Categories


প্রেমের গল্প

পড়াশুনা করতে চাই। নিজেকে বার বার শাসন করি; বকি, কিন্তু দুপুর থেকে যেই ঝুরঝুর করে গাছের পাতায় পাতায় হাওয়া দেয়, শুকননা পাতা ওড়ে, টিয়া পাখির ঝাঁক ‘টা-টা-ক্টা’ করে তীক্ষ স্বর ছড়িয়ে গঙ্গার দিক থেকে উড়ে আসে, অমনি মনটা উদাস উদাস লাগে। পথ বেয়ে মছিন্দার পথে ভাড়ার টাঙা টুংটুঙিয়ে চলে। পড়া আর হয় না। বারান্দার চেয়ারে বসে মুজাব্বরের প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে থাকি। বইয়ের পড়ার বাইরেও যে অনেক পড়াশুনা থাকে, যে পাঠ জীবন থেকে নিতে হয়, সেইসব পড়াশুনাের জন্যে তীব্র আকুতি জাগে।


সপ্তকাণ্ডে (হার্ডকভার)

পয়সা যখন আছে, কেন করব না। কিন্তু পয়সায় তাে আর নামকরা স্কুলের দরজা খুলবে না। সে অনেক হ্যাপা। শুনেছি শিশু যখন মাতৃজঠরে ভূণের আকারে গর্ভসলিলে হেঁটমুণ্ড, উর্ধ্বপচ্ছ, তখনই নাকি ভাল স্কুলের ওয়েটিং লিস্টে নাম লেখাতে হয়। স্ত্রীর কানের কাছে চীৎকার করে ইংরেজি বই পড়তে হয়। পুরনাে দিনের লেখকের লেখা চলবে না। হাল আমলের লেখক চাই। আমেরিকান লেখক হলে ভাল হয়। গাের ভাইডাল, সল বেলাে, স্টেইনবেক। স্ত্রী ডাকলে হাঁ বলা চলে না। বলতে হবে ইয়েস! এমন কিছু বই পড়ে শােনাতে হবে যাতে ইয়াঙ্কি স্ল্যাং আছে। হ্যারল রবিনস, হেডলি চেজ।


নারায়ন দেবনাথ চিত্রিত আবোল তাবোল

হেড আপিসের বড় বাবু লােকটি বড়াে শান্ত, তার যে এমন মাথার ব্যানাে কেউ কখনাে জানত? দিব্যি ছিলেন খােসমেজাজে চেয়ারখানি চেপে, একলা বসে ঝিমঝিমিয়ে হঠাৎ গেলেন ক্ষেপে! আঁৎকে উঠে হাত পা ছুঁড়ে চোখটি করে গােল হঠাৎ বলেন ‘গেলুম, গেলুম, আমায় ধরে তােল’! তাই শুনে কেউ বদ্যি ডাকে, কেউ বা হাঁকে পুলিশ, কেউবা বলে, কামড়ে দেবে, সাবধানেতে তুলিস। ব্যস্ত সবাই এদিক ওদিক করছে ঘােরাঘুরি