বয়স নেহাত কম নয় মহিলার। অন্তত বছর পঁয়তাল্লিশ তাে হবেই। মুখেও ভাঙচুর এসেছে টুকটাক। তবু সাজগােজের কী বহর! চোখে গাঢ় আই-লাইনার, ঠোটে চড়া লিপস্টিক, গালে থুতনিতে ব্লাশ-অনের উৎকট ছােপ। কাঁধ ছোঁওয়া স্টেপ-কাট চুলে সরু সরু সােনালি টান। দামি শিফন শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজটিও বিপজ্জনক রকমের সংক্ষিপ্ত। বােঝাই যায় খুকি সাজার চেষ্টায় মহিলার কোনও খামতি নেই।
সুচিত্রা ভট্টাচার্য ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ১০ই জানুয়ারি ভারতের বিহারের ভাগলপুরে মামারবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও তাঁর পিত্রালয় ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে, তবে কলকাতা শহরে তাঁর স্কুল ও কলেজ জীবন কাটে। তিনি কলকাতা শহরের যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে স্নাতক হন।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের সময় তিনি বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। বিভিন্ন স্থানে চাকরি করার পর তিনি সরকারী চাকরিতে যোগদান করেন। লেখিকা হিসেবে সম্পূ্র্ণ রূপে সময় দেওয়ার জন্য তিনি ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৫ সালের ১২ই মে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে তাঁর বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুচিত্রা ভট্টাচার্যের জীবনাবসান হয়।