Categories


হযরত আবু বকর (রা.) জীবনকথা (হার্ডকভার)

আমার বাবা, কত মহান তিনি। আল্লাহর শপথ! লােকেরা তার সমালােচনা করতে পারে না। তিনি তাে সমুচ্চ পর্বততুল্য ও সুমহান মর্যাদার অধিকারী । হায় হায় এ কেমন ভুল ধারণা?! তােমরা যখন ইসলামের ডাকে সাড়া দাওনি তখন তিনি সেই সাফল্য অর্জন করেছেন। তােমরা যখন ইসলামের সাহায্যে অক্ষম ছিলে তখন তিনি লক্ষ্যে পৌছা দ্রুতগামী অশ্বের ন্যায় ইসলামের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। তরুণ বয়সে তিনি ছিলেন কোরাইশী বীর, প্রৌঢ় বয়সে তাদের আশ্রয়স্থল। তিনি তাদের বন্দীদের মুক্ত করতেন। অভাবীদের সাহায্য করতেন। তাদের দ্বন্দ্ব-কলহ দূর করতেন এবং তাদের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সমাধান করতেন। এমনকি তাদের হৃদয়সমূহ তাকে ভালােবেসেছিল। অতঃপর তিনি আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করেন। আল্লাহর প্রতি প্রচণ্ড অনুরাগের কারণে তিনি আপন গৃহাঙ্গনে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। এবং মিথ্যাশ্রয়ীরা যে সত্যকে নির্বাপিত করতে চেয়েছিল তিনি সেই সত্যকে পুনর্জীবিত করেছিলেন।


রিয়াদুস সালিহীন (১ম-৪র্থ খণ্ড একত্রে)

'আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ -কে বলতে শুনেছি । তােমাদের পূর্বেকার তিনজন ব্যক্তি কোথাও চলার পথে রাত কাটানাের জন্য এক পর্বতের গুহায় আশ্রয় নিল। তারা সেখানে প্রবেশ করার পর একটি পাথর ধ্বসে পড়ে তাদের গুহার মুখ আটকে দেয়। তারা একে অপরকে বলতে লাগল, “তােমাদের খাটি আমলকে ওয়াসীলা বানিয়ে তােমরা একমাত্র আল্লাহর নিকট দু'আ করলেই এই পাথরের বিপদ থেকে মুক্তি পাবে।” তাদের একজন বললঃ হে আল্লাহ! আমার পিতা-মাতা অত্যধিক বৃদ্ধ ছিলেন। তাদেরকে আমি আমার পরিবার, সন্তান ও অধীনস্তদের আগেই দুধ পান করাতাম। একদিন কাঠের খোজে আমাকে অনেক দূরে যেতে হলাে, সঠিক সময়ে বাড়ীতে ফিরতে পারলাম না, ফলে আমার পিতা-মাতা ঘুমিয়ে পড়লেন। তাদের রাতে পান করার জন্য আমি দুধ দোহন করে এনে দেখি তারা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তখন তাদেরকে জাগানাে অপছন্দ করলাম। আবার তাদের আগে পরিবারবর্গ ও অধীনস্তদের দুধ পান করাতেও পছন্দ করলাম না। কাজেই দুধের পাত্র হাতে নিয়ে আমি তাদের জেগে উঠার অপেক্ষায় থাকলাম। এদিকে আমার দুই পায়ের নিকট আমার সন্তানেরা ক্ষুধার তাড়নায় কান্নাকাটি করছিল। এই অবস্থায় সকাল হলাে। তারপর তারা জেগে উঠে দুধ পান করেন। হে আল্লাহ!


সহীহুল বুখারী ষষ্ঠ খণ্ড(বঙ্গানুবাদ) (হার্ডকভার)

মক্কা নগরীর লােকেরা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা হিসাবে মানলেও তিনিই যে একমাত্র ইলাহ, যাবতীয় ইবাদাত বন্দেগী লাভের একমাত্র মায়ূদ (উপাস্য), সকল ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিকারী, আইন দাতা, বুদ্ধিদাতা, বিপদে উদ্ধারকর্তা, একমাত্র হুকুম-বিধান দাতা এটা তারা স্বীকার করত না। তারা নানান দেবদেবীর পূজা করত এবং বিশ্ব পরিচালনায় সে সব দেবদেবীকে আল্লাহর অংশীদার মনে করত। তাই আল্লাহ তাআলা তার নাবীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন, যারা আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ বলে স্বীকার করে নিবে এবং এ বিশ্বাসের উপর অটল থেকে শিকমুক্ত অবস্থায় মারা যাবে, জাহান্নাম তাদের জন্য হারাম করে দেয়া হবে। নবুয়তের প্রাথমিক অবস্থায় সলাত, সওম, হজ্জ, যাকাত কিছুই ফরয করা হয়নি। সে সময়ে আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ হিসাবে বিশ্বাস করে নেয়াই ছিল বড় কঠিন ব্যাপার। তাই তখন তাওহীদের প্রতি ঈমান আনাই জান্নাতে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। অতঃপর যখন উক্ত ইবাদাতগুলাে ফরয। হিসাবে বিধিবদ্ধ করা হল, তখন শুধুমাত্র আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মাবুদ নেই’ এর স্বীকৃতি প্রদানই জান্নাতে প্রবেশের জন্য আর যথেষ্ট থাকল না। অতএব এখন আল্লাহর তাওহীদে বিশ্বাস করার অর্থই হল তার যাবতীয় নির্দেশকে মান্য করা। তবে বর্তমানে কেউ যদি নতুনভাবে ইসলাম কবুল করে কোন ফরয ইবাদাত কার্যকর করার আগেই তার মৃত্যু হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে এ হাদীস প্রযােজ্য। হবে। তাওহীদে বিশ্বাসী কোন লোেক যদি এমন অবস্থা ও পরিবেশে বাস করেন যেখানে কোন ফরয এবাদত করা একেবারেই অসম্ভব তবে সেক্ষেত্রেও এ হাদীস প্রযােজ্য হতে পারে।


সহীহুল বুখারী চতুর্থ খণ্ড(বঙ্গানুবাদ) (হার্ডকভার)

যার সমগ্র জীবনের আচার আচরণ ও সম্মতিকে আল-কুরআন মানব জাতির অবশ্য অনুসরণীয় হিসেবে বিধিবদ্ধ করেছে। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনকে সঠিকভাবে বুঝার জন্য ব্যাখ্যা হিসেবে রয়েছে নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সহীহ হাদীস। আর এ সহীহ হাদীস সংকলন করতে গিয়ে আইম্মায়ে কিরামকে ভােগ করতে হয়েছে যথেষ্ট ক্লেশ। তাদের অত্যন্ত শ্রমের ফলেই আল্লাহর রহমতে সংকলিত হয়েছে সহীহ্ হাদীস গ্রন্থসমূহ। আর এ কথা সকলেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে, হাদীস গ্রন্থসমূহের মধ্যে সহীহুল বুখারীর স্থান সবার শীর্ষে। আমাদের দেশে বাংলা ভাষায় হাদীস অনুবাদের কাজ যদিও বহু পূর্বেই শুরু হয়েছে তবুও বাংলা ভাষায় হাদীস চর্চায় আমরা পিছিয়ে। ফলে এখনও আমরা সহীহ হাদীস বাদ দিয়ে হাদীসের ব্যাপারে অশিক্ষিত অনভিজ্ঞ নামধারী কতিপয় আলিমদের মনগড়া ফাতাওয়ার উপর আমল করতে গিয়ে আমাদের আমলের ক্ষতি সাধন করছি।