রামকালীর দাদা-বৌদি সহ গুরুজন অনুজ সকলেই রামকালীর অনুগত। রামকালী অন্যায় আদেশ কাহাকেও করেন না, একথা সকলেই জানেন ও মানেন। সুচিকিৎসক রামকালী একটি বরযাত্রীর দলে পালকির মধ্যে বরকে দেখিয়া থমকাইলেন। তাহার চেহারায় ঘাের সান্নিপাতিকের আক্রমণ, মৃত্যু আসন্ন, পল্লীর এক কন্যার বিবাহ বন্ধ হইয়া পরিবারটি তদানীন্তন সামাজিক প্রথায় ঘাের অসুবিধায় পড়িবে। তিনি সামান্য কিছুকাল পূর্বে বিবাহিত ভ্রাতুস্পুত্রকে আনিয়া কন্যাটির সহিত বিবাহ দিলেন। ভ্রাতুস্পুত্রের পূর্বের সদ্যবিবাহিত বধূর জীবনে সতীন আনিবার মমর্যাতনা বুঝিবার মতাে মন সেকালের সামাজিক পরিস্থিতির প্রভাবে রামকালীর মতাে বিবেচক মানুষেরও ছিল না। কিন্তু এই ঘটনাটিই সত্যবতীর মনে দারুন আঘাত দিল। ইহা লইয়া সে পিতার সহিত তর্কে নামিতেও দ্বিধা করে নাই।