Categories


হারুণচাচা এবং পূর্বাশ্রমের গল্প

তিনি বিস্মিত হয়ে দেখছেন জীবনটা জন্ম থেকে মৃত্যুতে প্রবাহিত একমাত্রিক রেখামাত্র নয়। অস্তিত্ত্বের আরও বহু মাত্রা ও স্তর রয়েছে। চিরে চিরে বিশ্লেষণ করে চলেছেন প্রেমিক-প্রেমিকা, পিতা-সন্তানের মতন রিলেশনশিপ পেয়ারগুলোকে। বুঝতে পারছেন, অত্যাচারী বাপকে মেরে ফেললেও সে মার খাওয়া মায়ের ভালোবাসার পুরুষ থেকেই যায়। দেখছেন জেনেটিক নকলনবিশির মধ্যেও বেঁচে থাকে কবিশ্রেষ্ঠের সৃষ্টিবীজ। দেখছেন একজন মানুষ তার অলটার ইগোর মধ্যে দিয়ে কেমন করে শুষে নিতে পারে জীবনের নিষিদ্ধ রস। আর সেই দর্শনগুলোর সাহায্যে বুঝে নিতে চাইছেন জীবনের বহুমাত্রিক ডাইনামিকসকে।


চিরকুট কাঙাল

অবসন্নতার ছবি। চিরকুট-কাঙাল। ভাঙব। পেট্রলে পেট্রলে জ্বলব। ষাট পাওয়ারের বাল্ব। শরীরে রম্যরচনার ফুঁ। উড়ে যাচ্ছি। অতর্কিতে স্টোনচিপ্‌স ঢুকে যাচ্ছে। দমবন্ধ। ফুটোতে ফুটোতে পেট্রল। দহন অপেক্ষমান। আমাকে আছাড় মারতে মারতে নিয়ে যাবে বলে সন্দিগ্ধ। আমি হাসছি। কমলা রঙের হাসি। ফিকে কমলা। আকাশে মৌমাছি উড়ছে। চকিতে ভাঙছে ঢেউ। কেউ বাবাকে খুঁজছে। রোদচশমার নিচে। ও কি জল? ফিরে আসি। ফিরে যাই। স্পিড-ব্রেকারের মতো। আমি নিভে যাওয়া ল্যাম্পপোস্টের পাশে শুয়ে থাকি। অবিন্যস্ত কুকুরের মতো পেচ্ছাপ করি। হলদে ফিনফিনে শার্টের কলারে ঢুকে যাই। উপদ্রুত জীবনেও! শতছিদ্র! প্রাহরিক অবসন্নতার ছবি ছড়িয়ে এক নির্লিপ্ত চিরকুট-কাঙাল।