কেউ বলেন, তিনি বিষন্নতার কবি, আবার কেউ তার লেখনীর মধ্যে এক অতীন্দ্রিয় জীবনবােধের সন্ধান করেছেন। কেউ বলেছেন, জীবনানন্দ মানে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের মেলবন্ধন। কোনাে কোনাে উন্নাসিক সমালােচক আবার জীবনানন্দীয় কবিতাকে দুর্বোধ্য আখ্যা দিয়েছেন। তবে একথা স্বীকার করতেই হবে যে, জীবনানন্দ দাশ বাংলা কবিতায় এমন একটি নাম, যা রবীন্দ্রনাথের পর নির্দ্বিধায় স্মরণযােগ্য। এই যােগ্যতাকে আমরা কীসের নিরিখে পরিমাপ করব? মনে প্রশ্ন জাগে, কবিদের কবিত্বশক্তির বিচার কি এই ভাবে যােগ্যতার মাপকাঠিতে নির্ণীত হতে পারে? রবীন্দ্রনাথের মতাে জীবনানন্দও ছিলেন স্বতন্ত্র প্রতিভার অধিকারী। জীবনানন্দীয় কবিতা বিচার বিশ্লেষণ করতে হলে তার সময় এবং তার যুগকে অনুভব করা উচিত।