সমকালীন জটিল সমাজজীবনকে আশ্রয় করে বোনা হয়েছে ঘুণপোকা.net-এর গল্পগুলো। জিরান কাট, সালোকসংশ্লেষ এবং একটি অসমাপ্ত ডায়েরি -- গল্প তিনটিতে হতাশা, অন্ধকারের শেষে লেখা হয়েছে আলোর গান, আশার বার্তা। আর সেটাই এই বইয়ের মূল জীবনীশক্তি।
গেরুয়া বসনে সে অনুকৃতি
সে বাধ্য করায় হাড় খেতে
ভিন্নমুখ রসে শাঁখের করাত হতে হয়
দীর্ঘদিন শর্করা রোগীর অতৃপ্তিতে সেতুবন্ধ বানিয়েছি
এখন কাঠপুতলিরা পেরেকের মার খেতে শিখেছে
কপালে খোদাই টিপ
গলার মাৎসর্যভঙ্গে ঘরে কেউকেটা
পুরুষের বাড়ি মেসোপটেমিয়া
নীল নদ, একজোড়া চুমু, আর জমি নিয়ে
বিবাহ হয় বেলে মাটিতে
ওরা আমাদের কাঠপুতলি বলে
পতিত বা আবাদ যাই হই -
"অনেকের মুখেই শুনি 'ভালো কবি', 'বড় কবি', কিংবা 'ভালো কবিতা', 'কালজয়ী কবিতা' - আমি জানিনা একটা কবিতার মধ্যে কোন কোন গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকলে তাকে এইসব শ্রেণীর মধ্যে গণ্য করা হবে। আমি শুধু জানি, ভালো কবিতা হল সেইসব কবিতা যা পড়লে কান্না পায়, আর সব কবিতা কাঁদাতে পারে না। সরোজ দরবারের 'চলতি হাওয়ার পংক্তি'-তে সেইরকমই কয়েকটি বিরল কবিতা রয়েছে।" -- কিঙ্কিণী বন্দ্যোপাধ্যায়
After spending a whole night absorbed in " baul songs " in Kenduli Baul Fair, a Young man felt he is in love with the woman sitting just beside him. But both are in a journey in the different circle! Love is just a forbidden word may be! Will the Man get love from the woman? Or The young chap, who entered into a prostitute zone, just lost the calculation of life while suddenly got caught by the police! Then? Will the magic of Nightlife of Kolkata bring back him his own entity again? Or the Old man in a nursing home, who saw the dead body of an age-old friend whom he lost due to misunderstanding long ago, just lost his speech in pain! Will, he questioned him, breaking of such rare relationship was a wrong path of life? Its a book, where many such characters have questioned themselves, their own entity
নায়কনায়িকার মিলনের পর আর কোনও গল্প বলবার থাকে কি? না, থাকে না। এ গল্পেরও প্রথম খণ্ডের শেষে শোভন ও ফরিদার মিলনের পর আর কোনও কথা বাকি থাকত না, যদি তারা এ কাহিনির নায়কনায়িকা হত। কিন্তু, এ কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে বাংলার মাটির গান, বা আরও খুঁটিয়ে বললে, বাংলার লোকসঙ্গীতের আত্মাটি। সময়ের সাথে সাথে উত্থানপতনের দোলায় দুলে, পরিবর্তনের ঢেউয়ে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়ে, নিজের রূপকে বদলে, ক্রমাগত বাণিজ্যায়ণের কঠিন ধাক্কা সয়েও যে মহাকাব্যিক সংগ্রামটি করে নিজের অস্তিত্বকে সে বাঁচিয়ে নিয়ে চলেছে এক অন্তহীন যাত্রায়, ওই সদ্যপরিণীত যুবকযুবতী সে সংগ্রামের দুই যোদ্ধা মাত্র, তার বেশি কিছু নয়। তাদের লড়াই, ভালোবাসাবাসি, হারজিতকে অনুসরণ করে চলুন আমরাও সেই যাত্রাপথে পা রাখি। ভেসে চলি অজানা স্রোতের ঘূর্ণিপাকে অজানা পথের ধুলো বেয়ে।
নীহারুল ইসলামের গল্পের সঙ্গে পাঠকের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পশ্চিমবঙ্গ আকাদেমির 'সোমেন চন্দ স্মারক পুরস্কার' (২০১০) পাওয়া তাঁর 'ট্যাকের মাঠে মাধবী অপেরা' গল্প সংকলনটি পুনঃপ্রকাশ করেছে সৃষ্টিসুখ প্রকাশন। প্রচ্ছদ এঁকেছেন পার্থপ্রতিম দাস।
তিনি বিস্মিত হয়ে দেখছেন জীবনটা জন্ম থেকে মৃত্যুতে প্রবাহিত একমাত্রিক রেখামাত্র নয়। অস্তিত্ত্বের আরও বহু মাত্রা ও স্তর রয়েছে। চিরে চিরে বিশ্লেষণ করে চলেছেন প্রেমিক-প্রেমিকা, পিতা-সন্তানের মতন রিলেশনশিপ পেয়ারগুলোকে। বুঝতে পারছেন, অত্যাচারী বাপকে মেরে ফেললেও সে মার খাওয়া মায়ের ভালোবাসার পুরুষ থেকেই যায়। দেখছেন জেনেটিক নকলনবিশির মধ্যেও বেঁচে থাকে কবিশ্রেষ্ঠের সৃষ্টিবীজ। দেখছেন একজন মানুষ তার অলটার ইগোর মধ্যে দিয়ে কেমন করে শুষে নিতে পারে জীবনের নিষিদ্ধ রস। আর সেই দর্শনগুলোর সাহায্যে বুঝে নিতে চাইছেন জীবনের বহুমাত্রিক ডাইনামিকসকে।
অবসন্নতার ছবি। চিরকুট-কাঙাল। ভাঙব। পেট্রলে পেট্রলে জ্বলব। ষাট পাওয়ারের বাল্ব। শরীরে রম্যরচনার ফুঁ। উড়ে যাচ্ছি। অতর্কিতে স্টোনচিপ্স ঢুকে যাচ্ছে। দমবন্ধ। ফুটোতে ফুটোতে পেট্রল। দহন অপেক্ষমান। আমাকে আছাড় মারতে মারতে নিয়ে যাবে বলে সন্দিগ্ধ। আমি হাসছি। কমলা রঙের হাসি। ফিকে কমলা। আকাশে মৌমাছি উড়ছে। চকিতে ভাঙছে ঢেউ। কেউ বাবাকে খুঁজছে। রোদচশমার নিচে। ও কি জল? ফিরে আসি। ফিরে যাই। স্পিড-ব্রেকারের মতো। আমি নিভে যাওয়া ল্যাম্পপোস্টের পাশে শুয়ে থাকি। অবিন্যস্ত কুকুরের মতো পেচ্ছাপ করি। হলদে ফিনফিনে শার্টের কলারে ঢুকে যাই। উপদ্রুত জীবনেও! শতছিদ্র! প্রাহরিক অবসন্নতার ছবি ছড়িয়ে এক নির্লিপ্ত চিরকুট-কাঙাল।