জাদুর মোহে রিনকে আচ্ছন্ন করে ফেলল লর্ড হূম। তাকে সাহায্য করতে হলে তিন গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিনকে যেতে হবে ভূতের রাজ্যে, যেখানে শুধু মৃতদের বাস, নিজে না মরে ওখানে যাওয়া যায় না।
তবু বন্ধুর খাতিরে সেই অসম্ভব রাজ্যে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিল তিন গোয়েন্দা, সে যেভাবেই হোক। ঢুকলও ওরা। তবে তাড়াতাড়ি একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভূতের রাজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে নিজেরাও ওরা ভূত হয়ে যাবে।
বার্ষিক পরীক্ষা শেষ, সামনে লম্বা ছুটি। বিকেল ছ'টায় রহস্যভেদী আট-এর মিটিং, নির্দিষ্ট ছাউনিতে নয়। বাইরে, বাগানে, ঝােপের ধারে। মিশা আর জিমি এসে গেছে। অন্যদের আসবার অপেক্ষা করছে।এখানে বলে রাখা ভাল, ‘রহস্যভেদী আট’ হলাে রাজু, অপু, অজিত, বব, মিশা, রানু, অনিতা ও জিমির গােয়েন্দা সংস্থার সাংকেতিক নাম। প্রথম সাতজন কিশাের বয়েসী। আর জিমি হলাে একটা কুকুরের নাম। কুকুরটার মালিক রাজু। যাই হােক, ঝােপের কাছে এসে অপু নতুন সঙ্কেত বলল, নতুন হেডকোয়ার্টার।
হ্যালো কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে ।জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলিসে,প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিনি বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি,নাম তিন গোয়েন্দা।
আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে । দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরশ আমেরিকান ,রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা লক্কড়ের জঞ্জালের নীচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেড কোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি, এসো না , চলে এসো আমাদের দলে।
সাইকেল চালানাে শেখার জন্য সন্তুকে এখন ভােরবেলা বালিগঞ্জ লেকে আসতে হয়। ওদের পাড়ার পার্কটা মেট্রো রেলের জন্য খুঁড়ে ফেলা হয়েছে, সেখানে এখন খেলাধুলাে করার উপায় নেই। ভােরবেলাতেই বালিগঞ্জ লেকে বেশ ভিড় থাকে। বহু বয়স্ক লােক আসেন মর্নিং ওয়াক করতে। অল্পবয়েসি ছেলেমেয়েরা দৌড়য়। অনেকে রােয়িং করে। কালীবাড়ির উল্টো দিকের গ্রাউণ্ডটায় ফুটবলের কিক প্র্যাকটিস হয়। লেকের পেছনদিকটায় যেখানে লিলিপুল আছে, সেখানকার রাস্তাটা অনেকটা নির্জন। ওই জায়গাতেই দুতিনটে দল সাইকেল শেখে।
বিশাল দেহের কালা কুচকুচে কুকুরটাকে দেখে আঁতকে উঠল লিয়া। এই কুকুরটাকে সে খুব ভয় পায়। কারণ সে জানে এই কুকুরটা কুকুর নয়, ভয়ংকর এক কালা পিশাচ। কখনো কখনো মানুষের অবয়ব নিয়ে আসে। এজন্য কুকুরটার পাগুলো দেখতে মানুষের হাতের মতো। যেভাবেই হোক এই কালা পিশাচটা তার ডান পা থেকে রক্ত খাবে। এ উদ্দেশ্যে কুকুরূপী কালা পিশাচটা কাঁমড়ে তার ডান পায়ে দুটো ক্ষতেরও সৃষ্টি করেছে। সেই ক্ষত থেকেই চেটে চেটে রক্ত খায় পিশাচটা। লিয়ার মুক্তির কোনো উপায় নেই। কারণ রক্ত খেতে দিতে না চাইলে তার পায়ে ভয়ংকর অসহনীয় ব্যথা হয়। তখন সে উম্মাদ হয়ে যায়। ব্যথা সহ্য করতে না পেরে নিজের পা-টা নিজেই কেটে ফেলার চেষ্টা করে, কিন্তু পারে না। শেষে পিশাচ তাড়ানোর জন্য ’তীর বাবা’ কে ডাকা হয়। কিন্তু প্রথম দিনের পর আর হদিস পাওয়া যায়নি ’তীর বাবার’। আরও একজন ফকিরকে ডাকা হলে ফকিরও নিজের অক্ষমতা স্বীকার করে। এদিকে কালা পিশাচ জানিয়ে দেয় সে খুব শিঘ্রী লিয়াকে নিষ্ঠুর আর নির্মমভাবে হত্যা করবে। তাই তো লিয়াকে সে নিয়ে যেতে থাকে গভীর জঙ্গলে, যেখানে তাকে সাহায্য করার কিংবা উদ্ধার করার মতো কেউ নেই। লিয়া সেখানে একা, একেবারেই অসহায়।
কালা পিশাচের হাত থেকে শেষ পর্যন্ত লিয়া কী নিজেকে বাঁচাতে পেরেছিল?
কোথায় গেলেন বিজ্ঞান আসিফ হায়দার চৌধুরী? কারা কিডন্যাপ করল তাঁকে?.. মরুভূমির ভেতর ডেভিলস ওয়েসিস কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে তাঁকে। একের পর এক বাধার মুখে পড়ে পড়ে রানার মনে হলো, এবার বুঝি হার মানতেই হবে। আসরে কারাগারের ভিতরে ঢোকা যত সোজা, তার চেয়ে ১০০ গুণ কঠিন বেরিয়ে আসা। রানা জানে না, আসলে বিজ্ঞানী আছেনিই বা কারাগারের ঠিক কোন জায়গাটিতে ! এবার কাহিনির সামান্য অংশ এখানে তুলে দিচ্ছি : ভীষণ চমকে গিয়ে একমুহুর্তে রানা ভুলে গেল, ও কে এবং কোথায় আছে। ঝনঝন করছে মাথার ভিতরের মগজ। কানে ঢুকল দূরের গোলাগুলির আওয়াজ। এক সেকেণ্ড পর মনে পড়ল কী ঘটেছে। চট্ করে চোখ মেলল রানা, পরক্ষণে শিউরে উঠল ভয়ে। বুদ্বুদ তোলা তেলের প্রস্রবণ গলগল করে নামছে রিগের পায়া বেয়ে, সেখান থেকে চল্লিশ ফুট দূরে আছে ও। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে আকাশে উড়ে যাওয়ার কথা কিন্তু আপার ডেক ঘিরে রাখা সেফটি নেটের ভিতর জড়িয়ে রয়ে গেয়েগেছে। যে কণ্টেনারের পিছনে লুকিয়ে পড়েছিল, সেটা এক ক্রুড অয়েলে ছাওয়া সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। কিন্তু আরপিজি ডেটোনেট হওয়ার সময় যে লোককে সরিয়ে এনেছিল, তার কোনে চিহ্ন নেই কোথাও। এখনও থরথর করে কাঁপছে নেট, চট করে উপুড় হলো রানা, মাকড়সার মত তিরতির করে রওনা হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর প্ল্যাটফর্মের পাশে পৌঁছে গেল ও, খুব সাবধানে উঁকি দিল ওদিকে। রিগের নিয়ন্ত্রণ েএখনও বজায় রেখেছে মার্সেনারিরা, ওর নিজের লোকরা পিছিয়ে পড়েছে, কমে আসছে তাদের গোলাগুলি... রানা সিরিজের ৪২৩ ও ৪২৪ তম বইয়ের এই কাহিনি একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে ওঠার কোনো উপায় নেই। কাহিনির সঙ্গে মানানসই প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী রনবীর আহমেদ বিপ্লব। লাইম লাইট-২ শীঘ্রি পাঠকজনপ্রিয়তা অর্জন করবে।
মাটি খোঁড়া থামিয়ে বেলচায় ভর দিয়ে দাঁড়াল রেজা মুরাদ। ছােট ভাইকে বলল, সুজা, বলবি নাকি ওকে?'
কাজ থামিয়ে ফিরে তাকাল নেড ব্রাউন। ওদেরই বয়েসী। আমেরিকান। বেশির ভাগ সময় হাফপ্যান্ট পরে থাকে। পেটে যেন রাজ্যের খিদে। সারাক্ষণ খালি খাই খাই করে।
যাই হােক, রেজার কথা শুনে সতর্ক হয়ে গেছে নেড। বলল, মনে হচ্ছে জরুরি কোনাে খবর আছে তােমাদের কাছে? দেখাে, ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা কোরাে না বলে দিলাম। তােমরা কথা দিয়েছিলে, গরমের ছুটিতে এখানে সুইমিং পুল বানাতে সাহায্য করবে আমাকে।'
একটা পুরানাে, শুকনাে ডােবা পরিষ্কার করে সুইমিং পুল বানাতে চাইছে তিন বন্ধু ।
কাহিনী সংক্ষেপ: অন্ধকার রাতে রাকিব আর আকাশ দেখতে পায় একটা ক্লাসরম্নমে লাইট জ্বলছে, ফ্যান ঘুরছে। কিন্তু এতোরাতে কেন ক্লাসে লাইট-ফ্যান চলবে? লাইট-ফ্যানের রহস্য উদঘাটনের জন্যে অভিযানে নামে রাকিবসহ তার একদল বন্ধু। এরমধ্যে আবু বকর ভাই সেই ক্লাসরম্নমে লাশ বহনের খাটিয়া দেখতে পান। একটা লাশও ছিল খাটিয়ায়। রহস্যময় সেই ক্লাসরম্নমের ফ্যানে একদিন একটা লাশ ঝুলতে দেখেন নাজমুল ভাই। কেন ক্লাসরম্নমকে ঘিরে এতো এতো রহস্য? একদিন রাকিবরা নাজমুল ভাইয়ের বালিশের নিচে দেখতে পায় একটা পিস্ত্মল। এদিকে আবু বকর ভাই রাকিবদের কাছে ফাঁস করেন একটা গোপন কথা। কী সেই গোপন কথা? তার কথা শুনে কি রাকিবরা ক্লাসরম্নমের রহস্য উদঘাটন করতে পারবে?