এই গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত কাহিনী আমার চিন্তাপ্রসূত নয়, বেশিরভাগই অভিজ্ঞতাপ্রসূত। অলৌকিক এবং অতিলৌকিক ঘটনার দিক শেষ হয়ে যায়নি, কেবল অনেক সময় আমরা তাদের অলৌকিক বলে চিনে নিতে পারি না-এই যা। জে. বি. এস. হ্যালডেন বলেছিলেন- সত্য যে কল্পনার চেয়েও বিচিত্র শুধু তাই নয়, আমাদের কল্পনা যতদূর পৌঁছয় সত্য তার চেয়েও অদ্ভুত। পাঠকেরা বিশ্বাস বা অবিশ্বাস যা নিয়েই পড়তে শুরু করুন না কেন, এ কাহিনীগুলি সত্য।গত আট বছর ধরে কথাসাহিত্য’ এবং অন্য পত্রিকায় তারানাথের গল্প প্রকাশিত হচ্ছিল— এখনও হতে থাকবে, তার গল্পের বুলি নিঃশেষিত হয়নি। কিন্তু তারানাথের প্রকৃত পরিচয় জানতে চাইলে আমি তার উত্তর দেবো না। পাঠকেরা আন্দাজ করার চেষ্টা করতে পারেন।পাণ্ডুলিপি প্রস্তুতির পর্যায়ে মিত্র ও ঘোষা’-এর শ্ৰীনুপেন চক্রবতীর অকৃপণ সাহায্য আমাকে অপরিশোধ্য ঋণে আবদ্ধ করেছে। কৃতজ্ঞতা উৎসাহদাতা অগ্ৰজসমান শ্ৰীভানু রায়কেও। মিত্ৰা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ঋণ আজীবনের—তাকে নতুন করে আর কি জানাব?
এ কাহিনী এক আশ্চর্য মেয়ের অদ্ভুত জীবনকে কেন্দ্র করে। সম্বন্ধ করে সে মেয়ের বিয়ে হল এমন এক পাত্রের সঙ্গে, আপাতদৃষ্টিতে যাকে মোটেই ফেলনা বলা যায় না। এম-এ পাশ, বি-এতে অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস নম্বর ছিলম মোটামুটি সচ্ছল ও স্থায়ী চাকুরে, সপ্রতিভ সুন্দর চেহারা, মুখ আর হাসি শিশুর মত পবিত্র। বিয়ের আগে তেমন খোঁজখবর নেওয়া হয়নি, বিয়ের পর জানা গেল, ছেলেদেরে পাগলের বংশ। দুই দাদা বদ্ধ পাগল, ভাইটি অবশ্য তখনও সুস্থ, কিন্তু কতদিন? এমনই এক মেয়েকে নিয়ে এই কাহিনী। এত বড় নিষ্ঠুর পৃথিবীতে শিশুর মত সরল, ছেলেমানুষ স্বামীকে যে কিনা ছেড়ে দিতে চায়নি, জড়িয়ে গিয়েছিল এক অদ্ভুত মায়ায়- তেমনই এক মেয়ের ঘাতপ্রতিঘাতময় জীবনের দুরন্ত কাহিনী।
মৌষলকাল - সমরেশ মজুমদার....... সত্তরের নকশাল রাজনীতিতে অনিমেষের জড়িয়ে পড়া এবং পুলিশি অত্যাচারে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার কাহিনি তুমুল এক ইতিহাসের কথাই বলে। সমরেশ মজুমদার এই চরিত্রটিকে নিয়ে তিনটি বিখ্যাত উপন্যাস রচনা করেছেন, যা ধারণ করে আছে পশ্চিমবঙ্গের অনতি-অতীতকালের রাজনৈতিক-সামাজিক সময় প্রবাহ।অনিমেষের বান্ধবী হিসেবে সময়ের সঙ্গে যুঝেছে মাধবীলতা। সময়ের ফসল হিসেবে এসেছে তাদের সন্তান অর্ক। বড় হয়ে অর্কও দুঃখী মানুষদের নিয়ে সাধ্যমতো স্বপ্নপ্রয়াসে জড়িয়ে পড়েছে এবং ব্যর্থ হয়েছে যথারীতি। সর্বত্রই ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক দল হিংস্র থাবা নিয়ে তৈরী।
বাংলা সাহিত্যের এক অতি প্রিয় চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী। ধারালো নাক, লম্বা চেহারা, নাতিস্থূল অবয়ব। অসামান্য পর্যবেক্ষণ-ক্ষমতা, অনবদ্য বিশ্লেষণী দক্ষতা। শুধু বুদ্ধি দিয়েই যাবতীয় জটিল রহস্যের জট ছাড়ান এই সত্যান্বেষী। তবু কী রোমাঞ্চকর একেকটি ব্যোমকেশ-কাহিনী। আসলে ব্যোমকেশের গল্প-উপন্যাস নিছক গোয়েন্দা-কাহিনী নয়। বরং সাহিত্যের ভোজে যা ছিল অপাঙক্তেয়, সেই গোয়েন্দা-কাহিনীকে ব্যোমকেশ-কাহিনীর মধ্য দিয়ে চিরায়ত সাহিত্যের স্তরে উত্তীর্ণ করেছিলেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। জীবনকে এড়িয়ে ব্যোমকেশ-কাহিনীর সৃষ্টি করেননি তিনি। চেনা জীবনের মধ্যেই ফুটিয়ে তুলেছেন অচেনা চমক। এহেন ব্যোমকেশ-কাহিনীই এবার এক খণ্ডের দুই মলাটের মধ্যে| ব্যোমকেশের প্রতিটি গল্প-উপন্যাস এই অখণ্ড সংগ্রহে সাজানো হয়েছে কালানুক্রমিক বিন্যাসে। ব্যোমকেশ-জীবনের এক ধারাবাহিক চলচ্ছবি এই গ্রন্থ।
এই দুর্দান্ত কৌতূহলকর থ্রিলারের পটভূমি ভারতবর্ষের কাছাকাছি এক পাহাড়ী রাজ্য। একনায়কতন্ত্রী শাসনব্যবস্থাধীন এই রাজ্যের স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে তলে-তলে চলতে থাকে বিপ্লব সংগঠনের প্রয়াস। আকাশলাল ছিল এই বিপ্লববাহিনীরই নেতা। প্রশাসনিক তৎপরতায় বিদ্রোহ দমিত হল; গা ঢাকা দিল আকাশলাল ও তার প্রধান সঙ্গীরা। পুলিশের জাল কেটে বেরুতে গিয়ে একে-একে নিহত হল আকাশলালের সঙ্গীরা। অবশেষে একদিন আকশলালও হল বন্দী। পুলিশী হেফাজতে আকস্মিক মৃত্যু ঘটে গেল আকাশলালের। সম্ভাব্য জনরোষ ও উত্তেজনা এড়াতে চুপিচুপি কবর দেওয়া হল তাকে। আশ্চর্য, কীভাবে যেন আবার একদিন ফিরে এল অমর বিপ্লবী আকাশলাল। কীভাবে? আট কুঠুরি ও নয় দরজার কী সেই অনন্য রহস্য যার সহায়তায় মৃত্যুকেও জয় করল আকাশলাল?
সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দী জুড়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল ব্রিটেন ও এশিয়ার বৃহত্তম এবং সবথেকে ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানির প্রতিষ্ঠা হয় ব্রিটেনের বাজারের জন্যে এশিয়ার পণ্য কিনবার উদ্দেশ্য নিয়ে। এই কেনাবেচার পরিণাম পারস্য থেকে ইন্দোনেশিয়া, এশিয়া থেকে উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত এক নেটওয়ার্ক। অষ্টাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে প্রায় নাটকীয়ভাবে কোম্পানি ভারতে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে ফেলল।রাজনীতি ও বাণিজ্যের মধ্যে যে জটিল পরস্পরনির্ভরতা থেকে ভারতে ব্রিটিশ রাজের শুরু, তাই নিয়ে এই বই। সাম্প্রতিক গবেষণা ও ঐতিহাসিক তথ্যের সমন্বয় করে লেখক আরও দেখিয়েছেন ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাসে কোম্পানির তাৎপৰ্য কোথায়, কীভাবে উনিশ শতকের বিশ্বায়ন ভারতে ব্যাবসার কাঠামো বদলে দেয়, আর এই পরিবর্তনের প্রভাব কেন সুদূরপ্রসারী।
“Long live the King” hailed Entertainment Weekly upon publication of Stephen King’s On Writing. Part memoir, part master class by one of the bestselling authors of all time, this superb volume is a revealing and practical view of the writer’s craft, comprising the basic tools of the trade every writer must have. King’s advice is grounded in his vivid memories from childhood through his emergence as a writer, from his struggling early career to his widely reported, near-fatal accident in 1999—and how the inextricable link between writing and living spurred his recovery. Brilliantly structured, friendly and inspiring, On Writing will empower and entertain everyone who reads it—fans, writers, and anyone who loves a great story well told.
The legendary Eat That Frog! (more than 1.5 million copies sold worldwide and translated into 42 languages) will change your life. There just isn't enough time for everything on our "To Do" list—and there never will be. Successful people don't try to do everything. They learn to focus on the most important tasks and make sure they get done. There's an old saying that if the first thing you do each morning is to eat a live frog, you'll have the satisfaction of knowing that it's probably the worst thing you'll do all day. Using “eat that frog” as a metaphor for tackling the most challenging task of your day—the one you are most likely to procrastinate on, but also probably the one that can have the greatest positive impact on your life—Eat That Frog! shows you how to zero in on these critical tasks and organize your day. You'll not only get more done faster, but get the right things done.
Are you lacking a sense of direction? Unable to chart a course for success in your life? Uneasy about whether you are following the correct route to your destination? Study this guidebook for your life's journey. This book provides time-tested advice for you to follow. In fact, Napoleon Hill created the first GPS system decades ago in the form of billboards that positioned his students on the road to success. What was true then is true now, and you will benefit immediately by applying his success coordinates in your life. When you have the 'how to', it becomes easy to follow the signposts that deliver you to your destination right on time. Are you ready to begin? Open this book for your success itinerary and travel the footsteps he has placed on the pathway. You will not lose your wa
It is the amusing and enlightening story of four characters who live in a maze and look for cheese to nourish them and make them happy. Cheese is a metaphor for what you want to have in life, for example a good job, a loving relationship, money or possessions, health or spiritual peace of mind. The maze is where you look for what you want, perhaps the organisation you work in, or the family or community you live in. The problem is that the cheese keeps moving.
That means that if you change the kind of energy that you emit, what comes back to you is also different. This is one of the most influential business and communication skills guide. This book teaches you how to market yourself and generate more clients. This book has been acclaimed by many known figures around the world. This book tries to get you out of a mental hell and provides you with ambition and goals. It enables you to be friendlier and seem a positive person to others, it helps you become a popular person who is liked by the majority and in business terms, it enables you to win new clients.
খিদিরপুরে শেষ কবে গিয়েছিল মনে নেই। বাস থেকে নেমে অমলের মনে হচ্ছিল, সে বিহার অথবা উত্তরপ্রদেশের কোনও শহরে পৌঁছে গিয়েছে। বাসটা থেমেছিল খাল পেরিয়ে বাজারের পাশে। সেখান থেকে খানিকটা এগােতেই তিন মাথার মােড়টা দেখতে পেল অমল। এই মােড়েই তাকে আসতে বলেছিল রবীন। মােবাইলে সময় দেখল সে, এখনও দশ মিনিট বাকি আছে চারটে বাজতে।
ছােটদাদু বদনকে এবার সঙ্গে করেই নিয়ে এলেন। সারা রাস্তায় বদন শুনেছে, ছােটদাদু কেবল বিড়বিড় করে বকছেন। তার বাবাকে গালমন্দ করছেন। সকালে বের হয়েছিল তারা। মা চিড়া-গুড় পুঁটুলিতে বেঁধে দিয়েছিল। নদীর পাড়ে বসে দাদু আর সে চিড়া-গুড় খেয়েছে। দাদু নদীর জলে ডুব দিয়ে আহ্নিক সেরেছেন। ভিজা কাপড়েই বসেছিল দু’জনে মুখােমুখি। চিড়া-গুড় জলে ভিজিয়ে নদীর পাড়ে বসে খাওয়ার মজা, সে প্রথম টের পেয়েছিল।
সম্বিৎ সামনে সবুজ রেক্সিনে মােড়া সেক্রেটারিয়েট টেবিল। পেছনে ফাইল ক্যাবিনেট। হাতের কাছে টেলিফোন। কলমদানিতে কলম, ঘরের অঙ্গসজ্জাই নিছক। কাচে মােড়া চারপাশ। যেন কাচের কফিন কারণ ভেতরে নিহত মানুষ সম্বিৎ গুম হয়ে বসেই থাকে। সােম মঙ্গল বুধে গড়ায়। বৃহস্পতির বারবেলা কাটে। শুক্র। তারপর শনি। সম্বিৎ নট নড়নচড়ন নট কিচ্ছু। যেভাবে নিহত সেইভাবেই রাইগর মর্টিস ধরেছে। সই সাবুদ করবার সময়ে শুধু অনিচ্ছুক আঙুল নড়ে কয়েক পলক। তারপর আবার যে-কে সেই।
মিশর আমাদের কাছে পিরামিড স্ফিংকস টুটেনখামেন আর ক্লিওপ্যাট্রার দেশ। প্রাচীন, রহস্যময়ী। তার অস্তিত্বই পরম বিস্ময়। মরুভূমির প্রচণ্ড প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যে একটি নদীর কৃপায় সভ্যতার স্ফুরণ। ছােটবেলায় পাঠ্যপুস্তকে পড়া মিশর নীলনদের দান। তার ইতিহাস আমাদের অজানা। আধুনিক মিশর—নাসের নেহরু পঞ্চশীল সুয়েজখাল আসােয়ান বাঁধ সংবাদপত্রে খবর। ভূগােলকে অগ্রাহ্য করে দূর-দূরান্তর ইউরােপ আমেরিকার চেয়ে নিকটের মিশর আমাদের কাছে অচেনাই থেকে গেছে।
খুব ভােরে ঘুম ভাঙার দরুন, কিছুটা ঘুম চোখের পাতায় থেকেই যায়। সেই ঘুমটাকে নিয়ে সুখেন্দু এখন চেয়ারে বসে। ইদানীং স্বপ্ন-টপ্নগুলাে এই ছােট্ট ঘুমের মধ্যেই দেখে। শর্ট ফিল্মের মতাে। পাতলা ঘুমের স্বপ্নগুলােকে নিজেই অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এখন যে স্বপ্নটা সুখেন্দু দেখছে সেটা হল, সে বেশ কিছু টাকা লটারি, শেয়ার অথবা যে কোনওভাবে পেয়েছে। সেই টাকায় ও ভারতভ্রমণে বেরিয়েছে। কোনও এক দূরগামী ট্রেন। জানলার পাশে সিট। এক মুখ দাড়ি-গোঁফ, পরনে জিনসের প্যান্ট আর সুতির জামা। ট্রেনের হাওয়ায় চুলগুলাে এলােমেলাে উড়ছে...এই স্বপ্নের মধ্যেই সুখেন্দু সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না ওর চোখে একটা চশমা থাকবে কি না! এই সময় কেউ যেন ওপাশের বাঙ্ক থেকে বলল, শুনছেন।
আমাদের হল্যান্ডে ঢুকতে দিল না; তাদের কী রকম ধারণা হল, এত যন্ত্র এবং কাপড় কখনও আর্টিস্টদের সঙ্গে যেতে পারে —এরা নিশ্চয় ব্যবসাদার। তারা এই সমস্ত যন্ত্রের দাম চেয়ে বসল এবং অনুকম্পা একটু দেখাল যে, যন্ত্র এবং বস্ত্রের দামগুলি রেখে যান—ফিরে যাবার সময় যদি বিক্রয় না করি তবে দাম ফেরত দেওয়া যাবে। অনেক তর্ক-বিতর্কে কোনও ফল হল না দেখে বাক্স খুলে আমার “স্বরদ” বের করে বাজাতে আরম্ভ করলুম (ভেবে দেখ স্থান, কাল এবং পাত্রের কথা)। যাই হােক, বােধহয় এই অভিনব যন্ত্র,—তার আওয়াজে এই কর্তব্যপরায়ণ ভদ্রলােকটি খুশিই হলেন;