ছড়িয়ে দেওয়া যায় না এমন আলোর দিকে পিঠ করে দাঁড়িয়ে আছি। একেকটা স্বর আসে কাকেদের ডাকের মতো। রোমশ ঐ হাতের তলায় লুকোনো মার্বেল চোখের কোনায় অপেক্ষা লেখা ছিল। পাত্তা না দিয়ে গাঢ়তর আরও উপেক্ষার দিকে চলে গেছি। এখানে রাতের অভাব বোধ করতে হয়। দিন বড়ো একঘেয়ে আর ঘুণেরা অপ্রতিরোধ্য। খাটের পায়া থেকে সশরীরে উঠে আসা জীব এখন পুঞ্জীভূত ঘামের দিকে চলে যায়। পা গুলি ক্রমশ সরু হয়ে আসছে। টের পাই ও পাড়ার মেয়েরা জল নিতে এসে গল্পের সুবাদে এ ওর গায়ে ঢলে পড়ে। তাদের পুরুষ্ট নিতম্বের দুলুনিতে পা কাঁপে। আঁচল সরে গেলে পিঠের আঁচড়গুলি চওড়া হতে হতে একেকটা মেঘের মতো ফুটে থাকে। জলের আস্বাদ নিতে গিয়ে ঘাট পিছল হয় আরও। শ্যাওলার দেওয়ালটুকু বিবস্ত্র করে তিনতলা ছাত উঠে গেল... খালি পায়ে উঠে আসে একলা মেয়ে। তার বাম তিল স্পর্শ করে সতেজ হাওয়া শাড়ি উড়িয়ে নিতে সাহস পায় দিন দিন।
ঝংকার মাহবুব। BUET থেকে ২০০৭ এ পাশ করার পর নিজস্ব ফার্মে কনসালটেন্ট হিসাবে কাজ করে। ২০১২ সালে নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার্স ডিগ্রী শেষ করে বর্তমানে শিকাগো শহরে nielsen এ ওয়েব ডেভেলপার হিসাবে কাজ করছে। খুব অল্প বয়সেই লেখালেখি শুরু করেন ঝংকার মাহবুব।