Categories


পানি

সুস্থ থাকার জন্য আমরা সবাই পানি খাই পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য পানি চাই-ই চাই। পানি দিয়ে আমরা সবাই করি অনেক কাজ বলাে দেখি সিসিমপুরে করছে কে কী আজ? সাগরে পানি, নদীতে পানি, পানি আছে খালে পুকুরে পানি, কলে পানি, পানি আছে বিলে। পাহাড় থেকে ঝরনা হয়ে নামছে পানি জানি, আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়ে, কোথায় পেল পানি?


গুপি গাইন বাঘা বাইন

শিশুদের জন্য কত গল্পই তো লেখা হয়। সব গল্প চিরকালের নয়। কিছু গল্প চিরকালের। সেসব গল্পের লেখকেরাও চিরকালের। চিরকালের সেই লেখকদের নির্বাচিত কিছু গল্প নিয়ে এই সিরিজ। সিরিজের প্রতিটি গল্পে লেখকের ভাষা সম্পূর্ণ রক্ষা করা হয়েছে। কেননা গল্পগুলো চিরকালের হয়ে উঠেছে শুধু কাহিনীর গুণে নয়, লেখকের ভাষার গুণেও। চিরকালের এসব সম্পদকে অবিকৃতভাবে এই সিরিজে প্রকাশ করা হয়েছে, যেন গুল্পগুলো থেকে প্রত্যেকটি শিশু তার মতো করে শিক্ষণীয় বিষয় গ্রহণ করতে পারে। তরুণ চিত্রশিল্পী সব্যসাচী মিস্ত্রী চিরকালের এই গল্পকে চিত্রের মাধ্যমে নতুন করে চিত্রগল্প সৃষ্টি করেছেন।


মজার জেনেটিক্স

আমাদের মধ্যে কেউ বেঁটে, কেউ বা লম্বা, কেউ কালো, কেউ ফরসা। কারও মাথায় কোঁকড়ানো চুল, কারও বা মস্ত টাকা। এ সবের পিছনে কলকাঠি নাড়ে যে-বস্তুটি তার নাম ‘জিন’। বহমান জীবনধারার আসল নির্ণায়ক বলে বিজ্ঞানীরা যাকে চিহ্নিত করেছেন। ক্রোমেজমের মধ্যে রংবেরং-এর পুতির মতো অজস্র জিন সাজানো আছে আমাদের দেহে। বিজ্ঞানীরা এইসব জিনদের আলাদা করে চিনে নিতে পেরেছেন। জিনের কার্যকলাপ বিচিত্র, রহস্যময়, কখনও বা ম্যাজিকের মতো অবিশ্বাস্য। ছোটদের জন্য খুব সহজভাবে জিনের নানা কাণ্ডকারখানার কথা লিখেছেন পার্থসারথি চক্রবর্তী, যাঁর বই মানেই মজার বিজ্ঞান, বিজ্ঞানের মজা। তবে ছোটদের জন্য লেখা হলেও এ-বই সবার মনে কৌতুহল জাগিয়ে তুলবে। বইয়ের পাতায় পাতায় দেবাশীষ দেবের আঁকা মজার কার্টুন।


আলুর খোঁজে

ইকরি আর টুকটুকি এসেছে সবজি বাগানে। বাগানে অনেক সবজি। দাদি বলেছেন আলু নিতে ওরা।

আলু খুঁজে পাচ্ছে না। 

টুকটুকি বলে, আলু তাে পেলাম না। তবে দেখাে, কত বড় গােল একটা সবজি। চলাে এটা নিয়ে যাই। 

দাদি বলেন, বাহ্! কী সুন্দর মিষ্টিকুমড়া! ধন্যবাদ তােমাদের । তবে আলু নিয়ে এসাে।

 


ঘুড়ি ওড়ানোর মেলা (কোড -১০৮)

সিসিমপুরে ঘুড়ির মেলা প্রতিবছর হয়, রং-বেরঙের ঘুড়ি ওড়ে, ওড়ে আকাশময়। এ বছরেও হবে মেলা বানাবে তাই ঘুড়ি, এমন ঘুড়ি হবে এবার থাকবে না যার জুড়ি।

কেউ-বা পালিশ করছে সুতা কেউ-বা বানায় নাটাই, টুকটুকি যে ভাবছে বসে- কেমন ঘুড়ি বানাই! শিকুর ঘুড়ি উড়ােজাহাজ, ইকরি বানায় পরি, হালুম বলে আমার হবে মাছের মতাে ঘুড়ি।

টুকটুকিটা ভাবছে দেখাে একা একা বসে, কেমন ঘুড়ি হবে? বলে, সুমনা যে এসে। টুকটুকি যে বললাে তখন- শােননা সুমনা, এমন ঘুড়ি হবে যে তার নেইকো তুলনা।

 


দৈত্য ও সাহসী দর্জি

এক দেশে ছিল এক দর্জি। সে একদিন জ্যাম খেতে গেল। কিন্তু সেখানে কিছু মাছি বসেছিল। দর্জি এক আঘাতে সাতটি মাছি মেরে ফেলল। দর্জি তার কাজে নিজের উপর খুব গর্বিত হয়ে উঠল।

সে একটি বেল্ট পরল। তাতে লেখা ছিল, ‘এক আঘাতে সাত জন। সে তার সেই সাহসী কাজের খবর পৃথিবীকে জানানাের জন্য বেরিয়ে পড়ল।

চলতে চলতে পথে দর্জির সাথে এক দৈত্যের দেখা পেল। দৈত্য দর্জির বেল্টের লেখা দেখে ভাবল সে মনে হয় এক আঘাতে সাতজন মানুষ মেরেছে। দৈত্য তার শক্তি পরীক্ষার আহবান জানাল।

দৈত্য একটি পাথর কুড়িয়ে নিয়ে সেটা চেপে পানি বের করে তার বাহাদুরি দেখাল। দর্জি তার কাছে থাকা এক টুকরা পনির চেপে দুধ বের করল। দৈত্য তা দেখে অবাক হয়ে গেল।

 


যেখানে সবাই শেখে

স্কুলের সামনে টুকটুকি দেখে একটা সাইনবাের্ড। ও মিতুর কাছে জানতে চায়, মিতু ওখানে কী লেখা? মিতু খুশি হয়ে বলে, ওখানে লেখা আছে ‘সব শিশুই শিখতে পারে। জানাে টুকটুকি, সুমনা আপা আমাদের অনেক কিছু শিখতে সাহায্য করেন।

সুমনা বলে, মিতু তােমার বন্ধুকে

সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দাও। মিতু বলে- ও টুকটুকি, সিসিমপুর থেকে এসেছে। ক্লাসের সবাই গান গেয়ে টুকটুকিকে স্বাগত জানায়।

টুকটুকিকে স্বাগতম আমাদের স্কুলে মজা করে অনেক কিছু শিখবাে সবাই মিলে।

 


আরব্য রজনীর গল্প (২য় খণ্ড)

কম্বলের তলা থেকে হাত বের করে দিল যুবক বাঁ হাত। একটু অবাক হলাম, অপমানিতও। সুন্দর চেহারা যুবকের। দেখেই বােঝা যায় সম্রান্ত বংশীয়, নিশ্চয় শিক্ষাদীক্ষা আছে। আদব-কায়দা বিশেষ জানেটানে বলে মনে হল না। যাই হােক, রােগী দেখতে এসে এতসব মনে করলে চলে না। নাড়ি দেখে ওষুধ দিয়ে চলে এলাম। পরদিন আবার গেলাম। নাড়ি দেখতে চাইলে আবার বাঁ হাত বের করে দিল যুবক।

তার পরদিন আবার গেলাম। তার পরের দিন আবার। পরপর দশ দিন যেতে হল আমাকে। নাড়ি দেখতে চাইলে রােজই বাঁ হাত বের করে দেয় যুবক। রীতিমতাে অপমানই বােধ করি। একদিন দু'দিন হলে কথা ছিল। পরপর দশ দিন একই ব্যবহার সহ্য করা যায় না। কোতােয়ালের বাড়ির লােক বলে কঠিন কিছু বলতেও সাহস করি না।

 


ইকরির ফুল

একদিন সকালে দাদি ইকরিকে একটা টব উপহার দিলেন। নকশা-আঁকা টবটা দেখতে খুব সুন্দর, দাদি বললেন, ‘তুমি এতে ফুলের গাছ লাগাতে পারাে ইকরি। ফুল ফুটলে টবটা আরও সুন্দর লাগবে। দাদির কথা শুনে ইকরি দারুণ খুশি হলাে। ইকরি একটু ভেবে দাদিকে বললাে, ‘ইকরির মাথায় একটা ভাবনা এসেছে দাদি। ইকরি দাদিকে তার ভাবনার কথা জানালাে। শুনে দাদি বললেন,‘দারুণ একটা কাজ হবে ইকরি!


মিতু একদিন সিসিমপুরে

সুন্দর সকাল। পাখির কিচিরমিচির ডাকে মিতুর ঘুম। ভাঙে। মিতু আজ খুব খুশী। সে আজ সিসিমপুরে বেড়াতে যাবে। তার বন্ধু টুকটুকিদের বাড়িতে। সে যাবে তার দাদির সাথে ।

গােসলের পর মিতু তার প্রিয় জামাটি পড়ে চুল আঁচড়ে নেয়। দাদি লাল ফিতা দিয়ে। তার চুল বেঁধে দেন। দাদি বলেন, “তােমাকে খুব সুন্দর লাগছে।”,

লাগছে।” মিতুর আর দেরী সইছে না। কখন সে তার প্রিয় বন্ধুকে দেখবে।

 


তোমাদের প্রশ্ন আমার উত্তর

প্রশ্ন: আমি আপনার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি আপনি কথা বলেন না, হাসেন না, সব সময় গােমড়ামুখ করে বসে থাকেন। কারণটা কী? তবে আপনার স্ত্রী খুব হাসিখুশি মানুষ, তাকে দেখে আমরা খুব খুশি হয়েছি, তাকে আমাদের খুব ভাল লেগেছে। 

উত্তর: এই অভিযােগটা আসলে অনেকের, অনেকেই আমাকে জানিয়েছে আমি গম্ভীর এবং গােমড়ামুখী। আমি যতদূর জানি আমার ছাত্রছাত্রীরাও আমাকে খুব ভয় পায় এবং তাদের ধারণা আমি বদরাগী মানুষ। আমি লক্ষ্য করেছি আমি যখন কাউকে কোন কারণে ধমক দিই সে তখন প্রায় সময়েই হাউ মাউ করে কাঁদতে আরম্ভ করে। কাজেই আমার মনে হয় তােমাদের এই অভিযােগ সত্যি—আমি আসলেই গম্ভীর, বদমেজাজী এবং গােমড়ামুখী।

 


ডাঁটি ভাঙা চশমা রাফিদ

একইসঙ্গে অসমবয়সী পাঠকদের জন্যে লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার জন্যে বিশেষ লেখনীশক্তির প্রয়োজন পড়ে । লেখক শিশু-কিশোরদের মনোজগত পাঠে পারদর্শী; সমকালীন প্রেক্ষাপটে তাঁদের জন্যে আনন্দময় শিক্ষাদানের বিষয়টি সম্পর্কেও সচেতন তিনি। উপন্যাস্টি লেখকের মানসম্পন্ন মজার কিশোরসাহিত্য হিসেবে শনাক্ত হবে। হাস্যরস করুণরস একসঙ্গে মিশিয়ে ঘোরলাগা স্বপ্নের জগৎ নির্মাণ করেন লেখক ।


শিহাবের যতো কাণ্ড

শিহাবকে বন্ধুরা গ আকার বলে জানে। গ আকার মানে গাধা। হাজার হােক বন্ধু! তাই ওকে সরাসরি গাধা না বলে সাংকেতিক পদ্ধতিতে গ আকার শব্দটি প্রয়ােগ করে। এই নিয়ে শিহাবের খুব মন খারাপ। সর্বক্ষণ গুম মেরে থাকে। তবে শিহাবকে গ আকার না ডেকে ওর বন্ধুদের উপায়ই বা কি? গাধার মগজেও বােধ করি কিছু বুদ্ধি টুদ্ধি আছে। শিহাবের সেটুকুও নেই। এমন ম্যাদামারা ছেলে সুমনরা দ্বিতীয়টি পায়নি। শিহাব, রুমন, সুমন, রােকন একই স্কুলে নাইনের ছাত্র। ওদের প্রাইভেট টিউটরও একই ব্যক্তি, ওয়াজেদ মাস্টার । শিহাবদের বাড়িতেই ওয়াজেদ স্যার সকালে পড়াতে আসেন।


মামণি কোথায়?

এই সিরিজের কোনো বই ভাষা শিক্ষার মূল পাঠ্যপুস্তক নয়। পাঠ্যপুস্তক হাতে তুলে দেওয়ার আগে শিশুদের এই বইগুলো দেওয়া যেতে পারে। এতে বইয়ের প্রতি শিশুর আগ্রহ তৈরি হবে। এ বয়সে শিশুরা ছবি ও গল্পের আনন্দ গ্রহণ করে। তারা আগে ছবি দেখে, তারপর গল্প বোঝার চেষ্টা করে। তাই আপনিও ছবি দেখে বাক্য বলুন ও শিশুকে ছবি দেখতে সাহায্য করুন। আর কিছু নয়। 
যে বয়সের বাচ্চাদের জন্য : বয়স ২ - ৪
ছোট্টমণিদের জন্য এ ধরণের আরো বই
পাখির সাথে
বাবু কোথায়?
মামণি কোথায়?
সাজুগুজু
সব পারি
Little Boy
Little Girl 
Dressing Up
I Can Do Everything! 
With the Birds.............and many more.