বৈষ্ণব শেঠ স্নান করতে-করতে তাকালেন পুকুরের অপর পাড়ের দিকে। তিনি দেখলেন সেখানে এক দীর্ঘাঙ্গ গৌরবর্ণ সুকান্ত ব্রাহ্মণ গাছের ছায়ায় গৃহদেবতা লক্ষ্মীজনার্দনকে ভােগ দিচ্ছেন। সপরিবার তিনি আশ্রয় নিয়েছেন ওই তেঁতুল গাছের তলায়। বৈষ্ণব শেঠ ইতিমধ্যেই শুনেছেন ব্রাহ্মণের কাহিনি, তাঁর পরিচয় ও নামও জেনেছেন। বৈষ্ণব নীলমণিকে বললেন,
কিছু রান্না করার। একদিন শুটিংয়ের পর লাঞ্চ ব্রেক হয়েছে। আমি ছবিদা, সুশীলদা স্টুডিয়াের লনে বসে আড্ডা দিচ্ছি। ছবিদা মজার মজার গল্প করছেন। সেই সময় প্রডাকশন বয় এসে জিজ্ঞেস করলে খাবারটা কোথায় দেবে। সুশীলদা বললেন, এই লনেই টেবিল পেতে খেতে দে। বেশ শীতের রােদ আছে। প্রডাকশন বয় হরি কথা মতাে লনেই টেবিল পেতে আমাদের খাবার নিয়ে এল।
তা, যেখানে নেই সেখানে যে কত কী রয়েছে, সেটা আমি বারেবারে বুঝেছি, এবার আমার জীবনের একটা ঘটনা বলি। আমার এক আত্মীয়র বাড়ি আসানসােলে। আমি সেখানে গেছি। তাদের দোতলা বাড়ি। দোতলায় কেউ থাকে না। সেই দোতলায় তারা একটা বড় ঘর খুলে দিলেন। দিয়ে বললেন, আপনি এখানে থাকবেন। সেই দোতলাটার আবার এমন কায়দা, একতলা থেকে সিঁড়ি উঠে দোতলায় যায়নি।
নিজের চুরুটটা ধরিয়ে নিয়ে জীমূতবাহন এবারর বেশ জাঁকিয়ে বসলেন। অনেকদিন পরে যেন সময়বয়সী এক বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা মারার সুযােগ পেয়েছেন। চুরুটটা হাতে নিয়ে ঠোঁটটা মুছে ফেলে বললেন, “মেয়েমানুষ বলা থেকে খারাপ গালাগালি তখন ছিল না—আমরা ভয়ে ভয়ে তাই চুরুট চচা আরম্ভ করেছিলুম। নিতান্ত পয়সা না থাকলে বিডি খেতাম।”