স্কুলের সামনে টুকটুকি দেখে একটা সাইনবাের্ড। ও মিতুর কাছে জানতে চায়, মিতু ওখানে কী লেখা? মিতু খুশি হয়ে বলে, ওখানে লেখা আছে ‘সব শিশুই শিখতে পারে। জানাে টুকটুকি, সুমনা আপা আমাদের অনেক কিছু শিখতে সাহায্য করেন।
সুমনা বলে, মিতু তােমার বন্ধুকে
সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দাও। মিতু বলে- ও টুকটুকি, সিসিমপুর থেকে এসেছে। ক্লাসের সবাই গান গেয়ে টুকটুকিকে স্বাগত জানায়।
টুকটুকিকে স্বাগতম আমাদের স্কুলে মজা করে অনেক কিছু শিখবাে সবাই মিলে।
সূচিপত্র
* রহস্যের ঝাঁপি
* নুনের মতন ভালবাসা
* চিনি শুধু মিষ্টি নয়
* আগুন! আগুন!
* ফেলনা থেকে খেলনা
* আটকে গেলো দম!
* ঘড়ি চলে টিক্ টিক্
* হাড় কাঁপানো শীতে
* ঠাণ্ডা লেগে কাবু
* মেঘে মেঘে টক্কর
* আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
* টলমল পদভরে
* এসো বিজ্ঞানের রাজ্যে
এক দেশে ছিল এক দর্জি। সে একদিন জ্যাম খেতে গেল। কিন্তু সেখানে কিছু মাছি বসেছিল। দর্জি এক আঘাতে সাতটি মাছি মেরে ফেলল। দর্জি তার কাজে নিজের উপর খুব গর্বিত হয়ে উঠল।
সে একটি বেল্ট পরল। তাতে লেখা ছিল, ‘এক আঘাতে সাত জন। সে তার সেই সাহসী কাজের খবর পৃথিবীকে জানানাের জন্য বেরিয়ে পড়ল।
চলতে চলতে পথে দর্জির সাথে এক দৈত্যের দেখা পেল। দৈত্য দর্জির বেল্টের লেখা দেখে ভাবল সে মনে হয় এক আঘাতে সাতজন মানুষ মেরেছে। দৈত্য তার শক্তি পরীক্ষার আহবান জানাল।
দৈত্য একটি পাথর কুড়িয়ে নিয়ে সেটা চেপে পানি বের করে তার বাহাদুরি দেখাল। দর্জি তার কাছে থাকা এক টুকরা পনির চেপে দুধ বের করল। দৈত্য তা দেখে অবাক হয়ে গেল।
এটি একটি মজার খেলাও বটে। তুমি লুকিয়ে কাউকে পত্র বা খবর দিতে চাও? খামে ভরে মুখ বন্ধ করে দিলেও কেউ জোর করে ছিরে ফেলে তা দেখে নিতে পারে। তাহলে কী করা যায়?
তারচেয়ে যদি এমন গােপনভাবে কোনও পদ্ধতিতে লিখে দেয়া যায়, যাতে কেউ লেখাটাই দেখতে পাবে না। কাগজটা শাদাই থাকলাে ধবধবে।
অথচ তারই মধ্যে কৌশলে লিখে দেয়া আছে গােপন খবরটি। যারা এই গােপন কৌশলটা জানে তারাই শুধু উদ্ধার করতে পারবে এই লেখা।
হাঁটামাত্র পেছন থেকে ভেসে আসা মড়মড় শব্দ সাথে রােব্বির ধাতব পায়ের ছন্দোবদ্ধ আর যান্ত্রিক থপথপে সে টের পায় বড় দেরী হয়ে গেছে। দ্রুতবেগে ঘুরে দাঁড়াতেই সে তার বিজয়ী বান্ধবকে গুপ্ত স্থান থেকে বের হয়ে পূর্ণদ্যোমে বুড়ি ছুতে ছুটে যেতে দেখে।
আফ্রিকা আজ জেগে উঠেছে। শােনা যাচ্ছে কালাে মানুষের গান। আমরাও অনুভব করতে পারি কালাে মানুষদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, আবেগ, রসবােধ, জীবনবােধ সম্পর্কে। যেখানে মানুষ আছে সেখানেই জীবন আছে। আর যেখানেই শােনা যাবে জীবনের স্পন্দন সেখানেই তৈরি হবে গল্প। হাজার হাজার বছর ধরে প্রবাহিত এইসব গল্প আফ্রিকার লােকসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। লােকসাহিত্যেই পাওয়া যায় মানুষ, জীবন ও জনপদকে। কিংবদন্তি কিংবা উপাখ্যান, রূপক গল্প কিংবা প্রবচন, ধাধা কিংবা প্রবাদ—এসবই লােকসাহিত্যের অঙ্গীভূত বিষয়। লােকসাহিত্যেই ধারণ করা হয় রূপকথা, উপকথা কিংবা কিংবদন্তি। আফ্রিকার বিস্তৃত লােকজীবনের লােকগাথা থেকে নির্বাচন করা হয়েছে কিছু রূপকথা ও উপকথা। বিশেষ করে পশ্চিম ও পূর্ব আফ্রিকার দেশসমূহে বিপুল পরিমাণ লােকগল্পের সন্ধান পাওয়া যায়। নাইজেরিয়া, কগাে, ঘানা, মাসাইল্যান্ড, সহেল এলাকা, জুলুল্যান্ড, ইত্যাদি নানাদেশের নানা জাতির গল্পই আফ্রিকার লােকগাথা হিসেবে স্বীকৃত।
‘আর ঘুম আনানাের জন্য আমার কমপক্ষে দুই কাপ কফি লাগে, কফি শেষ করে কাপটা নামিয়ে রাখল রােডা। একটা ডােনাট তুলে নিয়ে কামড় বসাল। হতে পারে আমার নার্ভাস সিস্টেম অতিরিক্ত ক্ষমতাশালী। তাই দেহের শক্তির সঙ্গে মনের শক্তির মিল খায় না । দুটোর মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে আমার কফি দরকার । আর কফি খেলেই শুধু আমার দেহ শান্ত হয়।