নাটমণ্ডপের মেঝেটা বাঁধানাে হলেও ছাদ পাকা নয়। টিনের চাল। চালের তলায় চটের সিলিং, এখানে সেখানে চালের ফুটো দিয়ে জল পড়ছে। বাইরে সরু দাগের বৃষ্টি এখন মােটা দাগে পড়ছে। আর একটু বাড়লে মুষলধারা। ঠিক বাগান নয়, তবে কালীবাড়ির ঘেরা জমিতে গাছপালা বড় কম নেই। তারই একটার দিকে চেয়ে ছিল গৌরাঙ্গ। দেড় মানুষ উঁচু টগর গাছ। তাতে হাঁদার মতাে দাঁত বের করে অজস্র টগর ফুল ফুটে আছে। এই ফুটে থাকার কোনও মানে হয়? একেই তাে ফালতু ফুল, তার ওপর কেরামতি দেখাতে ফুটেছে হাজারে বিজারে। ফোট শালারা।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২রা নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে তাঁর জীবনের প্রথম এগারো বছর কাটে। ভারত বিভাজনের সময়, তাঁর পরিবার কলকাতা চলে আসে। এই সময় রেলওয়েতে চাকুরীরত পিতার সঙ্গে তিনি বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে তাঁর জীবন অতিবাহিত করেন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের প্রথম গল্প জলতরঙ্গ শিরোনামে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সাত বছর পরে ঐ একই পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে ঘুণ পোকা নামক তার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। ছোটদের জন্য লেখা তার প্রথম উপন্যাস মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি। বর্তমানে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা ও দেশ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় মানবজমিন উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান।