীর একটা নিজস্ব টেনশান আছে। শরৎচন্দ্রীয় রীতিতেই তার সন্তোষশােভন সমাধান ঘটিয়েছেন আশাপূর্ণা।