অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল সমাজের বিভিন্ন স্তরের নবীন ও প্রবীণদের থেকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হন। তিনি গুরুত্ব ও সহৃদয়তার সঙ্গে সে-সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন। এ-গ্রন্থে তেমনি কিছু চিত্তাকর্ষক প্রশ্ন এবং সেগুলোর উত্তর আছে। দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, মক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি নানা বিষয় সম্পর্কে কিছু জীবন্ত সমস্যা ও কৌতুহলোদ্দীপক প্রশ্নের আলোচনা আছে এ গ্রন্থে। বইটি পড়লে পাঠকের দৃষ্টি খুলে যায় এবং আরো অনেক জিজ্ঞাসা মনে জাগে। কিছু প্রশ্নের সমাধান পাওয়া যায়, অনেক প্রশ্ন নিয়েই মনে জাগে নতুন প্রশ্ন। যেমন আনন্দলাভের জন্য তেমনি জ্ঞানার্জনের জন্য এ বইটি খুবই উপযোগী।
ত্রাতিনা চিৎকার করে জিজ্ঞেস করল, “আমি কোথায়?” তার কণ্ঠস্বর দূরে মিলিয়ে গেল তারপর প্রতিধ্বনিত হয়ে আবার ফিরে এল, আমি কোথা….. আমি কোথায়….
খুব ধীরে ধীরে প্রতিধ্বনিতগুলো মিলেয় যেতে থাকে। তারপর এক সময় আবার সেই নৈঃশব্দ্যের শূন্যতায় ডুবে যায়।
ত্রাতিনা আবার চিৎকার করল, “আমি কোথায়?” তার চিৎকার বহু দূর থেকে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসে, প্রতিধ্বনিত শব্দগুলো ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে থাকে। শব্দগুলো মিলেয়ে যেতে যেতে আবার নূতন করে অনুরণিত হয়, ত্রাতিনার মনে হয় সে বুঝি কারো কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়েছে। স্পষ্ট বোঝা যায় না, কিন্তু কোনো এক ধরনের কণ্ঠস্বর। মনে হয় কেউ কিছু একটা বলছে।
টেনশন টিনা, যে তুচ্ছ কারণে দুশ্চিন্তা করতে করতে হতাশায় ডুবে যায়,
বিটলা বান্টি, দুষ্টুমির আড়ালে যার প্রশ্নগুলো চিন্তার খোরাক জোগায়,
তুখোড় তন্বী, যে পারদর্শী নানামুখী দক্ষতায়,
আর অবাক পৃথ্বী, জগতের সবকিছুতে যে বিস্ময় খুঁজে পায়
-ওরা সবাই আজ অসহায় নজিবুল্লাহ মাস্টারের দাপটে।
ওদের মনে গণিত নিয়ে হাজারো প্রশ্ন, উত্তর মেলে না কিছুতেই!
ওরা তখন আশ্রয় খোঁজে অংক ভাইয়ার কাছে।
কোত্থেকে এলো, কোথায় কাজে লাগে, এটা এমন কেন, অমন নয় কেন, এটা শিখে কী হয়, ওটার মূল ঘটনাটা কী- এমনসব প্রশ্নের উত্তর ‘অংক ভাইয়া’ দিয়ে যান পরম মমতায়।
বাংলাদেশের আয়তন নাকি ক্ষেত্রফল, পেঁয়াজকুচি পদ্ধতিতে গোলকের আয়তন, পিথাগোরাস দিয়ে আইনস্টাইন, ফাংশনের বৃত্তান্ত, পৃথিবীর সুন্দরতম সমীকরণ, ঋনাত্মক সংখ্যার লসাগু-গসাগু, গিটারের গণিত, হাতে কলমে ঘনমূল, সাইন কসের নামরহস্য, লগ এর ভিতরের কথা, অসমতার চিহ্ন – এমন চিন্তাগুলো যদি আপনার মনে কৌতূহল জাগায়, এই বইটি আপনার জন্য!
একটা দেশকে গড়ে তুলতে হলে যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ম্যানেজার দরকার ঠিক সেরকম বিজ্ঞানীও দরকার। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন স্বপ্ন দেখতাম বড় হয়ে বিজ্ঞানী হব। বড় হয়ে যখন বিজ্ঞান নিয়ে একটুআধটু কাজ করতে পেরেছি তখন মনে হয়েছে এর চাইতে মজা আর কী হতে পারে? পৃথিবীতে যতরকম আনন্দ আছে তার মাঝে সবচেয়ে বেশি আনন্দ হতে গবেষণাতে। যারা সেটা করেছে তারা সেটা জানে। আমার কুব মায়া হয় যখন দেখি আজকালকার ছেলেমেয়েরা আর বিজ্ঞানী হতে চায় না-তারা শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর ম্যানেজার হতে চায়। মাঝে মাঝে দুই-একজন যখন বিজ্ঞানী হতে চায়, তাদের বাবা-মায়েরা তখন জোর করে তাদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর ম্যানেজার তৈরি করে ফেলেন।
তাই আমাদের দেশে এখন চমৎকার ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর ম্যানেজার আছে, কিন্তু বিজ্ঞানীর খুব অভাব! এই বইটা তাই লেখা হয়েছে বিজ্হানের জন্য একটু তৈরি করার উদ্দেশ্যে। পৃথিবীর ইতিহাসে বিজ্ঞানের যত আবিষ্কার হয়েছে তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে থিওরি অফ রিলেটিভিটি এবং সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে স্কুলের গণিত জানলেই এই থিওরিটি বোঝা সম্ভব। কাজেই তেরো-চৌদ্দ বছরের ছেলেমেয়েদের লক্ষ করে আমি এই বইটি লিখেছি। কেউ যেন মনে না করে খুব কঠিন একটা জিনিস একটু ছেলেমানুষি করে এখানে বলা হয়েছে। এখানে একেবারে সত্যিকারের থিওরি অফ রিলেটিভিটির কথা বলা হয়েছে, কেউ যদি এটা পড়ে তার সবকিছু বোঝে, সে বুকে থাবা দিয়ে বলতে পারবে, “আমি থিওরি অফ রিলেটিভিটি জানি!”
আমার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং (যেটি পরবর্তী সময়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ১ম খণ্ড নামে প্রকাশ করা হয়) বইটি প্রকাশ হওয়ার পরে দেখতে দেখতে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেল। এই সময়ে আরও বেশ কয়েকটি বই লিখলেও কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ২য় খণ্ড লেখার কাজ অনেক ধীরগতিতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বইটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। আশা করি, ১ম খণ্ড পড়ার পরে এই বইটিকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের যেই প্রত্যাশা, সেটি পূরণে বইটি সক্ষম হবে। আমি সবসময় মৌলিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের দিকে জোর দেই। কারণ কারও বেসিক খুব ভালো থাকলে সে বহুদূর যেতে পারবে। তাই এই বইতেও প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে আলাপ করেছি।
১ম খণ্ডের মতো, এই বইতেও প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে সি ব্যবহার করেছি। এই বইটি পড়ার পরে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক জ্ঞান যেমন বাড়বে, তেমনি সি প্রোগ্রামিং ভাষায় দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিংয়ের গড়পড়তা মান বৃদ্ধিতেও বইটি অবদান রাখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। বইটির জন্য অনেক ছেলেমেয়ে আমাকে তাড়া দিয়েছে, ইমেইল করে, ফেসবুকে পোস্ট করে। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বইটি রিভিউ করেছেন শাহরিয়ার মঞ্জুর, শহীদুল ইসলাম (সুমন), মীর ওয়াসি আহমেদ ও তাহমিদ রাফি। তাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
তাহমিদ রাফি বইটির সম্পাদনা ও পেজ মেকাপের কাজটি করেছে। সেই সঙ্গে কিছু কিছু অংশে বিস্তারিত তথ্য যুক্ত করেছে, আর ডিবাগিং অধ্যায়টিও তার লেখা। এজন্য সে বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য। আর বই লেখার সময়কালে আমার পুত্র আরাভের দেখাশোনার কাজটি পুরোপুরি নিজের কাঁধে নিয়ে আমার লেখার সময় বের করে দেওয়ার জন্য আমার স্ত্রী পারমিতাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। পাঠকের চোখে কোনো ভুলত্রুটি কিংবা অসঙ্গতি ধরা পড়লে আমাকে ইমেইল করার অনুরোধ রইল, পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করার চেষ্টা করব।
শেখার কোনো নির্দিষ্ট সময়, স্থান কিংবা সীমা-পরিসীমা নেই। আমরা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানছি ও শিখছি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষাও সমভাবে প্রয়োজনীয়। আর তাই, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করতে আমাদেরকে বেশিকিছু কৌশল রপ্ত করতে হবে।
এ কৌশল বা আইডিয়াগুলোই আমাদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ বইটিতে এমনই কিছু ছোট্ট ছোট্ট আইডিয়া, কৌশল, হ্যাক সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে যাতে করে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়াকে প্রাধান্য দেয়ার পাশাপাশি নিজেদেরকে দক্ষ, অভিজ্ঞ, যোগ্য, কুশলী এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাটাকেও প্রাধান্য দেয় এবং প্রিয় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা পালন করতে পারে।
কম্পিউটারের জন্ম হয়েছিল কম্পিউট বা হিসাব করার জন্য। এখন কম্পিউটারে মানুষ গান শোনে, সিনেমা দেখে, চিঠি লেখে, ফেসবুক করে, ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে এমনকি চুরিচামারি পর্যন্ত করে কিন্তু হিসাব করে না! অথচ কম্পিউটারে কম্পিউট করার মতো আনন্দ আর কিছুতে নয়, সেটি করার জন্য যেটি জানা দরকার, সেটি হচ্ছে একটুখানি প্রোগ্রামিং।
ইউনিভার্সিটিতে বা বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রোগ্রামিং শেখানো হয় কিন্তু স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরাও যে খুব সহজে প্রোগ্রামিং করতে পারে, সেটি অনেকেই জানে না। আমি অনেক দিন থেকেই ভাবছিলাম, স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য এরকম একটি বই লিখি; কিন্তু কিছুতেই সময় করে উঠতে পারছিলাম না।
ঠিক এরকম সময় আমার ছাত্র সুবিনের এই পাণ্ডুলিপিটি আমার চোখে পড়েছে। আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, আমি যে জিনিসটি করতে চেয়েছিলাম সুবিন ঠিক সেটিই করে রেখেছে! স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের জন্য একটি প্রোগ্রামিংয়ের বই লিখেছে, খুব সহজ ভাষায়, খুব সুন্দর করে গুছিয়ে।
আমি তার এই চমৎকার বইটির সাফল্য কামনা করি। ছেলেমেয়েরা গান শোনা, সিনেমা দেখা, চিঠি লেখা, ফেসবুক করা, ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করার পাশাপাশি আবার কম্পিউটারের মূল জায়গায় ফিরে আসুক – সেই প্রত্যাশায় থাকলাম।"
Manna was a poor but kind girl. One day, she was playing in the garden when she saw a little bird with a broken wing. Manna took it home and nursed it till it was strong enough to fly. The bird thanked Manna and gave her a seed. It said, "This is a magical seed. Plant it and see what happens!"
Manna planted the seed and watered it every day. In a few days, a huge watermelon grew out of it. When the watermelon was ripe, Manna cut it open. She found lots of pretty toys in it! She was overjoyed.
Manna's neighbour Merry was jealous to see so many new toys. She said to Manna, “You are so poor. Who gave you these toys? I am sure you stole them.”
A lamb was grazing along with a flock of sheep. She saw fresh green grass growing at the edge of the field. Leaving the flock behind, she went to graze on the sweet grass. A wicked wolf had been eyeing her. As soon as she came close enough, he pounced on her.
Once a hungry fox was roaming in the forest in search of food. Soon, he saw a grapevine full of juicy grapes. He was very happy and looked at it with greedy eyes. He thought that after eating these grapes, he would be able to satisfy his hunger. But he was feeling very tired. He thought of resting for a while. After some time, he jumped up to grab the grapes, but unfortunately, they were hanging too high. After resting for a while, again, he tried to reach the grapes but failed.
Two rabbits sitting behind the bushes were watching the fox. Finally, the fox decided to give up and was about to leave, when one of the rabbits said, “Why don't you try once more?” “I don't think I want the grapes anymore. They
Raju walked into the little toy store and bought a story book about vampires, witches and werewolves. That night, Raju read the first story. It was about a vampire that sucked human blood. As soon as he put the book down after completing the story, he heard a scratching at his window. He looked up and saw an ash-faced man, with beetroot lips and two protruding dagger-like teeth staring at him. Raju screamed in terror. When his parents came running and went to check, the window was empty. There was no one. Next day, Raju read the second story about evil witches who locked up little boys. As he was going to bed, he looked up at the window. He could not believe his eyes.