প্রত্যেক লেখকেরই নিজস্ব এক ভরকেন্দ্র থাকে। যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি নিজের জগৎ নির্মাণ করেন। অথবা সেখানে পা রেখেই তিনি নিজের বোধ-ভাষাকে অনন্ত নক্ষত্রবীথিতে ছড়িয়ে দেন। আর বড় লেখকরা অনেক সময় এই ভরকেন্দ্রও বদলে ফেলার ক্ষমতা রাখেন। গল্পকার পারভেজ হোসেনে এই পঞ্চম গল্পগ্রন্থ ডুবোচর এর এসে মনে হচ্ছে, তিনি তাঁর জীবন ও শিল্পভ্রমণের মধ্যপর্বে এসে সেটিকেও বদলে ফেলার সক্ষমতা দেখিয়েছেন। তাঁর বিগত গল্পবইগুলোতে আমরা ফিরে ফিরে পেয়েছি বিষখালি-সুগন্ধা-ধানসিঁড়ি-জাঙ্গালিয়া নদীতীরবর্তী জীবনের গাঢ় আখ্যান এমনকি নগরজীবনের গল্পেও যেন এর ঘ্রাণ থাকত। কিন্তু এই বইয়ে এসে যেন তিনি বড় ধরনের বাঁক নিলেন। আর কেবল গল্পই লিখেননি তিনি, বরং জীবনের এমন সব অনুভূতি ও জিজ্ঞাসার সামনের নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন যে, কখনো কখনো তাঁর গল্পগুলো হয়ে উঠেছে আত্মদর্শন-উপলব্ধ অন্তর্গত বয়ান। গল্পগুলো পাঠ করতে করতে জীবনানন্দের গদ্যপদ্যর ঘ্রাণ টের পাবেন পাঠক, কিন্তু এতে জীবনানন্দর ভাষাপ্রভাবের সঙ্গে উভয় লেখকের ভূগোল, নৈকট্যও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হয়তোবা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিবেশটাই এমন যা এক -একজন লেখককে জীবনান্দতুল্য করে তোলে। আশির দশকের অন্যতম শক্তিমান গল্পকার পারভেজ হোসেন তাঁর এই নতুন বইয়েও লিখেছেন গ্রাম ও শহরের গল্প। কিন্তু লিখেছেন অন্য এক ভাষায়, আরো নিবিড় করে, পাঠকের অন্ত খুঁড়ে খুঁড়ে।
রাজার ছেলে বিলু, সহিসপুত্র কালু আর দুবছর বয়সী দাঁতছাড়া হাতি গিলু একদিন রাজপুরী ফেলে বেরিয়ে পড়ে গল্প-বলিয়ে পলাতক জল্লাদের খোঁজে, ওদের সাথে রওনা দেয় রাজবন্দি বীরপুরুষ গুরুৎও। শুরু হয় ওদের দারুণ রোমাঞ্চকর এক অভিযান। এ রাজ্য থেকে ও রাজ্য, মায়াবন থেকে নীলগিরি, কত না রাজপুরী আর বন-বাদাড় ঘুরে বেড়ায় আর কত কত অবাক-করা, মনে-ধরা জিনিসপত্তর দেখে বেড়ায় তার ইয়ত্তা নেই। সাথে বীরপুরুষ গুরুৎ আছে বলেই ওরা যে চলার পথের বিপদ-আপদগুলো সহজে উৎরে যায় তা কিন্তু নয়, বরঞ্চ সেসব কাটিয়ে ওরা শেষমেশ ঘরে ফিরতে পারবে কিনা সেটাই হয়ে দাঁড়ায় বিরাট এক প্রশ্ন। তবে ওদের দিন কাটে এমন এক উত্তেজনা আর ভালো লাগায় যে বাকি জীবনে চাইলেও আর ভুলতে পারবে না। ওদের সেই ভালো লাগার এতটুকুও যদি তোমাদের স্পর্শ করে, তবেই না লেখাটা সার্থক।
সূচিপত্র
* অনুবাদকের কথা
* ভূমিকার আগে - ফ্রানৎস কাফকা : খ্যাতি, প্রভাব ও প্রাসঙ্গিকতা
* ভূমিকা
* হোরসে লুইস বোরহেসের মুখবন্ধ - ফ্রানৎস কাফকা, শকুন
* গল্পসমগ্র (৮২-৩৫২) দুটি কথোপকথন
১. প্রার্থনাকারীর সঙ্গে কথোপকথন
২. মাতালের সঙ্গে কথোপকথন
* ব্রেস্সায় উড়োজাহাজ প্ৰথম দীর্ঘ রেলভ্রমণ : ম্যাক্স ব্ৰড ও ফ্রানৎস কাফকা
* বিরাট শোরগোল
ধেয়ান
* গাঁয়ের রাস্তায় বাচ্চারা
* সাধু-সাজা এক ফেরেবৃবাজের মুখোশ উন্মোচন
* হঠাৎ হাঁটতে বেরোনো
* সংকল্পগুলো
* ব্যাচেলরের নিয়তি
* ব্যবসায়ী জানালা থেকে আনমনা বাইরে তাকিয়ে
* বাড়ির পথে পাশ দিয়ে দৌড়ে যাওয়া মানুষ
* যাত্রী পোশাক
* রূঢ় প্রত্যাখ্যান
* শৌখিন ঘোড়সওয়ারদের বিবেচনার জন্য
* রাস্তার ধারের জানালা
* রেড ইন্ডিয়ান হওয়ার বাসনা
* গাছ
* বিমর্ষতা
* রায়
* দি সেন্টাকার - একটি খণ্ডাংশ
* রূপান্তর
* দণ্ড উপনিবেশে
* এক গ্ৰাম্য ডাক্তার - কিছু ছোট কাহিনি
* নতুন উকিল
* এক গ্ৰাম্য ডাক্তার
* উপরে, গ্যালারিতে
* পুরোনো পাণ্ডুলিপির একটি পাতা
* শেয়াল ও আরব
* খনি পরিদর্শন
* পাশের গ্রাম
* সম্রাটের কাছ থেকে একটি বার্তা
* পরিবারের প্রধানের জন্য একটি সমস্যা
* এগারো ছেলে
* ভাইয়ের হত্যা
* একটি স্বপ্ন
* অ্যাকাডেমির জন্য একটি প্রতিবেদন (দুটি খণ্ডাংশসহ)
* কয়লা-বালতির সওয়ারি
* এক অনশন-শিল্পী - চারটি গল্প
* প্রথম দুঃখ
* এক ছোটখাটো মহিলা
* এক অনশন-শিল্পী
* গায়িকা জোসেফিন অথবা ইদুর-জাতি
* পরিশিষ্ট
* তিনটি সাহিত্য সমালোচনা - ফ্রানৎস কাফকা
* প্রাসঙ্গিক তথ্য, পাঠ-পর্যালোচনা ও টীকা
* ফ্রানৎস কাফকা - কালপঞ্জি
Shaw began writing Man and Superman in 1901 and determined to write a play that would encapsulate the new century's intellectual inheritance. Shaw drew not only on Byron's verse satire, but also on Shakespeare, the Victorian comedy fashionable in his early life, and from authors from Conan Doyle to Kipling. In this powerful drama of ideas, Shaw explores the role of the artist, the function of women in society, and his theory of Creative Evolution. As Stanley Weintraub says in his new introduction, this is 'the first great twentieth-century English play' and remains a classic exposé of the eternal struggle between the sexes.
সূচিপত্র
*ক্ষমতার শাসন
*নেতা ও অনুসারী
*ক্ষমতার রকমভেদ
*যাজকীয় ক্ষমতা
*নগ্ন ক্ষমতা
*বিপ্লবী ক্ষমতা
*অর্থনৈতিক ক্ষমতা
*জনমত সংগঠনে ক্ষমতার প্রভাব
*ক্ষমতার উৎস : ধর্মমত
*সংগঠনের ইতিবৃত্ত
*ক্ষমতা ও শাসন পদ্ধতি
*ব্যক্তি ও সংগঠন
*প্রতিযোগিতা
*ক্ষমতা ও নৈতিকা বিধি
*ক্ষমতার দর্শন
*ক্ষমতার নীতি
*ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ
‘পাকিস্তানের জন্মমৃত্যু-দর্শন’কে বলা যেতে পারে লেখকের স্মৃতিকথা। স্মৃতির আধারেই বিধৃত হয়েছে ইতিহাস। এ ইতিহাস কোনো বইয়ে পাওয়া যাবে না। মানুষের মনোলোকের ইতিহাস উঠে এসেছে এখানে।
এ বইয়ের ‘দর্শন’ শব্দটি ‘দেখা’ ও ‘ফিলসফি’-দুটো অর্থই ধারণ করেছে। পাকিস্তানের জন্ম ও মৃত্যুকে লেখক যেভাবে দেখেছেন তার বর্ণনা যেমন আছে এ বইয়ে, তেমনই আছে পাকিস্তান মানক রাষ্ট্রটির জন্ম ও মৃত্যর পেছনে সক্রিয় ছিল যে দর্শন তারও অনুপুঙ্ক্ষ বিশ্লেষণ। পাকিস্তানের জন্মের দর্শনটি ছিল একান্তই অপদর্শন। অপদর্শন ছিল বলেই পাকিস্তানের মৃত্যু ছিল অপরিহার্য। বাংলাদেশের জন্মের যে দর্শন, সেই দর্শনের মধ্যেই নিহিত ছিল পাকিস্তানের মৃত্যুর দর্শন। পাকিস্তানের এই জন্মমৃত্যুর দর্শন সম্পর্কে এ-রকম মনোগ্রাহী বিশ্লেষণ আর কোথাও পাওয়া যাবে না। লেখকের জীবন কেটেছে গ্রামে ও মফস্বল শহরে। আমাদের ইতিহাস বইগুলোতে গ্রামের চিন্তা-চেতনার পরিচয় কিংবা মফস্বল শহরের মানুষের অবদান সম্পর্কে কিচুই লেখা হয় না। ‘পাকিস্তানের জন্মমৃত্যু-দর্শন’ এক্ষেত্রেও একটি ব্যতিক্রমী পুস্তক। সাধারণ পাঠক যেমন, তেমনই ইতিহাস লেখকগণও এ বইয়ে অনেক ভাবনার খোরাক পাবেন।