হস ছিল, সজারু ,(ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল ‘হসজারু কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে, “বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।”
টিয়ামুখাে গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা
পােকা ছেড়ে শেষে কিগাে খাবে কাচা লঙ্কা ?
ডেথ সিটি। মৃত্যুর শহর। ভয়ংকর সব ঘটনা ঘটে এখানে। রহস্যময় গোলকগুলোর কথাই ধরা যাক। ভুতুড়ে দিঘির পাড়ে, গাছের জটলার মধ্যে ওগুলোর দেখা পেল তিন গোয়েন্দা কিশোর, মুসা ও রবিন। সঙ্গে রোডা, কারিনা ও যোরা। হঠাৎ উজ্জ্ব আলো যেন বিস্ফোরিত হলো। অদ্ভুত পরিবর্তন ঘটল কিশোরের। দিশেহারার মতো ছোটাছুটি করতে লাগল সবাই। শহরটাকে বাঁচানোর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না।
কেন আমরা আজও রূপকথার গল্প ভালােবাসি? নিশ্চয়ই এর কারণ আছে। রূপকথা হচ্ছে মাটি ও মানুষের গল্প। এর নির্দিষ্ট করে কোনাে লেখক নেই। কে বা কারা পুরনাে দিনের রূপকথা তৈরি করেছেন তা জানারও কোনাে উপায় আজ নেই। তবে রূপকথা ব্যাপক অর্থে লােকসাহিত্যের অন্তর্গত। তাই রূপকথার মধ্যে পাওয়া যায় জনজীবনের গন্ধ, ভৌগােলিক পরিবেশের স্পর্শ এবং ইতিহাসের বর্ণ।
এই অদ্ভুত ভদ্রলােকের নাম কুইক্সাডা। বয়স ছিল পঞ্চাশের কাছাকাছি। তবে শিকারের খুব নেশা ছিল তার। ভাল স্বভাবের এই মানুষটি বই পড়তেও খুব ভালােবাসতেন। আর তার বেশিরভাগ বই ছিল মধ্যযুগের নাইটদের দুঃসাহসিক কীর্তিকাণ্ড ঘিরে। নাইটদের ওপর বই কিনতে গিয়ে কুইক্সাডা প্রায় ফতুর হয়ে যান, নিজের জমির অনেকটা অংশ বিক্রি করে দিতে হয় তাকে। বই পড়ার সময় আশপাশের সব কিছু ভুলে তিনি । বিচরণ করতেননাইটদের রাজত্বে।
ময়নাগড়ের দিঘির ধারে সন্ধেবেলায় চুপটি করে বসে আছে বটেশ্বর। চোখে জল, হাতে একখানা বাঁশি। পুবধারে মস্ত পূর্ণিমার চাঁদ গাছপালা ভেঙে ঠেলে উঠবার চেষ্টা করছে। দিঘির দক্ষিণ দিককার নিবিড় জঙ্গল পেরিয়ে দখিনা বাতাস এসে দিঘির জলে স্নান করে শীতল সমীরণে পরিণত হয়ে জলে হিলিবিলি কাঁপন তুলে, বটেশ্বরের মিলিটারি গোঁফ ছুঁয়ে বাড়িবাড়ি ছুটে যাচ্ছে। চাঁদ দেখে দক্ষিণের জঙ্গল থেকে শেয়ালেরা ক্যা হুয়া, ক্যা হুয়া’ বলে হিন্দিতে পরস্পরকে প্রশ্ন করছে। বেলগাছ থেকে একটা প্যাঁচা জানান দিল হাম হ্যায়, হাম হ্যায়।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, মানসিক বয়স নির্ধারণ করা। এমন কোন যান্ত্রিক উপায় আবিস্কৃত হয়নি যা দিয়ে যে কারুর মানসিক বয়সের সঠিক পরিমাপ করা যায়। তাহলে বুদ্ধির মাপ নেওয়া যাবে কিভাবে? বুদ্ধি জিনিসটাই বা আসলে কি? এ নিয়ে মনােবিজ্ঞানীদের মধ্যে আছে নানান মতামত। কেউ মনে করেন বুদ্ধি হল বুঝতে পারার ক্ষমতা, কেউ বা বলেন একজন লােক কতটা শিখেছে বা বুঝেছে তা দিয়েই বােঝা যাবে তার বুদ্ধির দৌড়। কেউ বা মনে করেন, প্রাকৃতিক নানান ঘটনাপ্রবহ ও পরিবেশ এবং পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলতে শেখার ক্ষমতাই হল বুদ্ধি। আবার পরিস্থিতি বা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে গেলে পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা করা কিংবা আয়ত্ব করার কৌশল রপ্ত করা দরকার। আর তাতেই পাওয়া যাবে বুদ্ধির পরিচয়।
কাশীবাবু সকালে তাঁর বাগানে গাছপালার পরিচর্যা করছেন। সঙ্গে তাঁর বহুকালের পুরনাে মালি নরহরি। নরহরি শুধু মালিই নয়, সে বলতে গেলে অনেক কাজের কাজি। তবে সে ভারী ভিতু লােক, দুনিয়ার সব কিছুতেই তার ভয়। দিনেদুপুরে একটা গােলাপ ডালের ন্যাড়া মাথায় গােবরের টুপি পরাতে পরাতে হঠাৎ সে বলে উঠল, “হয়ে গেল! ওই এসে পড়েছে। আর উপায় নেই কর্তামশাই, সব চেঁচেপুঁছে নিয়ে যাবে।”
গণিতকে সবার কাছে আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে আমার লেখা ‘৫০৫ গাণিতিক কুইজ’ বইটির প্রতি পাঠকের উৎসাহ আমাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। বাংলাদেশে এখন প্রতিবছর গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজিত হচ্ছে। এটা হল মেধার বিকাশ ও জ্ঞানার্জনের অনুকূল একটি সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতিকে ধারাবাহিকভাবে আরো বিকশিত ও গতিশীল করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এবং সকল উৎসাহী গণিতানুরাগীদের সৃজনশীলতা বাড়িয়ে তোলার লক্ষ্যে সম্পূর্ণ নতুন গাণিতিক কুইজ সমন্বিত আরও ৫০৫ গাণিতিক কুইজ বইটি প্রকাশ করা হলো।
এই বইয়ে রয়েছে গণিতের ইতিহাস, থিওরি, ফর্মুলা, আইকিউ, পাটীগণিত,বীজগণিত, জ্যামিতি, যুক্তি ও গণিতের অন্যান্য বিষয়ের ওপর সোজা থেকে কঠিন মিলিয়ে ৫০৫ টি কুইজ বা সমস্যা এবং উত্তর ও সমাধান। কোন সমস্যাটি সোজা বা কঠিন তা নির্ভর করবে পাঠকের Intelligence গণিতের তাত্ত্বিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার উপর। কুইজ নির্বাচনে পাঠকের সুবিধার্থে এ বইয়ের সব কুইজ ও সমস্যাকে মোটামুটি কয়েকটি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। অধ্যায়ের শিরোনাম থেকে বোঝা যাবে কুইজগুলো কোন ধরনের কুইজ যা সমস্যার উত্তর বা সমাধান দেখার আগে নিজে চেষ্টা করে দেখা উচিত সমস্যাটি সমাধান করা যায় কীনা। প্রয়োজনে দীর্ঘ সময় নিয়ে চিন্তা ও চেষ্টা করে দেখা উচিত। নিজে সমাধান করার মধ্যে রয়েছে আনন্দ। সৃজনশীলতা ও কল্পনা শক্তির বিকাশে তা হবে সহায়ক।
গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়িতে আসতেই ডার্সলিরা হ্যারি পটারের সাথে এমন নিচ ও ভয়ানক আচরণ শুরু করলো যে, হ্যারি হোগার্টাস স্কুল অব উইচক্রাফট ও উইজারিতে ফিরে যেতে ছটফট করতে লাগলো। কিন্তু হ্যারি যখনই তার জিনিসপত্র গুছাতে লাগলো ঠিক তখনই, এক দুষ্ট প্রকৃতির অজানা জন্তু হ্যারিকে হোগার্টে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে সাবধান করে দিল যে, ভীষণ বিপদ হবে। আসলেই বিপদ শুরু হল। হোগার্টে হ্যারির দ্বিতীয় বর্ষে নতুন সব ভয়ানক পরিস্থিতর আবির্ভাব ঘটতে থাকে, যার মধ্যে ছিল এক অত্যাচারী অধ্যাপক আর মেয়দের বাথরুমে হানা দেয়া এক দুষ্টাত্মা। তারপর শুরু হল আসল বিপদ-কেউ যেন হোগার্টের ছাত্রদের পাথর বানিয়ে দিচ্ছে। সে কি হতে পারে ড্রাকো ম্যালফয়? সে কি হতে পারে হ্যাগ্রিড, যার অতীত রহস্যও অবশেষে এখানে উন্মোচিত হয় কিংবা হতে পারে কি, যাকে সবাই সন্দেহ করছে, হ্যারি পটার নিজেই!
মানিকের সাথে রতনের পরিচয় হয়েছে বছর খানেক আগে। মানিক হচ্ছে একজন কবি আর রতন হচ্ছে একজন বিজ্ঞানী, দুজনের কাজকর্ম একেবারে আলাদা আলাদা জায়গায়। তাদের কখনাে দেখা হওয়ার কথা না। মানিক যখন পুরানাে বইয়ের দোকানে উইয়ে খাওয়া বই ঘেঁটে বেড়ায় রতন তখন পুরান ঢাকার ধােলাইখালে ভাঙা যন্ত্রপাতি টানাটানি করে। বৃষ্টির দিনে মানিক যখন বিছানায় আধশােয়া হয়ে ঢুলুঢুলু চোখে কবিতা পড়ে রতন সেই সময় তার ল্যাবরেটরিতে কোনাে একটা বিদঘুটে যন্ত্রের উপর উবু হয়ে বসে থাকে। গভীর রাতে মানিক যখন নিউজপ্রিন্টের কাগজে বল পয়েন্ট কলম ঘষে ঘষে উত্তর-আধুনিক কবিতা লেখার চেষ্টা করে রতন তখন কম্পিউটারের সামনে বসে জটিল কোনাে যন্ত্রের ডিজাইন করে-কাজেই তাদের দুজনের দেখা হওয়ার কোনাে সুযোেগই ছিল না।
দুজনের জন্মদিন নিয়ে ওদের বাবা-মায়ের এক একটি গল্প আছে। ওদের মা রাহেলা বলে, যেদিন রুমার জন্ম হয় সেদিন বাড়ির উঠানের শিউলি গাছটা ফুলে ফুলে ভরে ছিল। এত ফুল নাকি আর কখনাে দেখেনি রাহেলা বানু। খুশবু ছড়িয়ে গিয়েছিল চারদিকে।
কাহিনী সংক্ষেপ: অন্ধকার রাতে রাকিব আর আকাশ দেখতে পায় একটা ক্লাসরম্নমে লাইট জ্বলছে, ফ্যান ঘুরছে। কিন্তু এতোরাতে কেন ক্লাসে লাইট-ফ্যান চলবে? লাইট-ফ্যানের রহস্য উদঘাটনের জন্যে অভিযানে নামে রাকিবসহ তার একদল বন্ধু। এরমধ্যে আবু বকর ভাই সেই ক্লাসরম্নমে লাশ বহনের খাটিয়া দেখতে পান। একটা লাশও ছিল খাটিয়ায়। রহস্যময় সেই ক্লাসরম্নমের ফ্যানে একদিন একটা লাশ ঝুলতে দেখেন নাজমুল ভাই। কেন ক্লাসরম্নমকে ঘিরে এতো এতো রহস্য? একদিন রাকিবরা নাজমুল ভাইয়ের বালিশের নিচে দেখতে পায় একটা পিস্ত্মল। এদিকে আবু বকর ভাই রাকিবদের কাছে ফাঁস করেন একটা গোপন কথা। কী সেই গোপন কথা? তার কথা শুনে কি রাকিবরা ক্লাসরম্নমের রহস্য উদঘাটন করতে পারবে?