ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম মহিলা শহিদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (৫মে ১৯১১_২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩২) মাত্র একুশ বছর বয়সে বেথুন কলেজ থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিএ পরীক্ষায় (দর্শনে ডিস্টিংশনসহ) উত্তীর্ণ হওয়ার পর চট্টগ্রামের নন্দনকানন বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষিকার পদ গ্রহণ করেন। কিন্তু তাঁর হৃদয়ে বহ্নিমান ছিল বিদ্রোহের বারুদ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অচিরেই তিনি যোগ দেন মাস্টারদা সূর্য সেনের গোপন বিপ্লবী সংঘে। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৩২ সালে পাহাড়তলি ইউরোপিয়ান ক্লাবে সংগঠিত হয় এক দুঃসাহসী সশস্ত্র অভিযান। জ্বলতে থাকে সেই ক্লাব যেখানে ‘কুকুর আর ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ’। পালটা হানায় ব্রিটিশের হাতে ধরা না পড়তে বদ্ধপরিকর প্রীতিলতা পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন। ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সেই প্রথম কোনো ভারতীয় নারীর আত্মবলিদান।
পড়াশুনা করতে চাই। নিজেকে বার বার শাসন করি; বকি, কিন্তু দুপুর থেকে যেই ঝুরঝুর করে গাছের পাতায় পাতায় হাওয়া দেয়, শুকননা পাতা ওড়ে, টিয়া পাখির ঝাঁক ‘টা-টা-ক্টা’ করে তীক্ষ স্বর ছড়িয়ে গঙ্গার দিক থেকে উড়ে আসে, অমনি মনটা উদাস উদাস লাগে। পথ বেয়ে মছিন্দার পথে ভাড়ার টাঙা টুংটুঙিয়ে চলে। পড়া আর হয় না। বারান্দার চেয়ারে বসে মুজাব্বরের প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে থাকি। বইয়ের পড়ার বাইরেও যে অনেক পড়াশুনা থাকে, যে পাঠ জীবন থেকে নিতে হয়, সেইসব পড়াশুনাের জন্যে তীব্র আকুতি জাগে।