মেয়ে তুমি তােমার মতাে হও। পেশ ও ব্যক্তিজীবনে সাফল্যের পথরেখা নিয়ে লেখা এটি নিঃসন্দেহে একটি ভিন্নধর্মী বই। গত দুই-তিন দশকে এদেশে নারীর অগ্রযাত্রা গর্ব করার মতে। এক সময়ে ধারণা ছিল মেয়েরা কেবল শখের বসে গরের বাইরে কাজ করে। আজ সে ধারণা পালটে গেছে। এখন তারা স্বমহিমায় সব ধরনের পেশায় বিচরণ করছে। ঘরে বাইরে রয়েছে সমানভাবে তাদের পদচারণা। তারপরেও দেখা যাচ্ছে যে, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই "ডিসিশন মেকিং পদে নারীর সংখ্যা অপ্রতুল। কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমস্যাঅনেকাংশেই পুরুষদের চেয়ে আলাদা। সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায়মেয়েদের অংশগ্রহণ যেহেতু কম, সেজন্য অনেক ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত মেয়েদের অনুকূলে যায় না। ফলে তারাই বেশি ভুক্তভােগী হয়। পাশাপাশি তারা একইসাথে পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ঢাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খায়।তাই মেয়েদের প্রয়ােজন নিজেদের আরও বলিষ্ঠভাবে তৈরি করা কর্মক্ষেত্রে সফলতা পেতে হলে তারা ব্যক্তিজীবনকে কীভাবে সাজাবেন, নিজেকে কীভাবে আত্মাবিশ্বাসী এবং অধিকতর যােগ্য করে তৈরি করবেন,তার মূলমন্ত্র নিয়ে লেখা হয়েছে এই বই জীরনের লক্ষ্য নির্ধারণ, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও কন্টিনুয়াস ইমপ্রুভমেন্ট,টাইম ম্যনেজমেন্ট এবং ওয়ার্ক লাইফ ব্যালান্স, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট,ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স, অফিস এটিকেট, টিম ওয়ার্ক, লিডারশিপ-এমন আরও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পেশাগত বিষয়ে একজন নারী কীভাবে নিজেকে তৈরি করবেন সে-সম্পর্কে বাস্তবসম্মত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই বইয়ে। এই বইটি একজন নারী পেশাজীবী জীবনের প্রতি পদক্ষেপে অর্থাৎ ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে রিটায়ারমেন্ট পর্যন্ত কীভাবে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারবেন, সে বিষয়ে পথনির্দেশনা দিবে। বইটি নারীদের পেশাজীবনে সফলতা অর্জনে কিছুমাত্র ভূমিকা রাখলে তার সামগ্রিক ফলাফল হিসেবে সমাজে বহু ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। আশা করি বইটি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হবে। প্রচ্ছদ : আল নােমান