Categories


তিন গোয়েন্দা ভলিউম ৩/২

হ্যালো কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে ।জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলিসে,প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিনি বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি,নাম তিন গোয়েন্দা।

আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে । দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরশ আমেরিকান ,রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা লক্কড়ের জঞ্জালের নীচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেড কোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি, এসো না , চলে এসো আমাদের দলে।


গোয়েন্দা কাহিনী চোরের খোঁজে

বার্ষিক পরীক্ষা শেষ, সামনে লম্বা ছুটি। বিকেল ছ'টায় রহস্যভেদী আট-এর মিটিং, নির্দিষ্ট ছাউনিতে নয়। বাইরে, বাগানে, ঝােপের ধারে। মিশা আর জিমি এসে গেছে। অন্যদের আসবার অপেক্ষা করছে।এখানে বলে রাখা ভাল, ‘রহস্যভেদী আট’ হলাে রাজু, অপু, অজিত, বব, মিশা, রানু, অনিতা ও জিমির গােয়েন্দা সংস্থার সাংকেতিক নাম। প্রথম সাতজন কিশাের বয়েসী। আর জিমি হলাে একটা কুকুরের নাম। কুকুরটার মালিক রাজু। যাই হােক, ঝােপের কাছে এসে অপু নতুন সঙ্কেত বলল, নতুন হেডকোয়ার্টার।


মিতুর আনন্দ

বাবা খুব সকালে হােটেলে যায়। মা ব্যস্ত ছােটভাই বাবুকে নিয়ে। ছােটভাইটার যত কাজ। সবই মাকে একা করতে হয়। মিতুর ইচ্ছে করে মাকে সাহায্য করত। অবশ্য সাহায্য করতে পারলে ভালােই হতাে । তাতে সময়টা ভালােই কাটত। আজকাল মিতুর দিকে খেয়াল রাখার মতাে বাসার কারও সময় নেই। বাবা হােটেল নিয়ে ব্যস্ত। বড় আপু স্বামী, সংসার আর মা ব্যস্ত- বাবুর যত্ন, কাপড় ধােয়া, রান্না করার কাজে। পড়াশােনায় বরাবর প্রথম স্থান অধিকার করতে ফেইল করেছে। অবশ্য তাতে দুঃখ নেই। পরিবারের সবাই বলে পাস করলে বিদ্যার্জন হয় না। বরং ভালাে করে সমাজ ও প্রকৃতির সবকিছুই মনের চোখ দিয়ে দেখতে হবে, বুঝতে হবে। আর সেভাবে বারবার ভাঙে নিজেকে গড়তে হবে।


হাজী মুহম্মদ মহসীন

এক স্বপ্ন যেমন মােতাহারের মনে, অন্য স্বপ্ন তেমন তার কর্মে। তিনি কর্মযজ্ঞের। বীরপুরুষ। উপযুক্ত পরিবেশে তিনি কর্মযজ্ঞে মেতে ওঠেন । হুগলিতে লবণের কারখানা। তৈরি করেন। কিন্তু সে কারখানার চারপাশ জুড়ে পর্তুগিজদের আস্তানা। তাদের প্রভাবপ্রতিপত্তি । তবে সৌভাগ্যের বিষয় তাদের সে প্রভাব-প্রতিপত্তি বেশিদিন থাকে না। থাকতেও পারে না। অল্পদিনের ভেতর পর্তুগিজ ব্যবসায়ীরা পেছন ফিরতে বাধ্য হয়। কেননা, সম্রাটের সৈন্যরা একদিন তাদেরকে চারপ্রান্ত থেকে ঘিরে ধরে। সুতরাং আক্রমণ সহ্য করে থাকার মতাে আর কোনাে উপায় থাকে না। তারা পালাতে বাধ্য হয় । আস্তানা ছেড়ে দিতে হয় তাদেরকে । প্রভাব-প্রতিপত্তি সব ভেঙে টুকরাে টুকরাে। হয়ে যায়। পর্তুগিজ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের অবসান ঘটে। সাথে সাথে হুগলিতে। প্রতিষ্ঠিত হয় নতুন শাসনব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, পুরনাে রাজধানী সপ্তগ্রামের সেই রাজকীয় আদালত পর্যন্ত হুগলিতে স্থানান্তরিত হয়। যাবতীয় কাগজপত্রও চলে আসে। হুগলিতে । নতুন তৈরি প্রাসাদে পতপত করে ওড়ে মােগলদের বিজয় পতাকা । হুগলির শােভা বাড়ে। তৈরি হয় দুর্গ, নতুন নতুন বাড়ি। সুশােভিত সৌন্দর্যে হুগলিবাসীর মন জেগে ওঠে। নতুন প্রাণের হিল্লোলে তারা মেতে ওঠে।

 


এলজা অক্টাভেলা সিরিজ পর্ব ১ : একটি সাম্রাজ্যের মৃত্যু

ক্ষমতার লোভে, রক্তের নেশায়, অন্ধকারের অন্তঃস্থলে আটকে থাকা এক ভুলে যাওয়া প্রতিহিংসায় এক হয়েছে ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম হানাদার বাহিনী। শক্তিমান এক্সজার সাম্রাজ্যের হাজার হাজার সৈনিক, পর্বতমালা থেকে নেমে আসা হিংস্র দানব কোটারিয়ান, সেভ্রণ সভ্যতার অশুভ জাদু শক্তির পূজারীরা এবং প্রাচীণ আগুনের প্রলয়ংকরী দূত ড্রাগনের দল সবাই একত্রিত হয়েছে শুধু একটিমাত্র উদ্দেশ্যে - অক্টাভেলা সাম্রাজ্যকে আজ ধুলোয় মিশিয়ে ফেলা হবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত অক্টাভেলা সাম্রাজ্যের ধ্বংসস্তূপের উপর দিয়ে ধেয়ে আসছে হানাদার বাহিনী সাম্রাজ্যের শেষ শক্তির প্রতীক অক্টাভেলা প্রাসাদের দিকে। রাজা সেলেষ্টান অক্টাভেলাকে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে যুদ্ধের এই শেষ মূহুর্তে। তাঁর প্রজাদের এবং তাঁর একমাত্র শিশু কন্যার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাঁর ওপর। অশুভ এই দিনে অক্টাভেলা সাম্রাজ্যের শেষ সৈনিকেরা প্রাণপণে লড়ে চলেছে তাঁদের এই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে। নিয়তির খেলায় শেষ চাল দিতে এগিয়ে এসেছে এক অটল প্রতিপক্ষ। সব কিছুর পেছনে লুকিয়ে থাকা এক অশুভ শক্তি আত্নপ্রকাশ করতে চলেছে। একবছর ব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের করুণ সমাপ্তিতে আজ হতে চলেছে একটি সাম্রাজ্যের মৃত্যু।


দা স্ট্রেঞ্জ লাইব্রেরি

বুড়ো ইশারায় পথ দেখিয়ে বালককে নিয়ে যায় অচেনা-অন্ধকার রুমে। গোলকধাঁধাঁয় বালক অস্থির; সেইসাথে ঘেমে-নেয়ে একাকার হয়ে বালকের অধিক অস্থির হয়ে উঠি আমরা! এখানেই মুরাকামি আর অনুবাদকের সার্থকতা। রেলিং ধরে বুড়োর পিছুপিছু বালক নেমে যায় টিমটিম করে আলোজ্বালা ভেড়ামানবের রুমে, ততক্ষণে অবশ্য সন্ধ্যা! ভেড়ামানবটাও দেখার মতো- ‘ভেড়ামানবের জামার পিছনের ছোট্ট একটা লেজ লাগানো। হাঁটার সময় পেন্ডুলামের মতন এপাশ-ওপাশ দুলছে লেজটা।’ আহা, ওখানেই তো জেলখানার সেল! ভয়ানক বুড়ো ধোকা দিয়েই বলে- ‘চুপ থাকো, বোকা কোথাকার।’ বই তিনটা পড়ে শেষ করার মেয়াদ মাত্র একমাস এবং কাজটা ঠিকঠাক করতে পারলেই বালকের মুক্তি। বালকের সেলের বর্ণনা লেখক দেন এভাবেই- ‘ছোট্ট একটা সেল, তেমন কিছুই নেই ভিতরে- একটা বিছানা, একটা পড়ার ডেস্ক; বেসিন একটা আর একটা ফ্লাশ টয়লেট। বেসিনটার একপাশে টুথব্রাশ আর একটা গ্লাস রাখা।’ বালকের মনে পড়ে মায়ের কথা- যিনি সন্ধ্যা নামলেই খাবার প্রস্তুত রাখে তার জন্যে। ভেড়ামানব জানায়- ‘তার মাথাটা কেটে ফেলা হবে, ইয়াম্মি মগজটা খেয়ে ফেলবে ঠিক একমাস পর। বালক ভেড়ামানবকে কাকুতি করে মুক্তির উপায় বাতলে দিতে, কিন্তু তারও তো ভয় আছে- লোমওয়ালা শুঁয়োপোকার। বালক ঘড়ি দেখে আর ভাবে মায়ের কথা, পোষা শালিকের কথা। বুড়ো, ভেড়ামানবের পর আসে মিষ্টি একটা মেয়ে, খাবার নিয়ে। হয়তো বয়সের ফেরে দুজনেই বন্ধু হয়ে যায়। মেয়েটা কী রকম? লেখকের ভাষায়- ‘খুব হালকা পায়ে হাঁটে মেয়েটা, মে মাসের বাতাসের মতোন।’


মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ

তার সামনে এক বাটি মুড়ি। বড় চায়ের কাপে এক কাপ চা। তিনি মুড়ি খাচ্ছেন এবং চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন। নীতু তার সামনেই উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। দু'হাত দিয়ে মাথা তুলে রেখেছে, খুব তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মামাকে দেখছে এবং বােঝার চেষ্টা করছে মামা সত্যি গল্প বলছেন, না মিথ্যা গল্প বলছেন। মিথ্যা গল্প হলে সে শুনবে না। নীতুর বয়স বেশি না। এবার ক্লাস থ্রিতে উঠেছে। তবে তার খুব বুদ্ধি। গল্পের সত্যি-মিথ্যা সে চট করে ধরে ফেলে। ঐ তাে সেদিন কাজের বুয়া তাকে গল্প বলেছে


জবর বারো

আমি তখন সবে কানপুরে একটা ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে কলকাতায় এসেছি। হাতে কাজ নেই, কিন্তু পকেটে পয়সা জমেছে বেশ কিছু। নতুন কী করা যায় ভাবছি, এমন সময় আমার এক পুরােন আলাপী জগন্নাথ পাড়াশির সঙ্গে দেখা। সে বলল, “তােমাকেই খুঁজছিলুম।' আমি বললাম, কেন, কী ব্যাপার ? ‘মহিম সান্যালের নাম শুনেছ ? ‘জাদুকর মহিম সান্যাল ? হা হা। তিনি অবিশ্যি এখন রিটায়ার করেছেন, কিন্তু কেন জানি তাঁর একজন সেক্রেটারির দরকার পড়েছে। ইংরিজি আর টাইপিং জানা চাই। আমার তােমার কথা মনে পড়ল।'

আমি বললাম, “চাকরি একটা হলে মন্দ হত না। কিন্তু এ ভদ্রলােকের সঙ্গে যােগাযােগ করব কী করে ?

 


ভূতের রাজ্য (কিশোর-মুসা-রবিন- ৭)

জাদুর মোহে রিনকে আচ্ছন্ন করে ফেলল লর্ড হূম। তাকে সাহায্য করতে হলে তিন গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিনকে যেতে হবে ভূতের রাজ্যে, যেখানে শুধু মৃতদের বাস, নিজে না মরে ওখানে যাওয়া যায় না।
তবু বন্ধুর খাতিরে সেই অসম্ভব রাজ্যে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিল তিন গোয়েন্দা, সে যেভাবেই হোক। ঢুকলও ওরা। তবে তাড়াতাড়ি একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভূতের রাজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে নিজেরাও ওরা ভূত হয়ে যাবে।


ছোটদের ভূত

আহসান হাবীব মূলত কাটুর্নিস্ট। আর তার সেকেন্ড চয়েজ ভূত ...... । তিনি ঠাট্টা করে বলেন- ‘ছোটবেলায় একটা বাচ্চা ভূত আমার পিছু নিয়েছিল, সেটা মনে হয় বড় হয়ে এখনো মাঝে মাঝে আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে, সে কারণেই মাঝে মাঝে ভূতের গল্প লেখার এই ব্যর্থ প্রয়াস .... ‘ ছোটদের জন্য তিনি সবচেয়ে মমতা নিয়ে লেখেন। নানা ধরনের ভূতের গল্প এই গ্রন্থে সূচিবদ্ধ হয়েছে। গ্রাম-বাংলার ভূত থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের সায়েন্স-ফিকশনের ভূতও এ বইয়ে রয়েছে।


জুম-১

রাঙ্গামাটির তবলছড়িতে বেড়ে ওঠা দুরন্ত কিশোর জুমো। দারুণ ভাব মামার সাথে। ছোটবেলা থেকেই মামা তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। একটু বড় হবার পরে মামা হঠাত সন্ন্যাসজীবন বেছে নিলেন। ধ্যান করা দেখে দেখে জুমোরও শখ হত মামার সাথে ধ্যানে বসতে। ভালই চলছিলো সব। এমন সময় একদিন হঠাতই সড়ক দূর্ঘটনায় মামা নিহত হলেন। আর সেই সময়েই জুমো আবিষ্কার করল এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। তাহলে কি মামার সাথে করা সেই ধ্যান কাজে লেগেছিলো? আর হঠাত উদয় হওয়া 'সুলো' নামের এই লোকটাই বা কী বলছে?
তিন খণ্ডে সমাপ্য মৌলিক এক গল্পে দারুণ করে বলা সব্যসাচী চাকমার কমিক্স 'জুম' এর প্রথম পর্ব।


হলদে বাড়ির রহস্য ও দিনে ডাকাতি

বাগানের মাঝে-মাঝে সাদা রঙের বেঞ্চ পাতা। সেখানে বসলে অনেক দূর পর্যন্ত আকাশ দেখা যায়, আর ছােট ছােট পাহাড়। | বিমান আর স্বপন মাত্র দু-দিন আগে এখানে বেড়াতে এসেছে। এই বাড়িটা স্বপনদের। আর কয়েক দিনের মধ্যে স্বপনের মা বাবা ও আরও অনেকে এখানে চলে আসবেন কলকাতা থেকে। ওরা দু’জন শুধু একটু আগে আগে এসেছে। জায়গাটা সত্যি খুব সুন্দর।

কাছেই লাট্ট পাহাড়। ওরা সকালে বিকেলে সেই পাহাড়ের ওপর বেড়াতে যায়। সেই পাহাড়ের ওপর থেকে দূরে আর-একটা ছােট পাহাড়ের ওপর একটা হলদে রঙের বাড়ি দেখা যায়। সেদিকটায় আর কোনও বাড়িঘর কিচ্ছু নেই। শুধু মাঠ আর পাহাড়—তার মধ্যে ওই রকম একটা একলা-একলা বাড়ি কেন? বিমান ভেবেছিল, ওটা একটা দুর্গ। কিন্তু দুর্গের রং তাে ওরকম হলদে হয় না! কেউ কেউ বলে, ওটা কোনও এক জমিদারের বাড়ি ছিল। এক সময় এক জমিদার শখ করে বানিয়েছিলেন নিরালায় থাকার জন্য, এখন আর সেই জমিদারবংশের কেউ নেই। বাড়িটা এমনিই পড়ে আছে।

 


বিজ্ঞান কি ও কেন

ভূমিকা
আজকের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ অপরিসীম। অজানাকে জানতে আর বিশ্বের সমস্ত রহস্যের মূলকথা আয়ত্ত করতে হলে বিজ্ঞান শিক্ষা এ যুগের একান্ত জরুরী। স্কুল, কলেজ আজকের দিনে তাই বিজ্ঞান শির্ক্ষাথীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়তির পথে। শুধু পড়ার বই কখনোই ছেলেমেয়েদের এই জ্ঞানার্জন স্পৃহা তৃপত্ করতে পারে না। 
একটি কথা একই সংগে মনে রাখার ভাল, বিজ্ঞানের ব্যাপ্তি বিশাল। তাই এই গল্প পরিসরে সব কথা বলা সম্ভব নয়। যাদের জন্য এই পরিশ্রম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাঠরত সেই ছেলেমেয়েদের বইটি ভাল লাগলে তবেই বর্ধিত কলবরের কথা ভাবা যাবে। 

সূচিপত্র
* পদার্থ বিদ্যা
* আলো
* চৌম্ব
*ক তড়িৎ
* রসায়ন 
* জীবন বিজ্ঞান
* নৃবিজ্ঞান
* মহাকাশ গবেষণা
* মহাকাশ ও জ্যোর্তিবিজ্ঞান
* কম্পিউটার 
* বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার
* বিবিধ


ফ্রিয়ন

ভূমিকা (লেখকের কথা)
এই বইয়ের সায়েন্স ফিকশন তিনটির আইডিয়া অনেক দিন ধরেই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। সেজন্য বেশ অস্বস্তিতে ছিলাম। একপর্যায়ে সঙ্গে যুক্ত হলো লোডশেডিং এবং গরমের অস্বস্তি। আর পারলাম না। অস্বস্তি কমানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠলাম। যেহেতু লোডশেডিং আর গরমের অস্বস্তি কমানো সম্ভব নয়, তাই ঠিক করলাম, সায়েন্স ফিকশন তিনটি লিখে ফেলে অস্বস্তি কমাব! বেশ কিছুদিন সময় লাগল লিখতে। লেখাগুলো দিয়ে বই প্রকাশের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে একটি প্রকাশনী। তাই এ মুহূর্তে বেশ আছি!

বই পরিচিতি:
এই বইয়ের কল্পকাহিনি তিনটিতে রয়েছে স্থান-কাল-পাত্রের বিভিন্নতা। চেষ্টা করেছি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বৈচিত্র্যময়তার সন্নিবেশ ঘটাতে। গল্প তিনটি যদি আপনাদের কল্পনার আকাশে একটুও রঙ ছড়ায়, তাহলেই আমি পরিপূর্ণ স্বস্তি পাব!

এই বইয়ে আছে আপনাদের প্রিয় লেখক আসিফ মেহ্‌দীর তিনটি সায়েন্স ফিকশন। সেগুলোর কাহিনিসংক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো:

১. ধ্রুব তূবার কানের কাছে মুখ বাড়িয়ে ফিসফিস করে বলল, ‘একটা বিশাল কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছি, তূবা। ব্যাপারটা কেউ জানে না। তোমাকেই শুধু জানাতে চাই। আমি প্রকৃতির একটি বড় রহস্য আবিষ্কার করে ফেলেছি। এখনও কিছু কাজ বাকি। পুরোটা শেষ হলে তোমাকে ডিটেল বলব।’ এই বয়সী একটা ছেলে কোনো মেয়ের কানের এত কাছে মুখ এনে এমন আঁতেলীয় মার্কা কথা বলতে পারে, তা আজকের এ ঘটনা না ঘটলে তূবা বিশ্বাসই করত না! কিন' আঁতেল ধ্রুব যা আবিষ্কার করেছে, তা সত্যিই পৃথিবীর যুগান্তকারী একটি আবিষ্কার! সেই আবিষ্কার নিয়েই ‘ভয়ংকর অনুনাদ’।

২. শান্ত একটি গ্রহ। ছায়া-সুনিবিড় একটি গ্রহ। সবুজে ঠাসা একটি গ্রহ। নির্মল পানি ও ঠাণ্ডা বাতাসের একটি গ্রহ। যেকোনো আগন্তুক গ্রহটিতে গেলে তার বিস্ময়ের সীমা থাকবে না! কোনো কলহ নেই, কোনো দূষণ নেই, কোনো যুদ্ধ নেই। যেন অপার শান্তির অপূর্ব লীলাভূমি! কিন্তু কিছুটা গভীরে গেলেই তিনি হতবাক হয়ে যাবেন! বুঝতে পারবেন, পুরো গ্রহ জুড়েই বিরাজ করছে দগদগে ক্ষত। প্রতিটা মুহূর্ত ভীষণ আতংকে ছটফট করছে সবাই। এই গ্রহের পরিণতি নিয়েই ‘বিজ্ঞানী গারাদের ত্রাসের জগৎ’।

৩. জারিফের বোন মীমের কঠিন অসুখ। অজানা এই অসুখের উপসর্গগুলো খুবই বিচিত্র ও ভয়াবহ! দেশ-বিদেশের কোনো ডাক্তারই এই মারাত্মক রোগের কারণ খুঁজে পাননি। জারিফও জানে যে তার বোনের মৃত্যু অনিবার্য। তবুও সে আশা ছাড়েনি। জারিফ কি পারবে তার আদরের ছোট্ট বোন মীমকে বাঁচাতে? তা নিয়েই ভিন্ন ধাঁচের সায়েন্স ফিকশন ‘ফ্রিয়ন’।