দেশের শহর থেকে গ্রাম, স্কুল থেকে কলেজ বা মাদ্রাসা বা বিশ্ববিদ্যালয়, সবাই এখন গণিত নিয়ে অপার আগ্রহী। আন্তর্জাতি গণিত অলিম্পিয়াড এবং এরই সাথে উচ্ছ শিক্ষায় সাফল্য ছিনিয়ে আনতে প্রয়োজন এই অপার আগ্রহের প্রচুর ও গঠনমূলক অনুশীলন, পরিশীলন ও পরিচর্যা, সহজ ভাষায় যাকে বলা যায় কোমরে দড়ি বেঁধে সারাদিন অংকের পেছনে লেগে থাকা। জ্যামিতির দ্বিতীয় পাঠ নিশ্চিতভাবেই এই লেগে থাকার অন্যতম মূল হাতিয়ার।ফলে অভিভাবকেরা আমাকে বাজারে ভাল গণিতের বই এর যে অভাবের কথা বলেন তা কিছুটা হলেও এই বইটি পূরণ করবে।গণিতের অলিম্পিয়াডের গুরু থেকেই দেখছি জ্যামিতি, বীজগণিত, সংখ্যাতত্ত্ব ও কম্বিনেটরিক্স এর মধ্যে আমাদের শিক্ষার্থীদের জ্যামিতির জ্ঞানটুকু সবচেয়ে বেশি পোক্ত।অন্যদিকে মজার বিষয় হল আইএমও তে মাঝে মাঝে এত সহজ জ্যামিতি থাকে তা নবম দশম শ্রেণীর জ্যামিতির জ্ঞান দিয়েই সমাধান করা সম্ভব।
ঢাকা । পর্দার আড়ালে থেকে মাফিয়া সিন্ডিকেটের হাতে সারা দেশের নিয়ন্ত্রণ। পুলিশ, ডিটেক্টিভদের মত প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও রয়েছে ছদ্দবেশী মাফিয়া স্পাই। এমনই কিছু ডিটেক্টিভ পুলিশের হয়ে ভুয়া কেস রিপোর্ট লেখে নীহারিকা। অন্যায় কাজ করতে চায় না, চাকরী ছাড়তে চায়। কিন্তু হুমকি ধামকি খেয়ে ছাড়তে পারে না। আইনের পথে থেকে বৈধভাবে অন্যায়গুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করতে থাকে।
অন্যদিকে হঠাতই আবির্ভাব হয় এক দুর্ধর্ষ অপরাধীর। কোনও এক বিশেষ কারণে সে শুধু আইনের চোখেই অপরাধী নয়, মাফিয়ার চোখেও তা’ই! ওর সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য কারও কাছেই নেই। সবাই শুধু ওর নামটা জানে, দুর্জয়।
আস্তে আস্তে তিনটা শক্তি একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল। মাফিয়া আর দুর্নীতিবাজ কিছু ক্ষমতাবান লোকের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই লড়ছে নিহারীকার মত কিছু লোক যারা এখনও সত্যান্বেষী, বিশ্বাস করে মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর জয় হবেই। আর ভাল-মন্দ কোনকিছুর পরোয়া না করে স্রেফ একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত এক এক করে মাফিয়ার সব চক্রব্যুহ ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে তছনছ করে চলেছে একা দুর্জয়। ওকে আটকানোর জন্যে চার হাতপা এক করে চেষ্টা চালাতে লাগল অন্য দুইটি শক্তি, ভাল আর মন্দ উভয়ে।
ঢাকা । পর্দার আড়ালে থেকে মাফিয়া সিন্ডিকেটের হাতে সারা দেশের নিয়ন্ত্রণ। পুলিশ, ডিটেক্টিভদের মত প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও রয়েছে ছদ্দবেশী মাফিয়া স্পাই। এমনই কিছু ডিটেক্টিভ পুলিশের হয়ে ভুয়া কেস রিপোর্ট লেখে নীহারিকা। অন্যায় কাজ করতে চায় না, চাকরী ছাড়তে চায়। কিন্তু হুমকি ধামকি খেয়ে ছাড়তে পারে না। আইনের পথে থেকে বৈধভাবে অন্যায়গুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করতে থাকে।
অন্যদিকে হঠাতই আবির্ভাব হয় এক দুর্ধর্ষ অপরাধীর। কোনও এক বিশেষ কারণে সে শুধু আইনের চোখেই অপরাধী নয়, মাফিয়ার চোখেও তা’ই! ওর সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য কারও কাছেই নেই। সবাই শুধু ওর নামটা জানে, দুর্জয়।
আস্তে আস্তে তিনটা শক্তি একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল। মাফিয়া আর দুর্নীতিবাজ কিছু ক্ষমতাবান লোকের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই লড়ছে নিহারীকার মত কিছু লোক যারা এখনও সত্যান্বেষী, বিশ্বাস করে মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর জয় হবেই। আর ভাল-মন্দ কোনকিছুর পরোয়া না করে স্রেফ একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত এক এক করে মাফিয়ার সব চক্রব্যুহ ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে তছনছ করে চলেছে একা দুর্জয়। ওকে আটকানোর জন্যে চার হাতপা এক করে চেষ্টা চালাতে লাগল অন্য দুইটি শক্তি, ভাল আর মন্দ উভয়ে।
এ বইয়ের প্রথম গল্প দশ বছর আগে লেখা, আর শেষ গল্প প্রায় কুড়ি বছর আগের। যারা সেই সময় এইসব গল্প পড়তাে তারা এখন বড়াে হয়ে গেছে, চাকরি-বাকরি আর ঘরসংসার করছে। কদিন পর ওদের ছেলেমেয়েদের এইসব গল্প পড়ার বয়স হবে।
সেই সময়ের অনেক গল্পই হারিয়ে গেছে। সত্যি কথা বলতে কি এই বইয়ের লেখাগুলােও আমার কাছে ছিলাে না। আমার কিছু তরুণ পাঠক ওদের সংগ্রহ থেকে এগুলাে বের করে দিয়েছে। পড়তে গিয়ে কয়েকটা গল্প একটু ঘষেমেজে দিয়েছি। নামও বদলাতে হয়েছে কয়েকটার। যেমন ‘মিছিলের একজন’ গল্পটার আগের নাম ছিলাে সেই লােকটি।'
এই গল্পগুলাে যে সময়ের, সেই সময়ের ওপর আমার বিশেষ দুর্বলতা আছে। ষাটের দশকের শেষে আমরা ক’জন ছােটদের জন্য লেখা শুরু করেছি। কচি ও কাঁচা আর টাপুর টুপুর পত্রিকাকে ঘিরে আমাদের সমবয়সী লেখকদের একটা বড়সড় দলই গড়ে উঠেছিলাে। সেই দলে ছিলাে আলী ইমাম, মুনতাসির মামুন, বেবী মওদুদ, ইফতেখার হােসেন, সালেহ আহমেদ, আহমেদ আনিসুর রহমান, পরাগ চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, আজমিরী ওয়ারেস, দিলরুবা আলম, শফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, জামশেদুজ্জামান, ফখরুজ্জামান, আর শাহজাদ ফেরদৌস। আমাদের সবার লেখা আলাদাভাবে চেনা গেলেও একটা ব্যাপারে আমরা একমত ছিলাম—
দূরের আকাশের চাঁদ-সূর্য-গ্রহ-তারা চিরকালই মানুষের মনে অপরিসীম কৌতূহল জাগিয়েছে। মহাকাশের রহস্য মানুষ উদঘাটন করতে চেষ্টা করেছে আদিকাল থেকে। সেই বোকা পণ্ডিতের কাহিনীটা আমাদের সবারই জানা।পণ্ডিত রাতের বেলা পথ চলেছেন-দৃষ্টি তাঁর আকাশের দিকে।আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের ভাবনায় তিনি মশগুল।এদিকে পথে ছিল এক খাদ; আকাশের তারার দিকে তাকিয়ে পথ চলতে চলতে তিনি পড়ে গেলেন সেই খাদে।এই কাহিনীর শিক্ষামূলক দিকটা বুঝতে মোটেই কষ্ট হয় না-আশপাশে না তাকিয়ে শুধু দূরের বিষয় নিয়ে ব্যস্থ থাকলে বিপদ ঘটতে পারে।তবে সেই সাথে যেসব পণ্ডিত ঘর-সংসারের চিন্তা ছেড়ে কেবলই আকাশের ভাবনা-চিন্তায় মন দেয় তাদের জন্য করুণার দিকটিও এখানে স্পষ্ট।বহুকাল ধরে জ্ঞানী মানুষদের নিয়ে সাধারণ মানুষের ধারণা অনেকটা এরকমই ছিল। তার কারণ, আকাশের বিষয় যে তাদের জীবনে কখনো কাজে লাগবে তা ছিল মানুষের কল্পনারও অতীত।কিন্ত আজ এ অবস্থা একেবারেই পাল্টে গিয়েছে। পৃথিবী ছেড়ে মহাকাশে বেরিয়ে পড়েছে মানুষ; চাঁদের বুকে নেমে ঘুরে বেড়িয়েছে। মহাকাশে ঘরপাক খাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের বদৌলতে আমরা সহজেই দূরদেশে টেলিফোনে কথা বলতে পারছি, টেলিভিশনে ছবি দেখছি নানা দেশের। মহাকাশের বার্তা পেয়ে আমরা জানতে পারছি ঘূর্ণিঝড়ের আগাম খবর-খরা ও বন্যার সতর্কবাণী। বিজ্ঞানীরা মহাকাশ থেকে আশ্চর্য স্পষ্ট ছবি তুলে আনছেন সৌরজগতের অতি দূরের গ্রহ-উপগ্রহের। চাঁদের মেরু অঞ্চলে পানি আর মঙ্গলগ্রহের বুকে প্রাণের চিহ্ন থাকতে পারে-খবর দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদ আর মঙ্গলগ্রহের বুকে মানুষের আন্তানা গাড়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।সূর্যের গায়ে সৌরকলঙ্কের খবর থেকে জ্যোতির্বিদরা খবর দিচ্ছেন পৃথিবীর আবহাওয়ায় বা বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় তার কোন ছাপ পড়বে কিনা। তাঁরা বলছেন সূর্যের বিকিরণে যদি শতাংশের ভগ্নাংশমাত্র হেরফের ঘটে তাহলেই বদলে যেতে পারে পথিবীর জলবায়ূ। নভোযান থেকে আশ্চর্য সব খবর আসছে মানুষের জন্য। বৃহস্পতির ওপর আছড়ে পড়েছে ধূমকেতুর কিছু খণ্ড-তার স্পষ্ট ছবি দেখছি আমরা পৃথিবীতে বসে। এমনি ধূমকেতু বা গ্রহাণু যে কোন সময় এসে পড়তে পারে পৃথিবীর ওপর। অতীতে এমন ঘটেছে-ভবিষ্যতেও যে ঘটবে তা প্রায় নিশ্চিত, তবে কখন তা কেউ বলতে পারে না।
শিক্ষার সঙ্গে আগ্রহের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। শিক্ষাকে কার্যকর করতে হলে শিক্ষণীয় বিষয়ের প্রতি অবশ্যই শিক্ষার্থীর আগ্রহ থাকতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর শিখতে না চাওয়ার ব্যাপারে দেখা গেছে আত্মবিশ্বাসের অভাব, বিষয়ের প্রতি উৎসাহের অভাব। ইচ্ছা করলে খুব সহজেই এগুলাে পাশ কাটিয়ে লেখাপড়ায় মনােযােগী হওয়া সম্ভব।
লেখাপড়াকে ভয় করলে লেখাপড়ায় ভালাে করা যায় না। কোনাে শিক্ষার্থী যদি প্রথমেই ধরে নেয় যে এসব বিষয়ে পাস করা বা এর চেয়ে ভালাে ফলাফল করা তার পক্ষে সম্ভব নয়, তাহলে সত্যিই এটা হবে না। এবার নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করাে, সহপাঠীরা যা পারবে তা তােমার না পারার কারণ কী থাকতে পারে। পড়াশােনার ক্ষেত্রে যতক্ষণ বােঝা যাচ্ছে না, ততক্ষণ কিন্তু কঠিন; বুঝতে পারলেই সহজ।
বােঝার জন্য রয়েছে অনেক সময়। আগের ক্লাসের চেয়ে বর্তমান ক্লাসের পাঠ্যসূচি একটু কঠিন। এই সময়ের মধ্যে তােমার ধারণা বেড়েছে, বেড়েছে পড়াশােনার ক্ষমতাও। তাই পড়া নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
আজ সকালে ঘুম ভাঙতেই আমার মায়ের কথা মনে পড়ল, অস্পষ্ট আবছা এবং হালকাভাবে নয়- অত্যন্ত তীব্রভাবে। মায়ের সাথে আমার যােগাযােগ নেই প্রায় বারাে বৎসর-আমার ধারণা ছিল খুব ধীরে ধীরে আমার মস্তিষ্ক থেকে মায়ের স্মৃতি অস্পষ্ট হয়ে আসছে। কিন্তু আজ ভােরবেলা আমি বুঝতে পারলাম সেটি সত্যি নয়, মায়ের স্মৃতি হঠাৎ করে আমাকে প্রবলভাবে নাড়া দিয়ে গেছে। মা এবং সন্তানের মাঝে প্রাণীজগতের যে তীব্র তীক্ষ্ণ এবং আদিম ভালােবাসা রয়েছে সেই ভালােবাসার একটুখানির জন্যে আজ সকালে আমি বুকের ভিতরে একধরনের শূন্যতা অনুভব করতে থাকি, আমার মাকে এক নজর দেখার জন্যে কিংবা একবার স্পর্শ করার জন্যে হঠাৎ করে নিজের ভেতর এক ধরনের বিচিত্র অস্থিরতা আবিষ্কার করে আমি নিজেই একট অবাক হয়ে যাই।
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
* তিনি ও সে
* বোকাভূ
* মজার ভূত
* তোমাদের জন্য রূপকথা
* নীল হাতী
* পরীর মেয়ে মেঘবতী
* চেরাগের দৈত্য এবং বাবলু
ইরন দীর্ঘসময় থেকে সমুদ্রের তীরে নির্জন বিস্তৃত বালুবেলায় একাকী বসে আছে। তার মন বিষন্ন, বিষন্নতার ঠিক কারণটি জানা নেই বলে একধরনের অস্থিরতা তার মনকে অশান্ত করে রেখেছে। ইরন অন্যমনস্কভাবে আকাশের দিকে তাকায় একটা ভাঙা চাঁদ মেঘের আড়াল থেকে বের হওয়ার মিথ্যে চেষ্টা করে আবার মেঘের আড়াল হয়ে গেল। মেঘে ঢাকা চাঁদের কোমল আলােতে চোখের রেটিনায় বর্ণ অসংবেদী রড গুলি কাজ করছে তাই চারিদিক আবছা এবং ধূসর। মধ্যরাত্রিতে নির্জন বালুবেলায় সামনের বিস্তৃত নিস্তরঙ্গ সমুদ্রটিকে একটি অতিপ্রাকৃতিক দৃশ্য বলে মনে হয়। ইরনের পিছনে দীর্ঘ ঝাউগাছ, সমুদ্রের নােনা ভেজা হাওয়ায় সেগুলি দীর্ঘশ্বাসের মতাে শব্দ করছে। হাহাকারের মতাে সেই শব্দ শুনলেই বুকের মাঝে বিচিত্র একধরনের শূন্যতা এসে ভর করে।
ইরন তার বুকের মাঝে দুর্বোধ্য সেই শূন্যতা নিয়ে নিজের হাঁটুর উপর মাথা রেখে নিঃশব্দে বসে থাকে। হঠাৎ করে সে বুঝতে পারে সে বড় নিঃসঙ্গ এবং একাকী। তার বুকের ভিতরে যে বিষন্নতা তার সাথে সে পরিচিত নয়, যে হতাশা তার মুখােমুখি হওয়ার সাহস নেই।
নিহিলিন ক্লাব এর হরর কমিক্স, সুদামের ফ্যান্টাসি এডভেনচার, দাদু নাদুর বৈজ্ঞানিক কমিক্স, ভাক্ষস নামের এক ভালো রাক্ষসের বিরাট কমিক্স, আর জিতুর স্কুলব্যাগের রহস্য। বাংলাদেশে প্রকাশিত এই কমিক্স সংকলনটির সাথে আবার পাওয়া যাচ্ছে একটি ছোট্ট মিনি কমিক্স। গোলাপ ভাই নামের সেই ছোট কমিক্সটি তে গোলাপ ভাইয়ের একের পর এক মজার সব কথপোকথন নিয়ে জমাটি গল্প। ঈদ উপলক্ষ্যে বের হলেও এই ডাইজেস্ট টি সবসময়েই পাওয়া যাবে ঢাকা কমিক্স এর ভান্ডারে।