কাজী আনোয়ার হোসেন ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রচন্ড নাশকতমূলক তৎপরতা চালাচ্ছে মনাদিল দাউদের অ্যাকশন পার্টি। মনে হচ্ছে এরা সাচ্চা মুক্তিযোদ্ধাই বটে! কিন্তু রানা লক্ষ করছে এদের অ্যাকশনের ফলে ইসরায়েলিদের কারও কোন ক্ষতি হচ্ছে না, মারা পড়ছে নিরীহ আরব শিশু, নারী, বৃদ্ধ। এই মনাদিল দাউদই কেড়ে নিতে যায় ফ্রিডম পার্টির জন্যে আনা অস্ত্র। চায় বশির মাজায়েলের লুট করা বাংলাদেশের সম্পত্তি টন সোনার সন্ধান, তারই ভাইঝির প্রেম!
দাবা বড়ই মজার খেলা। বুদ্ধির খেলা। চিন্তা-শক্তির খেলা। টুর্নামেন্ট দাবা কিন্তু খুবই সিরিয়াস খেলা। দাবা খেলায় কোন ফাঁকি-ঝুঁকির অবকাশ নেই। সারাক্ষণই খেলােয়াড়দের সজাগ-সতর্ক থেকে কঠিন স্নায়ুযুদ্ধ লড়ে যেতে হয়। এটা দস্তুরমত দুই সেনাপতির মধ্যে মুখােমুখি যুদ্ধ। এখানে সেনাপতির ভূমিকায় যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী খেলােয়াড়—সাদা আর কালাে। এসাে এবার আধুনিক দাবা খেলার সাথে তােমাদের পরিচয় করিয়ে দেই।
মা চোখ পাকিয়ে বললেন, ফাজলামি করবি না। যা বলেছি কর। ট্রেনে যাবি-আসবি তাের সমস্যাটা কোথায়?
কাজেই রাজুকে বিয়ের কার্ড নিয়ে সিলেট দৌড়াতে হল। সে কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। এই বয়সটার নানারকম যন্ত্রণা, ছােট বলে আলাদা করে কেউ আর আলাদা করে খাতির-যত্ন করে না, আবার বড় হয়ে গেছে বলে কেউ স্বীকার করে না। যত রকমের নােংরা কাজগুলাে তার ঘাড়ে এসে পড়ে। সিলেট যাওয়া অবশ্যি ঠিক নােংরা কাজের মাঝে পড়ে না। সত্যি কথা বলতে কী সে এই দায়িত্বটা পেয়ে বেশ খুশিই হয়েছে, না হলে তাকে ডেকোরেটরের কাছে আর দর্জির কাছে দৌড়াদৌড়ি করতে হত। তাছাড়া মামার সাথে অনেকদিন দেখাসাক্ষাৎ নেই, একটু পাগলাটে মানুষ—কিন্তু তাদের খুব আদর করেন।
মাটি খোঁড়া থামিয়ে বেলচায় ভর দিয়ে দাঁড়াল রেজা মুরাদ। ছােট ভাইকে বলল, সুজা, বলবি নাকি ওকে?'
কাজ থামিয়ে ফিরে তাকাল নেড ব্রাউন। ওদেরই বয়েসী। আমেরিকান। বেশির ভাগ সময় হাফপ্যান্ট পরে থাকে। পেটে যেন রাজ্যের খিদে। সারাক্ষণ খালি খাই খাই করে।
যাই হােক, রেজার কথা শুনে সতর্ক হয়ে গেছে নেড। বলল, মনে হচ্ছে জরুরি কোনাে খবর আছে তােমাদের কাছে? দেখাে, ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা কোরাে না বলে দিলাম। তােমরা কথা দিয়েছিলে, গরমের ছুটিতে এখানে সুইমিং পুল বানাতে সাহায্য করবে আমাকে।'
একটা পুরানাে, শুকনাে ডােবা পরিষ্কার করে সুইমিং পুল বানাতে চাইছে তিন বন্ধু ।
কিশু-কিশোররা পছন্দ করে গল্প শুনতে, আর হাসির গল্প হলে তো কথাই নেই। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ অসাধারণ কথক, গল্প বলায় তাঁর ক্ষমতার তুলনা হয় না। তাঁর কিশোরসমগ্র গ্রন্থে তিনি শুনিয়েছেন এমনি সব মজার গল্প, যে গল্প আরম্ভ করলে শেষ না করে উপায় থাকে না। নিজের জীবনেরই গল্প বেশির ভাগ। তাঁর অভিজ্ঞতা ও উপলদ্ধির গল্প। যেগুলোকে স্মৃতিকথা বা নিবন্ধ হিসেবে অভিহিত করা যায়। নিজের শিক্ষকদের কথা, শৈশব ও কৈশোরের নানা আনন্দ-বেদনার স্মৃতি যেমন এই বইয়ে ঠাঁই পেয়েছে, তেমনি এই বইয়ে আছে লাইসেন্স দিয়ে বাঘ মারার মজার গল্প, আবার ব্রাহ্মণের বাড়ির কাকাতুয়ার গল্প, আছে শিশুকিশোর সমাবেশে তাৎক্ষণিকভাবে বলা বক্তৃতা। গল্পই বলেন আসলে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, কোনো গুরুতর বিষয়ের আলোচনাও করেন গল্পের মাধ্যমে, নানা রসের মোড়ক পরিয়ে, আবার গল্পের ছলে তিনি পরিবেশন করেন দেশ-কাল-জীবন-জগৎ সম্পর্কে তাঁর প্রজ্ঞাজাত উপলদ্ধির সারকথাগুলো। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের চমৎকার প্রসাধগুণময় গদ্য এই গন্থের এক বিশাল সম্পদ।এই বই শিশুকিশোরদের দেবে আনন্দ, দেবে খুশি আর উৎসাহে ভরা এক অফুরন্ত জগতের সন্ধানে, সেই সঙ্গে তাদের সামনে খুলে যাবে মেধা-মনন-মনীষার এক আলোকিত জগতের দরজা।
আনিসুল হক
সূচিপত্র
*দুজন বেতিয়ে লাল-করা শিক্ষক
*আমার বোকা শৈশব
*পেতেই যদি হয় তো সোনার হরিণ
*ক্যামেরা সামনে
*ছাদের আকাশ
গল্পটাই আগে বলব, না, গল্প যাঁর মুখে শােনা, সেই ঘনশ্যাম-দার বর্ণনা দেব, বুঝে উঠতে পারছি না। গল্পটা কিন্তু ঘনশ্যাম-দা, সংক্ষেপে ঘনাদার সঙ্গে এমন ভাবে জড়ানাে, যে তাঁর পরিচয় না দিলে গল্পের অর্ধেক রসই যাবে শুকিয়ে। সুতরাং ঘনাদার কথা দিয়েই শুরু করা বােধ হয় উচিত।
ঘনাদার রােগা লম্বা শুকনাে হাড়বারকরা এমন একরকম চেহারা, যা দেখে বয়স আন্দাজ করা একেবারে অসম্ভব। পঁয়ত্রিশ থেকে পঞ্চান্ন যে কোনও বয়সই তাঁর হতে পারে। ঘনাদাকে জিজ্ঞেস করলে অবশ্য একটু হাসেন, বলেন, “দুনিয়াময় টহলদারি করে বেড়াতে বেড়াতে বয়সের হিসেব রাখবার কি আর সময় পেয়েছি! তবে—” বলে ঘনাদা যে গল্পটা শুরু করেন, সেটা কখনও সিপাই মিউটিনির, কখনও বা রুশ-জাপানের প্রথম যুদ্ধের সময়কার। সুতরাং ঘনাদার বয়স আন্দাজ করা আমরা ছেড়ে দিয়েছি। শুধু এইটুকুই মেনে নিয়েছি যে গত দুশাে বছর ধরে পৃথিবীর হেন জায়গা নেই যেখানে তিনি যাননি, হেন ঘটনা ঘটেনি যার সঙ্গে তাঁর কোনও যােগ নেই।
শপথ নিলাম জীবন দিলাম
যুদ্ধে সবাই গেলাম
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে
স্বাধীনতা পেলাম।
ও ভাই স্বাধীনতা পেলাম ।
যুদ্ধে যারা শহীদ হলাে
জানাই তাদের সেলাম
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে
স্বাধীনতা পেলাম ।
ও ভাই স্বাধীনতা পেলাম।
কোথায় গেলেন বিজ্ঞান আসিফ হায়দার চৌধুরী? কারা কিডন্যাপ করল তাঁকে?.. মরুভূমির ভেতর ডেভিলস ওয়েসিস কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে তাঁকে। একের পর এক বাধার মুখে পড়ে পড়ে রানার মনে হলো, এবার বুঝি হার মানতেই হবে। আসরে কারাগারের ভিতরে ঢোকা যত সোজা, তার চেয়ে ১০০ গুণ কঠিন বেরিয়ে আসা। রানা জানে না, আসলে বিজ্ঞানী আছেনিই বা কারাগারের ঠিক কোন জায়গাটিতে ! এবার কাহিনির সামান্য অংশ এখানে তুলে দিচ্ছি : ভীষণ চমকে গিয়ে একমুহুর্তে রানা ভুলে গেল, ও কে এবং কোথায় আছে। ঝনঝন করছে মাথার ভিতরের মগজ। কানে ঢুকল দূরের গোলাগুলির আওয়াজ। এক সেকেণ্ড পর মনে পড়ল কী ঘটেছে। চট্ করে চোখ মেলল রানা, পরক্ষণে শিউরে উঠল ভয়ে। বুদ্বুদ তোলা তেলের প্রস্রবণ গলগল করে নামছে রিগের পায়া বেয়ে, সেখান থেকে চল্লিশ ফুট দূরে আছে ও। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে আকাশে উড়ে যাওয়ার কথা কিন্তু আপার ডেক ঘিরে রাখা সেফটি নেটের ভিতর জড়িয়ে রয়ে গেয়েগেছে। যে কণ্টেনারের পিছনে লুকিয়ে পড়েছিল, সেটা এক ক্রুড অয়েলে ছাওয়া সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। কিন্তু আরপিজি ডেটোনেট হওয়ার সময় যে লোককে সরিয়ে এনেছিল, তার কোনে চিহ্ন নেই কোথাও। এখনও থরথর করে কাঁপছে নেট, চট করে উপুড় হলো রানা, মাকড়সার মত তিরতির করে রওনা হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর প্ল্যাটফর্মের পাশে পৌঁছে গেল ও, খুব সাবধানে উঁকি দিল ওদিকে। রিগের নিয়ন্ত্রণ েএখনও বজায় রেখেছে মার্সেনারিরা, ওর নিজের লোকরা পিছিয়ে পড়েছে, কমে আসছে তাদের গোলাগুলি... রানা সিরিজের ৪২৩ ও ৪২৪ তম বইয়ের এই কাহিনি একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে ওঠার কোনো উপায় নেই। কাহিনির সঙ্গে মানানসই প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী রনবীর আহমেদ বিপ্লব। লাইম লাইট-২ শীঘ্রি পাঠকজনপ্রিয়তা অর্জন করবে।