তাকে খতম করার জন্য অর্থাৎ তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরি করার জন্য ওরা এখানে এসেছে। এই জেলাশাসকের কৃতকর্মের জন্য মেদিনীপুরের স্বাধীনচেতা দামাল ছেলেদের আদালতে, অনেক আগেই তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। সেটাও জানতে পেরে, প্রাণ বাঁচাতে অতি গােপনে রাতের অন্ধকারে বাংলা থেকে বদলি হয়ে, বিহারের মজফরপুর এসেছে। কাপুরুষরা জানে না যে, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিচারের শাস্তি ওকে পেতেই হবে। হাকিম নড়বে তাে হুকুম নড়বে না। তাই হুকুম বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে, প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম, মজফরপুর এসে, সবকিছু ঠিকঠাক মতাে দেখে নিচ্ছে। জেলাশাসক কিংসফোর্ড কোন্ রাস্তায় অফিসে যায় কখন যায়, কখন ফেরে। কোন গাড়িতে, কোন রাস্তায় যায়।