হাতিবাগান বিশেষভাবেই ছিল বাংলা বইয়ের বাজার। বিয়ের পদ্য, থিয়েটারের হ্যাণ্ডবিল, কিছু বটতলা, গরাণহাটা, আহিরিটোলার চোথা বই পর্যন্ত এদের কাছে পাওয়া যেত। এতই মুখ ছিলুম যে তার কোনাে দামই তখন দিইনি। একবার অর্ধেন্দুশেখর নাট্য পাঠাগারের ছাপমারা প্রায় সত্তরআশিখানা অত্যন্ত পুরনাে কাব্য আর নাটক এদের কাছে এল। তাদের নামধাম আমার অজানা। আমি তাে যাকে বলে বাশবনে ডােম কানা! শেষ কালে তা থেকে নারাণবাবুই পনের-যােলখানি বেছে দিয়ে বলেছিলেন, সবগুলাে বই যদি নেন তাহলে নাটকের বেলায় একটাকা আর পদ্যের বই আটখানা হিসেবে পড়বে—নেবেন? আমি নিতে পারিনি। বিনােদিনী দাসীর কবিতার বইও এরা দিয়েছিলেন, কিন্তু লেখনী পুস্তিকা ভার্যা পরহস্তগত হলে আর তাে ফেরত আসে না। তাই এখন আর কাছে নেই।