মানব জাতিকে রক্ষার উপায় তিনি বাতলে দিলেন, মাত্র একহাজার বছরের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য তৈরি করলেন মহাপরিকল্পনা। সতর্কতার সাথে গ্যালাক্সির দুই বিপরীত দিকের সুদূরতম প্রান্তে ফাউণ্ডেশন' নামে বিজ্ঞানীদের দুটো কলােনি স্থাপন করলেন। একটি ফাউণ্ডেশন তিনি স্থাপন করেন প্রকাশ্য দিবালােকে। অর্থাৎ গ্যালাক্সির সবাই এই ফাউণ্ডেশনের কথা জানত। অন্য ফাউণ্ডেশনের কথা তিনি গােপন করে যান। ফলে ওই ফাউণ্ডেশনের অস্তিত্ব ও উদ্দেশ্য থেকে যায় অজানা।
ফাউণ্ডেশন এবং ফাউণ্ডেশন অ্যাণ্ড এম্পায়ার এ ফার্স্ট ফাউণ্ডেশনের প্রথম তিন শতাব্দীর ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে।
বেল রিয়ােজ এসকর্ট ছাড়াই চলাচল করেন। গ্যালাকটিক এম্পায়ারের অগ্রযাত্রায় ক্ষুব্ধ হয়ে আছে এমন এক স্টেলার সিস্টেমে অবস্থানরত সামরিক বহরের প্রধানের জন্য কাজটা ইম্পেরিয়াল কোর্ট এর নিয়ম বহির্ভূত।
কিন্তু বেল রিয়ােজ তরুণ এবং উদ্যমী-নিরাবেগ এবং হিসেবি রাজদরবারের নির্দেশে মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে ছুটে যাওয়ার মতাে যথেষ্ট উদ্যমী-তা ছাড়াও তিনি কৌতূহলী। লােক মুখে ছড়ানাে অদ্ভুত চমকপ্রদ কিছু কাহিনী তার কৌতূহল বাড়িয়ে তুলেছে। একটা সামরিক অভিযানের সম্ভাবনা তার প্রথম বৈশিষ্ট্য দুটোকে একত্রিত করেছে। সব মিলে তিনি হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরােধ্য।
পুরােনাে গ্রাউণ্ড কার থেকে নেমে জীর্ণ ভবনের দরজার সামনে অপেক্ষা করতে লাগলেন। দরজার ফটোনিক দৃষ্টি জীবন্ত হয়ে উঠল। কিন্তু দরজা খােলার পর দেখা গেল সেটা হাতে ধরা।
ষাটের দশকে ব্যতিক্রমী চিত্র পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক হঠাৎ করে ভাবলেন, প্রকৃত সায়েন্স ফিকশন চাই। সর্বব্যাপী ,সর্বদৃষ্টির এক সায়েন্স ফিকশন বানাতে চাইলেন যাতে বিজ্ঞান আসবে পুরোপুরি যুক্তির কাঁধে ভর করে। স্নায়ুক্ষয়ী কাহিনী আসবে বিজ্ঞানের সাথে পায়ে পা মিলিয়ে। স্যাটেলাইটের জনক, মহকাশ অভিযানের ধারাভাষ্যকার কল্পকাহিনী আর্থার সি ক্লার্ক তাঁকে যে কাহিনী দি;লেন তা দিয়ে সৃষ্টির হল ‘ ২০১০ : আ স্পেস ওডিসি’।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র। কিন্তু ক্লার্কের মনে হল, কাহিনী পূর্ণ হয়নি । তিনি একই নামে আরো পরিষ্কার করে গুছিয়ে লিখলেন এই উপন্যাস। ঊনিশশ আটষট্রিতে। মহাকাশ অভিযান নিয়ে সারা পৃথিবীর সব সায়েন্স ফিকশনের আদর্শ।
বিচিত্র ধরনের কিছু শব্দের মধ্যে অবতরণ করল শিপটি। ধাতব গা কেটে সরে যাওয়া বায়ুমণ্ডলের দূরবর্তী হিসহিস, সংঘর্ষজনিত তাপ সামাল দেয়া কন্ডিশনারগুলাের অবিরাম গুনগুন, গতি মন্থরে ব্যস্ত এঞ্জিনগুলাের চাপা, ভারী গুম গুম । সেই সঙ্গে রয়েছে ডিবাকেশন রুমগুলােতে জড়াে হওয়া নারী-পুরুষের সম্মিলিত কণ্ঠ আর শিপের লম্বা অক্ষ বরাবর ব্যাগেজ, মেইল এবং অন্যান্য মালামাল তােলায় ব্যস্ত হয়েস্টগুলাের | ধুপধাপ; মালামাল পরে আনলােডিং প্লাটফর্মে সরিয়ে নেয়া হবে।
অদ্ভূত একটা খেলনা ওটা। চাবি ঘুরিয়ে দাও, নিমিষে পৌঁছে যাবে অতীতে কিংবা ভবিষ্যতে। কিন্তু মুশকিল হলো অ্যাডাম ও তার বন্ধুরা সময়ের কাঁধে সওয়ার হয়ে যখন অতীতে চলে যাচ্ছে, তখন বর্তমানটাও যে বদলে যাচ্ছে। ওরা কি কোনও দিন বর্তমানে ফিরে আসতে পারবে? সেখানে কি স্পুকসভিল শহরের অস্তিত্ব থাকবে? অ্যাডামদেরই কি কোনও অস্তিত্ব আছে?
আকাশে উজ্জ্বল আলোর একটি ঝলকানি দেখা গেল। তারপর একটি স্পেসশিপ এসে নামল স্পুকসভিল শহরের রিজারভয়েরের কাছে। স্পেসশিপ থেকে বেরিয়ে এল কিন্তূতকিমাকার কয়েকটি ভিনগ্রহের প্রাণী। তারা তাদের সঙ্গে যোগদানের আমন্ত্রণ জানাল অ্যাডাম ও তার বন্ধুদের । কিন্তু কেউ জানে না আদৌ আর কোনওদিন বাড়ি ফিরতে পারবে কিনা অ্যাডমরা ...
জাদু বাস্তবতা ও মার্কেসের গল্প : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ৭
সুপ্ত সুন্দরী ও বিমান ৯
ত্রামোন্তানা ১৪
সেন্ট ১৮
বিষদিগ্ধ সতেরোজন ইংরেজ ২৮
স্বপ্ন ফিরি করি ৩৭
অগস্টের অপচ্ছায়া ৪২
মাননীয় রাষ্ট্রপতি, আপনার যাত্রা শুভ হােক ৪৪
মারিয়া দোস প্রাজেরেস ৬১
আলো, সে তো জলের মতো ৭১
“আমি শুধু ফোন করতে এসেছিলাম”। ৭৪
শ্ৰীমতী ফোর্বসের আনন্দঘন নিদাঘকাল ৮৫
তুষারে তোমার রোহিতরেখা। ৯৩
বেচারি এরেনন্দিরা ও তার নির্দয় ঠাকুমার অবিশ্বাস্য করুণ কাহিনি ১০৭
ভালোবাসা পেরিয়ে শাশ্বত মরণ ১৩৭
নিমজ্জিত বিশ্বের সেরা রূপবান ১৪৩
অলৌকিক জাহাজের অন্তিম অভিযান ১৪৭
বিশাল ডানাওয়ালা এক থুথুড়ে বুড়ো ১৫১
যাদুর ফেরিওয়ালা, ভালোমানুষ ব্লাকামান ১৫৬
নকল গোলাপ ১৬৩
বালতাসারের বিচিত্র বিকেল ১৬৭
মোনতিয়েলের বিধবা ১৭৩
শনিবারের পরের এক দিন ১৭৭
বড়মার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ১৯০
মঙ্গলবারের দ্বিপ্রাহরিক বিশ্রাম ২০১
এইরকম একদিন ২০৬
এই শহরে কোনও চোর নেই ২০৯
হারানো সময়ের সাগর ২২৭
কর্নেলকে একজনও লেখে না ২৪০
মাকোন্দােতে বৃষ্টি দেখতে দেখতে ইসাবেলার একান্ত সংলাপ ২৭৭
কারলিউসের রাত ২৮২
নাবো ২৮৫
গোলাপগুচ্ছকে কেউ এলোমেলো করেছিল ২৯১
একটা নীল কুকুরের চোখ ২৯৪
ছাঁটার সময় যে মহিলা এসেছিলেন। ২৯৯
আয়নার সঙ্গে আলাপ ৩০৭
তিন স্বপ্নচারীর তিক্ততা ৩১১
মরণের অপর পারে ৩১৪
ইভা রয়েছে নিজের বিড়ালের ভেতরে ৩২০
তৃতীয় ত্যাগ। ৩২৭
গাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেস-এর সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি ৩৩৩
পুনশ্চ অথবা শেষ করার আগে দু-চার কথা ৩৩৬
দীর্ণ রক্তাক্ত স্বদেশের মুখচ্ছবি দেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমার জন্য এর অর্থ হচ্ছে মৃত্যু।' এই আশঙ্কাবাণী উচ্চারণের কয়েক মাস পরেই নৃশংসতম ফাশিস্ত দংশন আক্রান্ত হয় চিলি এবং রক্ত, বারুদ ও বুলেটের ধোঁয়ার মাঝে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পাবলাে নেরুদা, বিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, স্পেনীয় কাব্যধারার মহত্তম প্রতিভা।
মােটা সবুজ পশমি কাপড়ে আচ্ছাদিত একটা লম্বা টেবিলের মাথায় বসে আছেন আমাদের প্রযােজক সিরহান আল-হিলালি। তার মুখমণ্ডল আর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বাজপাখির মতাে। ভাবলেশহীন চেহারা করে তিনি আল| আদির পড়া শুনেছেন, তার দু'ঠোটের মধ্যে শক্ত করে চেপে ধরে আছেন একটা দিনওয়া চুরুট, তিনি স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন আমাদের দিকে। আর আমরা সারসের মতাে গলা লম্বা করে আমাদের পরিচালকের পড়া | শুনছি। তার মনঃসংযােগের তীব্রতা কোনাে প্রকার বাধা দান অথবা মন্তব্যের সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়। আমাদের সব উত্তেজনা তিনি এমন শীতলতার সাথে উপেক্ষা করেন যে, তা আমরা চেপে রাখতে বাধ্য হই।
ধাবমান এই বর্তমানে স্থান ও কালের প্রেক্ষাপট দ্রুত পরিবর্তনশীল। আমাদের শান্তশ্রী গ্রাম আর তার প্রকৃতির জৌলুস আজ শুধু স্মৃতির মাধুরী। বিশ্বায়নে ভাবজগৎ যতটা আলোড়িত তার চেয়ে বেশি বস্তুজগতে আগ্রাসনের পীড়ন-তাড়না। বিপর্যয় আজ নিসর্গে, বহির্জগতে, বিপন্ন আজ মনোজগৎ, হতবাক সংবেদনশীল মানস। শীতের প্রকার - ওবায়েদ আকাশ কবির জন্যে কঠিন এ কাল, চেনা পথে আর চলার উপায় নেই। অচেনা পথে নিজেকে চেনার ও চেনানোর মগ্ন-চঞ্চল প্রয়াসকে স্বাগত জানাই। কপটতার আড়ালে ক্রমশ নৃশংসতায় মজে ওঠা এ-কালে তাঁর কবিতায় প্রসন্ন সাহস ও সহজ-সুন্দর দ্যুতি ছড়ায় জীবনসন্ধানী উন্মোচনে। নিজের সময়কে বুঝে নিজের কথাটি বলার দুরূহ কাজে এই তরুণের ধারাবাহিকতা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী অর্জন। আধুনিক বাংলা কবিতার অভিযাত্রায় সাধনা ও সিদ্ধিতে দীর্ঘতর পথ-পরিক্রমায় এ-স্বীকৃতি অনুপ্রেরণা জোগাবে, এই আমাদের প্রত্যাশা। ওবায়েদ আকাশ দৈনিক সংবাদের সাহিত্য-সম্পাদক। লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সংশিষ্ট। তাঁর জন্ম ১৯৭৩ সালের ১৩ জুন, রাজবাড়িতে।