"অনেকের মুখেই শুনি 'ভালো কবি', 'বড় কবি', কিংবা 'ভালো কবিতা', 'কালজয়ী কবিতা' - আমি জানিনা একটা কবিতার মধ্যে কোন কোন গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকলে তাকে এইসব শ্রেণীর মধ্যে গণ্য করা হবে। আমি শুধু জানি, ভালো কবিতা হল সেইসব কবিতা যা পড়লে কান্না পায়, আর সব কবিতা কাঁদাতে পারে না। সরোজ দরবারের 'চলতি হাওয়ার পংক্তি'-তে সেইরকমই কয়েকটি বিরল কবিতা রয়েছে।" -- কিঙ্কিণী বন্দ্যোপাধ্যায়
গেরুয়া বসনে সে অনুকৃতি
সে বাধ্য করায় হাড় খেতে
ভিন্নমুখ রসে শাঁখের করাত হতে হয়
দীর্ঘদিন শর্করা রোগীর অতৃপ্তিতে সেতুবন্ধ বানিয়েছি
এখন কাঠপুতলিরা পেরেকের মার খেতে শিখেছে
কপালে খোদাই টিপ
গলার মাৎসর্যভঙ্গে ঘরে কেউকেটা
পুরুষের বাড়ি মেসোপটেমিয়া
নীল নদ, একজোড়া চুমু, আর জমি নিয়ে
বিবাহ হয় বেলে মাটিতে
ওরা আমাদের কাঠপুতলি বলে
পতিত বা আবাদ যাই হই -
সমকালীন জটিল সমাজজীবনকে আশ্রয় করে বোনা হয়েছে ঘুণপোকা.net-এর গল্পগুলো। জিরান কাট, সালোকসংশ্লেষ এবং একটি অসমাপ্ত ডায়েরি -- গল্প তিনটিতে হতাশা, অন্ধকারের শেষে লেখা হয়েছে আলোর গান, আশার বার্তা। আর সেটাই এই বইয়ের মূল জীবনীশক্তি।
শিবশংকর ভট্টাচার্য ও শিশির বিশ্বাস – এই নামদুটো ছোটোদের সাহিত্যকর্মের দুনিয়ায় নতুন করে কোনও পরিচিতি দেবার অবকাশ রাখে না। ছাপার অক্ষরে এঁরা যে অমূল্য সাহিত্যকীর্তিগুলো তৈরি করে চলেছেন বহুকাল ধরে, তার কিছু কিছু বাছাই লেখাকে ওয়েবে তুলে এনে বৃহত্তর বাংলা পাঠকের দুনিয়ায় তাকে ছড়িয়ে দেবার কাজটা জয়ঢাকডট কম হাতে নিয়েছে বেশ কিছুকাল ধরে। নতুন করে সম্পাদনা করে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন করে ইলাসট্রেশান করিয়ে একেবারে নতুনভাবে তাদের পেশ করা হয়ে চলেছে পাঠকের সামনে। জয়ঢাকের পাতায় প্রকাশিত এইরকম ন-খানা গল্প ও আরও একটি অতিরিক্ত গল্পকে দু মলাটের মধ্যে একত্রে প্রকাশ করা হল এই সংকলনে।
মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের নিয়ে বই বাংলায় বোধ হয় এর আগে লেখা হয়নি। না কোনও সৌখিন গবেষণার ফলাফল বা কষ্টকল্পনা এটা নয়। একজন বেচুবাবুর ফার্স্টহ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স লিপিবদ্ধ হয়েছে 'বেচুবাবু'র পাতায় পাতায়।
রাজর্ষির লেখা থেকে আমরা জানতে পারি কীভাবে ন্যাশনাল সার্কাসের পাততাড়ি গুটিয়ে নবগোপালবাবু গড়ের মাঠে বেলুন ওড়ানোর ব্যাপারে গোরা সাহেবদের টক্কর দিতে শুরু করলেন। রাজর্ষির গল্পে ছড়িয়ে থাকে হাই স্কুলের ফ্রি বিটনুন, ভাঙা বেঞ্চের কাঠামো ভেঙে রুটি সেঁকা, হস্টেলের ফেয়ারওয়েলে কিশোরকুমার, নীল কালির ওপর গুঁড়ো গুঁড়ো মধুসূদন, মঞ্জুষা নামক এক কিশোরীর প্রতি লোভ, বেশ্যা ও ব্রাহ্মণের সহাবস্থান। স্বভাবতই এই বইতে সিন্দুক কেঁপে উঠছে মাঝে মধ্যেই।