Categories


যার যা হারিয়ে গেছে

তারপর ধর্ম বক বললেন, বৎস, 

তােমাকে আমি আরও তিনটি প্রশ্ন করব। 

বলাে তাে, মানুষের কোন কষ্ট মুখের ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না।

কিংবা বলতে গেলেও কেউ বুঝবে না? 

মুহূর্তমাত্র চিন্তা না করে যুধিষ্ঠির বললেন, 

কোনাে কবি যখন ভাব প্রকাশের জন্য প্রকৃত ভাষা খুঁজে 

পায় না তখন তার যে কষ্ট তা দ্বিতীয় কোনাে ব্যক্তির পক্ষে।

সহমর্মী হওয়া সম্ভব নয়।

 


রবীন্দ্রনাথকে নিবেদিত

তেমনি তাঁর সমসাময়িক অনেক লেখকও রচনা করেছেন তাঁর সম্পর্কে প্রশস্তি গাথা। উনিশ শশা তিরিশের দশকে বাংলা সাহিত্য তাঁর বিরুদ্ধে এক প্রকার আন্দোলন শুরু করে। তৎকালীন তরুণদের এই যে রবীন্দ্র-বিরােধিতা, তা কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে হেয় করবার জন্য। মমাটেই নয়, এরা সকলেই রবীন্দ্রনাথকে শ্রেষ্ঠত্বের সিংহাসনে বসিয়ে রেখেছিলেন, এরা শুধু প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলেন যে আধুনিক বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্র-রীতির অনুসরণ করা হবে না। এই সব তরুণেরা প্রকাশ্যে উচ্চ কণ্ঠে রবীন্দ্র-বিরােধী কথাবার্তা বললেও রাত্রে নিজের ঘরে শুয়ে। শুয়ে অনর্গল রবীন্দ্রনাথের কবিতা মুখস্থ বলে যেতেন, এমন দৃষ্টান্তও আছে। কিছুদিন আগে পরে হলেও রবীন্দ্র-উত্তর যুগের প্রধান সাহিত্যিকগণ প্রত্যেকেই আন্তরিকভাবে রবীন্দ্র-বন্দনা রচেছেন।


আমি আমার মৃত্যুর পর স্বাধীনতা চাই না

জোরা নীল হার্সটন হারলেম রেনেসাঁস’ সময়ের একজন প্রধান বুদ্ধিজীবী। তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধ নিগ্রো অভিব্যক্তির চরিত্র থেকে কিছু সারাংশ এখানে তুলে ধরছি যাতে আফ্রিকান আমেরিকান কবিদের লেখা বুঝতে সুবিধে হয়। আমেরিকায় একটা বিখ্যাত টিভি সিরিয়াল ছিলনাম ‘টুইলাইট জোন’। তার একটা অংশের শুরু হচ্ছে একজন দারুণ সুন্দরী সাদা, সােনালি চুল, নীল চোখ মেয়ের অপারেশন হচ্ছে। তাকে ঘিরে রেখেছে কিছু মুখে সাদা কাপড় লাগানাে ডাক্তারের দল।


প্রতিবাদের কবিতা

রাস্তার একটা ভিখিরি যখন মহাত্মা গান্ধীর বাপ-মা তুলে গালাগাল দেয় আমরা তাকে বেদম মারতে পারি, কিন্তু মেরে ফেলতে পারি না। মহরমের দিন আমার মুসলিম বন্ধু নগ্ন হয়ে শুয়ে থাকে আমি বলি, ওঠ, জামা পর, আমি তাে প্রাপ্তবয়স্ককে জামা পরিয়ে দিতে পারি না। একটা রেস্তোরাঁয় ঢুকে দেখলাম সেখানে আমার বউয়ের নামে যা তা সব চলছে আমি কি বলব, আমি তাে আর ওদের টেবিল উল্টে দিতে পারি না। আমার বন্ধু হাউহাউ করে কাঁদছিল তার প্রেমিকা চলে গেছে তার বন্ধুর সঙ্গে কী করবে সে? তেরােতলা থেকে তাে আর ঝাপিয়ে পড়তে পারে না।


আধুনিক কবিতার ইতিহাস

প্রাচীন ও আধুনিক কবিতার প্রস্থানভূমির পার্থক্য যদি এক কথায় বলতে হয়, এটুকু বললেই পর্যাপ্ত হবে, প্রাচীন কাব্যের মূলসূত্র রচয়িতার আত্মবিলুপ্তি এবং পরবর্তী কবিতার উপপাদ্য অভিমানী অহং। এই প্রভেদ সত্ত্বেও বাংলা কবিতায় আধুনিকতার চরিত্র ও মাত্রা সংক্রান্ত আলােচনায় মধুসূদন-পূর্ব অধ্যায়ের প্রবেশাধিকার অস্বাভাবিক নয়।