একটা দেশকে গড়ে তুলতে হলে যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ম্যানেজার দরকার ঠিক সেরকম বিজ্ঞানীও দরকার। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন স্বপ্ন দেখতাম বড় হয়ে বিজ্ঞানী হব। বড় হয়ে যখন বিজ্ঞান নিয়ে একটুআধটু কাজ করতে পেরেছি তখন মনে হয়েছে এর চাইতে মজা আর কী হতে পারে? পৃথিবীতে যতরকম আনন্দ আছে তার মাঝে সবচেয়ে বেশি আনন্দ হতে গবেষণাতে। যারা সেটা করেছে তারা সেটা জানে। আমার কুব মায়া হয় যখন দেখি আজকালকার ছেলেমেয়েরা আর বিজ্ঞানী হতে চায় না-তারা শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর ম্যানেজার হতে চায়। মাঝে মাঝে দুই-একজন যখন বিজ্ঞানী হতে চায়, তাদের বাবা-মায়েরা তখন জোর করে তাদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর ম্যানেজার তৈরি করে ফেলেন।
তাই আমাদের দেশে এখন চমৎকার ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর ম্যানেজার আছে, কিন্তু বিজ্ঞানীর খুব অভাব! এই বইটা তাই লেখা হয়েছে বিজ্হানের জন্য একটু তৈরি করার উদ্দেশ্যে। পৃথিবীর ইতিহাসে বিজ্ঞানের যত আবিষ্কার হয়েছে তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে থিওরি অফ রিলেটিভিটি এবং সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে স্কুলের গণিত জানলেই এই থিওরিটি বোঝা সম্ভব। কাজেই তেরো-চৌদ্দ বছরের ছেলেমেয়েদের লক্ষ করে আমি এই বইটি লিখেছি। কেউ যেন মনে না করে খুব কঠিন একটা জিনিস একটু ছেলেমানুষি করে এখানে বলা হয়েছে। এখানে একেবারে সত্যিকারের থিওরি অফ রিলেটিভিটির কথা বলা হয়েছে, কেউ যদি এটা পড়ে তার সবকিছু বোঝে, সে বুকে থাবা দিয়ে বলতে পারবে, “আমি থিওরি অফ রিলেটিভিটি জানি!”
আমাদের ক্লাসে মুনির ছেলেটা একটু অদ্ভুত ধরনের। কারাে সঙ্গে কথা বলে না। সব সময় পেছনের বেঞ্চিতে বসে। ক্লাসের সারাটা সময় জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে। স্যার কিছু জিজ্ঞেস করলে চোখ পিটপিট করতে থাকে। তখন তার মুখ দেখে মনে হয়, সে স্যারের একটি কথাও বুঝতে পারছে না। মুনিরের এই স্বভাব স্কুলের সব স্যাররা জানেন। কাজেই কেউ তাকে কিছু জিজ্ঞেস করেন না। শুধু আমাদের অঙ্ক স্যার মাঝে মাঝে ক্ষেপে গিয়ে বলেন, 'কথা বলে না। ঢং ধরেছে। চার নম্বুরী বেত দিয়ে আচ্ছা করে পেটালে ফড়ফড় করে কথা বলবে।
আমাদের স্কুলের কমনরুমে নম্বর দেয়া নানান রকমের বেত আছে। বেত যত চিকন তার নম্বর তত বেশি। চার নশ্বরী বেত খুব চিকন বেত। এক নম্বুরী বেত সবচেয়ে মােটা।
কথায় কথায় বেতের কথা তুললেও অঙ্ক স্যার কখনো বেত হাতে নেন না। কিন্তু একেক দিন মুনিরের উপর অসম্ভব রাগ করেন। যেমন আজ করেছেন। রাগে তাঁর শরীর কাঁপছে। মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে।
বাসায় ঢােকার আগেই বুঝতে পারলাম আজকে আমার কপালে দুঃখ আছে। ছােটখাট দুঃখ নয়, বড়ােসড়াে ডাবল সাইজের দুঃখ। বাইরে দড়িতে একটা লুঙ্গি ঝুলছে, তার মানে বাবা এসেছেন। শিউলী গাছের একটা ডাল আজকে আমার পিঠে ভাঙা হলে; বাসার এত কাছে শিউলী গাছ থাকার কোন অর্থই হয় না। সারা বছরে মাসখানেক তিন-চারটা ফুল দিয়েই তার কাজ শেষ, লাভের মাঝে লাভ বাবা যখন খুশি তখন পেটানাের জন্যে সেখান থেকে একটা ডাল ভেঙে আনতে পারেন।
আমি ভয়ে ভয়ে ভিতরে ঢুকলাম। মনে খুব একটা দুর্বল আশা, দড়িতে যে লুঙ্গিটা কুলছে সেটা বাবার না, অন্য কারাে! গ্রামের বাড়ি থেকে কেউ বেড়াতে এসেছে, কারাে বিয়ে কিংবা অসুখ, জমি নিয়ে মামলা করতে এসেছে বা সে রকম একটা কিছু। ভিতরে ঢুকতেই আমার আশা ফাটা বেলুনের মত চুপসে গেল। শুনতে পেলাম বাথরুমে বাবা ঘড়ঘড় শব্দ করে জিব পরিষ্কার করছেন। জিব পরিষ্কার করার এই ব্যাপারটা আমি বাবা ছাড়া আর কাউকে কখনাে করতে দেখিনি।
প্রথমে একটা চিকন বাঁশের চাছ দিয়ে জিবটা চেঁছে ফেলেন। তারপরে শােল মাছ ধরার মত নিজের জিবটা ধরার চেষ্টা করতে থাকেন, সেটা বারবার পিছলে যায়, তবু তিনি হাল ছাড়েন না। একবার ধরার পর সেটা নানাভাবে কচলাতে থাকেন, ঘষতে থাকেন, রগড়াতে থাকেন, তখন একই সা? তার গলা থেকে এক রকম ঘড়ঘড় শব্দ বের হতে থাকে। শুনলে মনে হবে কেউ বুঝি তাকে জবাই করে ফেলার চেষ্টা করছে। পুরাে ব্যাপারটাই একটা খুব খারাপ দৃশ্য, দেখার মত কিছু নয়। মাসে এক-দুইবার যখন বাবা আসেন তখন আমাদের প্রত্যেক বেলা সেই।
এখন আমাদের বাসার অবস্থা খুব ভালো। আমি নিষাদ ভাইয়ার সঙ্গে খেলা করি। বাবা-মা যখন বাসায় থাকেন তখন খালা ‘রাজার কুমার’ ‘রাজার কুমার’ বলে অনেক আদর করে।
বাবা-মা যখন বাসায় থাকে না তখন খালা আমাকে আদর না করলেও আগের মতো ভেজা ডায়াপারে ফেলে রাখে না। কারণ আমি খালা আমাকে দেখতে না পায় এমন অবস্থায় বলি, এই বড়ি। রাজার কুমারের ডায়াপার বদলে দে।
খালা বলে, অবশ্যই অবশ্যই। এখনই বদলাইতেছি।
দেখলেন আমার কত বুদ্ধি?
রাজার কুমারদের অনেক বুদ্ধি থাকতে হয়।
আপনি কি জানেন যে, রাশিয়ার ক্রেমলিনের ভেতরে ৪৭ জন জারের কবর হয়েছে ? ইংল্যান্ডের রানি হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর ভিক্টোরিয়ার প্রথম কাজ ছিল মায়ের ঘর থেকে নিজের বিছানা সরিয়ে আনা ? দুই টনেরও বেশি দক্ষিণ আফ্রিকান খনিজ শিলা থেকে এক আউন্সেরও বেশি সােনা পাওয়া যায়? ১৪৯২ সালে পশ্চিম গােলার্ধে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইন্ডিয়ান ছিল ? ১২,০০০ বছর আগে, আলাস্কার বুকে হাতি, সিংহ এবং উট চরে বেড়াত ?
জ্যোতির্বিদ্যা থেকে বিনােদন জগৎ, আবিষ্কার থেকে শুরু করে আইন কানুন ছাড়া বিশ্বের সর্ববিষয়ে যে প্রশ্ন মনে জেগেছে করা যায়নি তার সব উত্তর এই বইয়ে আছে। বইটি একটি বিশ্বের সেরা তথ্যের সংকলন।
আজিমভ যে সময় এই বইটি লিখেছিলেন, আজ থেকে ৩২ বছরেরও বেশি আগে। পরবর্তী সময়ের মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু যেহেতু বইটি দ্য বুক অব ফ্যাক্টস-১ আইজ্যাক আজিমভ নামে বের হচ্ছে তাই এর সাথে তথ্যগুলাের কোনাে আপডেট বা পরিবর্তন করার দৃষ্টতা দেখাইনি।
ইংল্যান্ডের আকাশে তখন দুর্যোগের কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। রাজা রিচার্ড যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেননি। কেউ জানে না তাঁর কী হয়েছে। রাজার ছোট ভাই জন সিংহাসন দখল করে বসে আছে আর তাকে ঘিরে আছে কুটিল স্বভাবের একদল অনুচর। সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে সাহসী এক তরুণ। নাম তার আইভানহো। রাজা রিচার্ডের পক্ষ হয়ে সে হাতে তুলে নেয় তলোয়ার। ইংল্যান্ডের সেরা যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সে জীবনপন যুদ্ধে নামে।
স্বভাবভীরু এক ভদ্রলােকের একটিমাত্র ছেলে। ছেলেটি দুরন্ত, সাহসী এবং শিকারে অত্যন্ত আগ্রহী। দ্রলােক একদিন স্বপ্ন দেখলেন, একটি সিংহ তার ছেলেটিকে মেরে ফেলেছে। স্বপ্ন দেখে অত্যন্ত ভয় পেয়ে গেলেন তিনি, ভাবলেন ছেলের শিকারে যেমন ঝোক, সিংহের হাতে মরণই বুঝি তার ভাগ্যে লেখা আছে। ছেলের ভবিষ্যৎকে যেন তিনি স্বপ্নে দেখতে পেলেন। নিয়তির লিখন এড়ানাের জন্য সভয়ে তিনি ছেলের জন্য একটি উঁচু। দেওয়াল-ঘেরা ঘর তৈরি করে চারদিকে প্রহরী নিযুক্ত করলেন এবং ছেলেকে সেই ঘরে বন্ধ করে রাখলেন। তিনি তার মনােরঞ্জনের জন্যও ব্যবস্থা করলেন, প্রচুর খরচ করে তিনি তার প্রিয় ছেলের প্রিয় সব জন্তু-জানােয়ারের ছবি দেওয়ালে-দেওয়ালে সাজিয়ে দিলেন। সেখানে সিংহের ছবিও ছিল।
কিন্তু শিকারপাগল ছেলের শুধু জন্তু-জানােয়ারের ছবি দেখে মন ভরবে কেন? সে ছবিগুলাে দেখে দেখে যেন আরও ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে। একদিন সিংহের ছবির সামনে দাড়িয়ে সে ভীষণ ক্ষেপে উঠল।
ছোট্ট ছেলে আলমানযো ! সবে নয় বছর বয়স। বাবার খামার-বাড়িতে বড় হয়ে উঠছে। ভাইবোনদের সঙ্গে ওকেও প্রচুর কাজ করতে হয় । কিন্তু ভুলেও ওকে শহুরে জীবনের আরাম-আয়োশের লোভ দেখিয়ো না-ও মাথা নড়বে।
লিটল হাউস অন দ্য গ্রেয়োরি:
ওই একই সময়ে ছোট্ট মেয়ে লরা বাবা-মা'র সঙ্গে গোটা আমেরিকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে স্থায়ী বসতির সন্ধানে। বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছে। ও জানে না, একদিন দেখা হবে। আলমানযোর সঙ্গে ।
অন দ্য বাঙ্কস অভ প্লাম ক্রীক:
প্লাম ক্রকের তীরে বসতি গড়ল ওরা ইণ্ডিয়ান টেরিটারি থেকে তাড়া খেয়ে ফিরে এসে । কিন্তু এখানে আকাশ থেকে নামল শক্রি-কেচিকোটি ঘাসফড়িং। সর্বস্বান্ত করে দিল বাবাকে । জীবন থেমে থাকে না। আরও পশ্চিমে চলল ওরা। লরা কি দেখা পেল আলমানযোর?
লিটন টাউন অন দ্য প্রেয়ারি:
ডাকোটার শীত কাকে বলে টের পাবে তোমরা ‘দ্য লঙ উইন্টারে’।সাত মাস ধরে তুষার ঝড়!কল্পনা করা যায়?শহরের সব খাবার শেষ,কী করে টিকে থাকবে ওরা ছয়জন? আলমানযো বাড়িয়ে দিল সাহায্যের হাত।
ছােটদের মহানবী (সাঃ)
আমাদের মহানবী সাললাললাহু আলাইহি ওয়া সাললাম যে দেশে জন্ম গ্রহণ করেন, সে দেশের নাম আরব দেশ। আরব মরুভূমির দেশ। শুধু বালি আর পাথরকণা। মরুভূমির দেশ হলেও কোথাও কোথাও কিছু কিছু ঘাস, লতা-পাতা, বাবলাগাছ ও খেজুর গাছ দেখা যায়। নিচু সমতল ভূমিতে মানুষ বাস করে। | বেদুঈনরা পশু চরায় এবং জায়গায় জায়গায় তাঁবু ফেলে বাস করে। উট মরুভূমিতে চলাচলের একমাত্র বাহন। উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়।
রাসাদ ছােট্ট করে জবাব দিল, ‘জি। কিন্তু বুকের ভেতরটা কাঁপা শুরু করল তার। তার নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না, এত সুন্দর করে মিথ্যা কথা বলতে পারে সে। কারণ সে সাধারণত মিথ্যা কথা বলে না। খুব প্রয়ােজন হলেও না। বাবা প্রায়ই বলেন, পৃথিবীতে প্রতিদিন যত অন্যায় কাজ হয়, মিথ্যা কথা হচ্ছে তার প্রথম। যদি মিথ্যা কথা না থাকত তাহলে অনেক বড় বড় অন্যায় হতাে না এই পৃথিবীতে। কখনােই মিথ্যা কথা বলার চেষ্টা করবে না। দেখবে, সুন্দর এবং ভালােভাবে কেটে যাচ্ছে। তােমার সব কিছু।
কিছুটা অপরাধ বােধে ভুগতে লাগল রাসাদ। লােকটার চোখের দিকে তাকিয়েই নিচু করে ফেলল মাথা। লােকটা একটু এগিয়ে এলেন। কাঠের টুলের ওপর ফ্লাস্ক আর প্যাকেটটা রেখে বললেন, “হেড স্যারের সঙ্গে কেন দেখা করতে এসেছ, তা কি বলা যাবে?
তােমরা যখন ছােট ছিলে, খুব ছােট, যখন লিখতে পড়তে কিছুই শেখনি, তখন মা ঠাকুরমার কোলে বসে রূপকথা শুনতে নিশ্চয়ই খুব ভালবাসতে।
এখন তােমরা বড় হয়েছ। তবু সেই তােমাদের প্রিয় রূপকথার ভদ্র ও নির্ভয় আর হাসিখুশি সব বন্ধুনায়কদের সঙ্গে যােগ হয়তাে একেবারে হারিয়ে ফেলনি। বইয়ের পাতায় ছবির পর্দায় বা রঙ্গমঞ্চে প্রায়ই তাদের সঙ্গে দেখা হয়।
বড় হয়ে তােমরা জেনেছ, প্রত্যেক জাতির নিজস্ব রূপকথা আছে। বিভিন্ন দেশের রূপকথার মধ্যে যেমন মিল অনেক, তেমনি তফাও প্রচুর। ভারতীয়, ইংরেজি, রাশিয়ান, জার্মান, ফরাসি, চীনা রূপকথার পার্থক্য খুব সহজেই ধরা যায়। কেননা সাধারণ লােকের জীবনযাত্রা, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং যে দেশে গল্পগুলি জন্ম লাভ করে পুরুষানুক্রমে হাত বদলের ফলে বর্তমান আকৃতি লাভ করেছে, রূপকথায় সে সব কিছুর সুস্পষ্ট ছাপ থেকে যায়। ছােটবেলায় তােমরা নিজেরাই যে সব রূপকথা শুনেছ, আমার তাে মনে হয় তােমরা যখনঅনেক বড় হবে, তখন তােমাদের ছেলেমেয়েদেরও সেই সব রূপকথাই শােনাবে।
রুশদেশের লােকেরা অসংখ্য গাথা, নীতিকথা, সূক্ষ্ম হেঁয়ালি আর চমক্কার চমৎকার রূপকথা রচনা করেছে।
এই সব কাহিনি পড়তে পড়তে দেখবে, যারা কাহিনি বলছে তাদের কেউ থাকে দুরন্ত নদীর পাড়ে, কেউ-বা বিস্তীর্ণ স্তেপ অঞ্চলে, কারও বাস সুউচ্চ পাহাড়ে, কারও বা ভীষণ গহীন বনে।
এ বইয়ের প্রথম গল্প দশ বছর আগে লেখা, আর শেষ গল্প প্রায় কুড়ি বছর আগের। যারা সেই সময় এইসব গল্প পড়তাে তারা এখন বড়াে হয়ে গেছে, চাকরি-বাকরি আর ঘরসংসার করছে। কদিন পর ওদের ছেলেমেয়েদের এইসব গল্প পড়ার বয়স হবে।
সেই সময়ের অনেক গল্পই হারিয়ে গেছে। সত্যি কথা বলতে কি এই বইয়ের লেখাগুলােও আমার কাছে ছিলাে না। আমার কিছু তরুণ পাঠক ওদের সংগ্রহ থেকে এগুলাে বের করে দিয়েছে। পড়তে গিয়ে কয়েকটা গল্প একটু ঘষেমেজে দিয়েছি। নামও বদলাতে হয়েছে কয়েকটার। যেমন ‘মিছিলের একজন’ গল্পটার আগের নাম ছিলাে সেই লােকটি।'
এই গল্পগুলাে যে সময়ের, সেই সময়ের ওপর আমার বিশেষ দুর্বলতা আছে। ষাটের দশকের শেষে আমরা ক’জন ছােটদের জন্য লেখা শুরু করেছি। কচি ও কাঁচা আর টাপুর টুপুর পত্রিকাকে ঘিরে আমাদের সমবয়সী লেখকদের একটা বড়সড় দলই গড়ে উঠেছিলাে। সেই দলে ছিলাে আলী ইমাম, মুনতাসির মামুন, বেবী মওদুদ, ইফতেখার হােসেন, সালেহ আহমেদ, আহমেদ আনিসুর রহমান, পরাগ চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, আজমিরী ওয়ারেস, দিলরুবা আলম, শফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, জামশেদুজ্জামান, ফখরুজ্জামান, আর শাহজাদ ফেরদৌস। আমাদের সবার লেখা আলাদাভাবে চেনা গেলেও একটা ব্যাপারে আমরা একমত ছিলাম—