কখনো কখনাে খুনের রহস্যের জট খোলা যায় না। কিছু খুনের রহস্যময়তা হার মানায় দূরতম কল্পনাকেও। আর এই ‘অনুদ্ঘাটিত গল্প জন্মদেয় অশরীরী উপস্থিতির, যে কিনা জানিয়ে যায় পিছনের ভয়াবহ সব ঘটনা। তওহিন মাহমুনের অদমখোরের। এখানেও এসেছিল গল্পগ্রন্থটির প্রতিটি গল্পেই রয়েছে গা হিম হয়ে আসা সেই ‘অশরীরী উপস্থিতি। ভৌভিক কিছু আছে কি নেই, সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ভয় কিন্তু আছেই । রহস্যময়তার প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরন্তন । আর ভয়? সেটা তাে আমাদের ডিএনএ-তে গাঁথা তাই মনে রাখবেন, ভয়ের জিনিস আসতে পারে যেকোনোখান থেকে, যেকোনাে চেহারায়। মিনহাজকে পুরোনো গােরাস্থানে থাকা ভয়ের জিনিস এর গল্প শুনিয়ে মেরে ফেলা হলাে মানসুখ ভাটিয়ার বান্দরবানের বাংলােয় । পিছনে ছিল পার্টনার জাহিরের নিখু্ঁত প্ল্যান । প্রমণহীন খুনটার পর যখন ঢাকায় নিজের বডরুমে প্রশান্তির ঘুমের প্রস্ততি নিচ্ছে, এখনই মােবাইল ফোনটা হাত ফসকে ছিটকে গেল খাটের তলায়। জহির সেট তুলবার জন্য ঝুকতেই একটা গলিত হত তাকে টেনে নিয়ে গেল অস্বকরের জগতে আর পাঠককে পৌ্ঁছে দেয় আতংকেভরা এক ভয়ের দুনিয়ায়। আবার আইটেম নং ৪৩ গল্পটি একটি অদ্ভত বাক্সকে ঘিরে যার ভেতরে কারও ছবি রাখা হবে, মরতে হবে তাকেই গল্পকথকের স্ত্রী সুরাইয়া যখন এই কারণে মারা গেল, সরফরাজ আবদুল্লাহ খুশী হয়েছিল, কারণ এর প্রেমিকাকে মুনকে পাওয়ার পথ পরিস্কার। কিন্ত তারপরেই ঘটে এক অদ্ভত ঘটনা । ভুলক্রমে নিজের মোবাইল ফোনটা বাক্সের ভিতর রেখেছিল সরফরাজ আর তখনই মুন তাকে ফোন করে। ফোনের পুরো স্কিন জুড়ে ভেসে ওঠে মুনের ছবি কাজী আলিম-উজ-জামান উপ বার্তা-সম্পাদক, প্রথম আলো