Categories


বোকা গোয়েন্দা

টুকনের মামার নাম মাসুদ। তিনি নিজেকে ভাবেন মাসুদ রানা। এই গোয়েন্দা মামা লোক খারাপ নন, কিন্তু তার মাথায় বুদ্ধশুদ্ধি তেমন নেই বললেই চলে। বেকারত্ব ঘোঁচাতে তিনি শুরু করেন গোয়েন্দাগিরি। জীবনের প্রথম অভিযানে তিন রওনা দেন কক্সবাজারের পথে।সঙ্গে চলল ভাগ্নে টুকন। মামা-ভাগ্নে যেখানে আপদ নেই সেখানে। কক্সবাজারে প্রথমেই মামার সঙ্গে দেখা হলো সায়মার। সায়মা আসেলে একজন মনোরোগিনী, যার রোগটা হলো সবাইকে সন্দেহ করা। সায়মা সবাইকে সন্দেহ করে অপরাধী বলে। তারই ভুল নির্দেশনায় উত্তেজিত হয়ে মামা অসুরণ করতে লাগলেন একেকজন নিরীহ মানুষ। ঘটতে লাগল একটার পর একটা হাসির কাণ্ড। কিন্তু এরই মধ্যে পাওয়া গেল ভয়স্কর এক চোরাকারবারীকে। কী হলো তারপর?


কাকাবাবু সমগ্র ৩

সমগ্র সমূহ
*নীলমূর্তি রহস্য
*মহাকালের লিখন
*উল্কা-রহস্য
*একটি লাল লঙ্কা
*কাকাবাবু হেরে গেলেন?
*সাধুবাবার হাত
*সন্তু ও এক টুকরো চাঁদ


তিন গোয়েন্দা ভলিউম-২১

সংক্ষেপে সব জানালেন সাইমন। নিখোজ লােকটার শেষ ঠিকানা হলাে লণ্ডনের একটা জাহাজ কোম্পানি। শেষ যে জাহাজে করে সে পাড়ি জমিয়েছিল সেটা ফ্রান্সের উপকূলে দুর্ঘটনায় পড়ে ডুবে যায়। ইউরােপের এক গােয়েন্দা সংস্থা খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে হাজির হয় ব্রিটানির সেই বাড়িতে, সেখানে এক পরিবারের . সঙ্গে কিছুদিন থেকেছে হলােবি, সেটা বেশ কিছুদিন আগে। একটা সূত্র ফেলে গেছে সেখানে, একটুকরাে কাগজে লেখা একটা মাত্র শব্দ ‘আইল্যাণ্ড'।

‘ইংরেজিতে লেখা শব্দটা, সাইমন বলছেন, বানান আই এস এল আ ডি। তার মানে, আমরা জানি দ্বীপ। প্রথমেই যেটা মনে আসে, মনে হয় কোন দ্বীপে চলে গেছে হলােবি। কিন্তু আমি ভাবছি আরেকটা কথা। অন্য কিছু বুঝিয়েছে সে। আইসল্যাণ্ডের লােকেরা আইসল্যাণ্ডকে উচ্চারণ করে আইল্যাণ্ড। হলােবির বয়েস হবে এখন ষাট। নিশ্চয় সাগরে ঘােরা ছেড়ে দিয়ে বাকি জীবনটা শান্তিতে কাটানাের জন্যে আইসল্যাণ্ডে চলে গেছে। সেটাই জানতে হবে তােমাদের। লােকটাকে খুঁজে বের করতে হবে। প্লেনে করে যাবে, নামবে গিয়ে আইসল্যাণ্ডের রাজধানী রেকিয়াভিকে । ওখান থেকেই খোঁজা শুরু করবে।

চুপ করে আছে রবিন। ভাবছে, জবাবটা কিশােরই দিক।

কিশাের তাকিয়ে আছে সাইমনের দিকে। দীর্ঘ একটা মুহূর্ত চুপ করে থাকার পর বলল, “ঠিক আছে যাব। খরচটা দেবে কে?

‘অবশ্যই ইনশিওরেন্স কোম্পানি। তােমরা তিনজনেই যাচ্ছ, তাে? মুসা কোথায়?

 


আবার যখের ধন

আবার যখের ধন
সূর্যনগরীর গুপ্তধন
হিমালয়ের ভয়ঙ্কর


মুখোশ (রহস্য উপন্যাস)

বেহার প্রদেশের ছােটখাট একটি স্টেশন।।

শহরটা স্টেশন থেকে পূবে বেশ খানিকটা দূরে এবং ইতস্তত ছড়ান। আর দক্ষিণ দিকে শহর গড়ে ওঠে নি। জঙ্গল আর ছােট ঘােট পাহাড়। জঙ্গল যেখান থেকে শুরু হয়েছে তারই মাইল খানেক আগে একটা পুরাতন কুঠি বাড়িতে বর্তমান কাহিনীর যবনিকা উত্তোলিত হচ্ছে। কুঠি বাড়িটার আশপাশে অন্তত মাইল খানেকের মধ্যে আর বসতি নেই। শুধু আছে একটা নাতি-প্রশস্ত পথ। তবে জঙ্গল সীমানার বরাবর কিছু দেহাতী গােয়ালা শ্রেণীর লােকের বাস আছে।

কুঠি বাড়িটা শােনা যায় এককালে নাকি কুখ্যাত নীলকুঠি ছিল। ফ্যালকন সাহেবের নীলকুঠি। পরে ঐ সাহেবের মৃত্যুর পর এক ধনী বেহারী ভদ্রলােক ঐ কুঠি বাড়িটা তার আত্মীয়দের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করে নিয়েছিলেন। ক্ৰয়ই করেছিলেন— বসবাস কেউ করে নি ওখানে। পড়াে বাড়ির মতই কুঠি বাড়িটা বহু বছর ধরে পড়ে ছিল। তার পর বছর আষ্টেক আগে হঠাৎ যুদ্ধ থেমে যাবার পর যুদ্ধ-ফেরতা মেজর রাজেশ্বর চৌধুরী কুঠি বাড়িটা ক্রয় করেন এবং সমস্ত বাড়িটা সংস্কার করে সেখানে এসে বাস করতে শুরু করেন।

 


কাকাবাবু সমগ্র ৪

সমগ্র সমূহ
*আগুন পাখির রহস্য
*কাকাবাবু বনাম চোরাশিকারি
*সন্তু কোথায়, কাকাবাবু কোথায়
*কাকাবাবুর প্রথম অভিযান
*জোজো অদৃশ্য


হলদে বাড়ির রহস্য ও দিনে ডাকাতি

বাগানের মাঝে-মাঝে সাদা রঙের বেঞ্চ পাতা। সেখানে বসলে অনেক দূর পর্যন্ত আকাশ দেখা যায়, আর ছােট ছােট পাহাড়। | বিমান আর স্বপন মাত্র দু-দিন আগে এখানে বেড়াতে এসেছে। এই বাড়িটা স্বপনদের। আর কয়েক দিনের মধ্যে স্বপনের মা বাবা ও আরও অনেকে এখানে চলে আসবেন কলকাতা থেকে। ওরা দু’জন শুধু একটু আগে আগে এসেছে। জায়গাটা সত্যি খুব সুন্দর।

কাছেই লাট্ট পাহাড়। ওরা সকালে বিকেলে সেই পাহাড়ের ওপর বেড়াতে যায়। সেই পাহাড়ের ওপর থেকে দূরে আর-একটা ছােট পাহাড়ের ওপর একটা হলদে রঙের বাড়ি দেখা যায়। সেদিকটায় আর কোনও বাড়িঘর কিচ্ছু নেই। শুধু মাঠ আর পাহাড়—তার মধ্যে ওই রকম একটা একলা-একলা বাড়ি কেন? বিমান ভেবেছিল, ওটা একটা দুর্গ। কিন্তু দুর্গের রং তাে ওরকম হলদে হয় না! কেউ কেউ বলে, ওটা কোনও এক জমিদারের বাড়ি ছিল। এক সময় এক জমিদার শখ করে বানিয়েছিলেন নিরালায় থাকার জন্য, এখন আর সেই জমিদারবংশের কেউ নেই। বাড়িটা এমনিই পড়ে আছে।

 


ছোটদের ভূত

আহসান হাবীব মূলত কাটুর্নিস্ট। আর তার সেকেন্ড চয়েজ ভূত ...... । তিনি ঠাট্টা করে বলেন- ‘ছোটবেলায় একটা বাচ্চা ভূত আমার পিছু নিয়েছিল, সেটা মনে হয় বড় হয়ে এখনো মাঝে মাঝে আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে, সে কারণেই মাঝে মাঝে ভূতের গল্প লেখার এই ব্যর্থ প্রয়াস .... ‘ ছোটদের জন্য তিনি সবচেয়ে মমতা নিয়ে লেখেন। নানা ধরনের ভূতের গল্প এই গ্রন্থে সূচিবদ্ধ হয়েছে। গ্রাম-বাংলার ভূত থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের সায়েন্স-ফিকশনের ভূতও এ বইয়ে রয়েছে।


কিশোর মুসা রবিন সমগ্র ১ (৩টি গোয়েন্দা কাহিনী)

সবাই ঝুঁকে এল দেখার জন্য। পাতার পর পাতা উল্টে চলল কিশাের। এই যে একটা লিস্ট... চোরাই মালের হতে পারে। রূপার বাতিদান, সিগারেটের বাক্স, ওপরে লেখা এ.জি.বি., চারটে রূপার কাপ, তাতে...'

লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল মুসা। বুঝতে পেরেছি। সকালে কাগজে পড়ছিল বাবা । চোরাই মালের লিস্টই, বিখ্যাত ক্রিকেটার হেনরি ফেয়ারওয়েলের বাড়ি থেকে চুরি গেছে। তুড়ি বাজাল সে। পুলকিত কণ্ঠে বলল, কিশাের, মনে হয় পেয়ে গেলাম একটা কেস!'

 


গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন: সবুজ দুর্গ

‘আর ঘুম আনানাের জন্য আমার কমপক্ষে দুই কাপ কফি লাগে, কফি শেষ করে কাপটা নামিয়ে রাখল রােডা। একটা ডােনাট তুলে নিয়ে কামড় বসাল। হতে পারে আমার নার্ভাস সিস্টেম অতিরিক্ত ক্ষমতাশালী। তাই দেহের শক্তির সঙ্গে মনের শক্তির মিল খায় না । দুটোর মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে আমার কফি দরকার । আর কফি খেলেই শুধু আমার দেহ শান্ত হয়।

 


আত্মা

কোন এক ঝড়ো সন্ধ্যায় হঠাৎ রাশেদ সাহেবের বাড়িতে বশির আলী নামের হাতকাটা অদ্ভুত এক আত্মাসাধক উপস্থিত হয়। সকলের কৌতূহল রক্ষার্থে আত্মাসাধক বশির আলী ডেকে নিয়ে আসে এক বিশেষ অশরীরি আত্মাকে। তখনও কেউ বুঝতে পারেনি কতটা ভয়ঙ্কর আর নিষ্ঠুর হতে পারে এই আত্মা। এমনকি স্বয়ং বশির আলীও রেহাই পায়নি আত্মার নিষ্ঠুরতা থেকে। ভয় আর আতঙ্কে সবাই যখন দিশেহারা ঠিক তখনই আত্মা দাবি করে বসে এই বাড়ির অন্য যে কারো আত্মা তার চাই-ই-চাই। রাশেদ সাহেবকেই সিদ্ধান্ত দিতে হবে পরিবারের কার আত্মা তিনি উৎসর্গ করবেন। অন্যথায় অশরীরি আত্মা রাশেদ সাহেবের বড় মেয়ে পূর্বার আত্মা নিয়ে নেবে। অর্থাৎ নিশ্চিত, নিষ্ঠুর আর করুণ মৃত্যু ঘটবে সবার প্রিয় পূর্বার।
শেষ পর্যন্ত কি রাশেদ সাহেবের পরিবার ভয়ানক এই অশরীরি আত্মার হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছিল?


তিন নম্বর চোখ

এবার পুজোর ছুটিতে সুজয় তার বাড়ির সকলের সঙ্গে জলগাঁও বেড়াতে গিয়েছিল। জলগাঁওতে ওর মামা চাকরি করেন। স্টেশনের কাছেই তাঁর বাড়ি, খুব সুন্দর বাড়িটা। সব দেয়ালের রং সাদা, আর দরজা-জানলাগুলাের রং ফিকে নীল, বাড়ির সামনে বাগান। গেটের দু'পাশে ঠিক দারােয়ানের মতাে দুটো বড় বড় গুলশােহর গাছ। সােনালি রঙের অজস্র ফুল ফুটে থাকে তাতে। সুজয় প্রত্যেক বছর পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যায়। সুজয়ের বাবা তাে রেলে কাজ করেন, তাই বেড়াতে বেরুলে ওদের রেলের টিকিটের পয়সা লাগে না। সুজয়ের বাবার কাছে পাশ থাকে—সেই পাশ নিয়ে ওরা যতদূর ইচ্ছে যেতে পারে। সেই জন্যই খুব দূরে দূরে বেড়াতে যায় ওরা। দিল্লি গেছে, দার্জিলিং


নূপুর

কিন্তু কথাটা বরাবর আমি শুনেই গিয়েছি, বিশেষ একটা উচ্চবাচ্য করিনি। কারণ এ বাজারে যেমন তেমন একটি আলমারি কিনতে হলেও অন্তত শ’ দেড়েক টাকার প্রয়ােজন তাে বটেই। অথচ আয় বলতে আমার কোন এক মার্চেন্ট অফিসের কেরানীগিরির মাসান্তে মাহিনা ডিয়ারনেস ও অনান্য এলাউন্সসহ সর্বসমেত দুই শত পঞ্চাশ টাকা। পৈতৃক বাড়িটা পেয়েছিলাম, তাই কিছুটা রক্ষে নচেৎ মানসম্রম বাঁচিয়ে খেয়ে পরে ঐ কটি মাত্র টাকায় সংসার চালানােই হয়ত দুঃসাধ্য হয়ে উঠতাে। কিন্তু নিজের এ দৈন্যের ব্যথা বােঝাই বা কাকে আর বােঝেই বা কে। অগত্যা তাই একান্ত নরাধমের মত গৃহিণীর মনােগত বাসনার খেদোক্তিটা বরাবর শুনেই গিয়েছি।